অনামিকার জন্মদিনে
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে নিতে চলেছি ,অনামিকার জন্মদিনের মুহূর্তগুলো।
এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ অনামিকার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা সকলে মিলে অর্থাৎ বন্ধুরা মিলে মাদার্স হাট গিয়েছিলাম। আমাদের ওখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া এবং ঘোরাঘুরির প্ল্যান ছিল। সেইমতো দুপুরবেলায় রেডি হয়ে সবাই বেরিয়ে গিয়েছিলাম । দুপুর একটা পনেরোর আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম মাদার্স হাট।
পৌঁছে গিয়ে অনামিকার জন্য একটা বাটারস্কচ ফ্লেভারের কেক অর্ডার করেছিলাম। কেকটা মোটামুটি ৬০০ গ্রামের ছিল। কিন্তু দাম ছিল ২৫০ টাকা। তারপর অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে এনে দিল। আমরা যেমন ভাবে বলেছিলাম সেরকমভাবে ' হ্যাপি বার্থডে অনামিকা ' লিখে দিয়েছিল। সাথে দিয়ে দিয়েছিল ক্যান্ডেল। আমরা কেক সুন্দরভাবে সাজিয়ে নেওয়ার পর অনামিকার সামনে রেখে দিলাম। ও কেক কাটলো। আমরা সবাই মিলে মজা করে উইশ করলাম। ওর জন্য প্রার্থনা করলাম। যখন ও কেক কাটছিল ,তখন অনন্যা গান গাইছিল হ্যাপি বার্থডে।
এবার বলি অনন্যাকে, Mothers hut কৃষ্ণনগরের মধ্যে প্রথম রোবট নিয়ে আসে।। এই রোবটের নাম রাখে অনন্যা। খাওয়া-দাওয়া এখানে অনন্যায় পরিবেশন করে। এখানে অনন্যা শুধুমাত্র একটা নেই। অনেকগুলো অনন্যা আছে অর্থাৎ অনেকগুলো রোবট আছে। যারা এই খাওয়া দাওয়া গুলো এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে নিয়ে যায়। এমনকি কি কি আসছে মেনুতে ,সেটা পর্যন্ত ওর স্ক্রিনে শো করে।
রোবটের মধ্যে এমন এমন সিস্টেম করা আছে ,যে কোন রকম জন্মদিনের কেক যদি ও নিয়ে আসে ,ও একা একাই গান করে। পিছন পিছন মাদ্রাসাতে যারা কর্মরত রয়েছেন, তারা সকলেই ঘোরাফেরা করেন। শুধুমাত্র অনন্যার কাছ থেকে জিনিসগুলো টেবিলে নামিয়ে দিতে ওরা ওখানে দাঁড়িয়ে থাকেন।।
বাকি কিচেন থেকে টেবিলে টেবিলে খাবার অনন্যায় পৌঁছে দেয়। এই একদম অদ্ভুত একটা অবাক করা জিনিস দেখার জন্য বেশ দূর দূর থেকে মানুষ আসে এখানে খেতে। যখন প্রথম রোবট চালু করা হয় তখন কলকাতা থেকেও বহু মানুষ এসে এখানে youtube ভিডিও করেছিল। আমি অনন্যার ছবি তুলিনি সেদিন, তবে এর আগে আমি অনেক পোস্টে অনন্যার ছবি শেয়ার করেছিলাম।
যাইহোক কেক কাটা হয়ে যাওয়ার পরে অনামিকা কে আমরা সবাই মিলে কেক খাইয়ে দিলাম। অনামিকাও আমাদের সকলকে খাইয়ে দিল। ওর জন্য আমরা যে গিফট কিনে নিয়েছিলাম, সেটাও ওকে দিয়ে দিলাম। তারপর খাওয়া-দাওয়া অর্ডার করা হলো। খেতে গিয়ে আমাদের ছবি তুলতে মনে নেই। এতটা পরিমাণে খিদে পেয়েছিল যে আমরা সবাই ঝাপিয়ে পড়েছিলাম।
প্রথমে গিয়েই আমরা অর্ডার করে নিয়েছিলাম ক্রিস্পি চিলি বেবিকর্ন। তারপরে ছিল বাটার নান, কুলচা, কড়াই চিকেন, বাসন্তী পোলাও, চিকেন রেজালা, আরো কত কিছু। সেই সমস্ত খাবার গুলোর ছবি আমি একদম তুলতে ভুলে গিয়েছি। খাওয়া দাওয়া নিয়ে সত্যিই অনেক ব্যস্ত ছিলাম। শেষ পাতে আমরা নিয়েছিলাম মাসালা সোডা আর একটা নতুন আইসক্রিম Blueberry bingsu with popping boba।
যেমন অদ্ভুত নাম ,ঠিক আইসক্রিমটা অদ্ভুত দেখতে। আইসক্রিমটা কিন্তু বেশ ভালো খেতে ছিল। এর অনেকগুলো ফ্লেবার ছিল তবে আমরা এই ফ্লেভার টাই নিয়েছিলাম। এটা ১৯০ টাকা দাম নিয়েছিল। মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া হয়ে যাওয়ার পর যখন বিল দেখলাম, তখন ২১০০ টাকা মতো বিল হয়। আমরা ছিলাম টোটাল সাত জন । একটু বেশি বেশি এই জিনিসপত্র নেয়া হয়ে গিয়েছিল।
সব থেকে বড় কথা আমরা যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলাম যে,আমি মধুমিতা আর অনামিকা মিলে একসাথে ট্রিট দেব কারণ আমার জন্মদিনেও ওরা কিছু খেতে পারেনি ,কারণ অনামিকা এবং বাকিরা সকলেই সেদিনকে কিছুক্ষণের জন্য এসেই চলে গিয়েছিল। তাই আমি ঠিক করেছিলাম যে জন্মদিনের ট্রিটটা তিনজন মিলে একসাথে দিয়ে দেব। কিন্তু অনামিকা কিছুতেই আমাদের টাকা দিতে দিল না।বলল ওর জন্মদিন, তাই টাকা ওই দেবে।
আমরা অনেকবার জেদ করেছিলাম। কিন্তু ও শোনেনি ।যাইহোক পরবর্তী মুহূর্তগুলো পরের দিন পোস্টে শেয়ার করব ।আজকে এখানেই শেষ করছি।
💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)