ডিনার প্ল্যান
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি শেয়ার করতে চলেছি আমাদের রাতের খাওয়া দাওয়া নিয়ে। সেদিন ক্যাফে থেকে আবার খাওয়া-দাওয়ার জন্য বেরোনো হয়েছিল। সেটা নিয়েই আজকে পোস্ট লিখব।আগের দিন যেখানে থেমেছিলাম তার পর থেকেই লিখতে শুরু করছি।
আগের দিন জানিয়েছিলাম যে আমরা ক্যাফেতে সবাই মিলে অনেক মজা করলাম। জেঠিনের উপহার পেয়ে জেঠি অনেক খুশি হল। এসব যখন হচ্ছে তখন আমরা ঠিক করেছিলাম যে পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার শিবনিবাস পুজো দেবো, এদিকে শিবনিবাসে পূজো দিলে সারাদিন নিরামিষ খেয়ে থাকতে হবে। আর জেঠি আমাদের
ট্রিট দিতে চাইছিল জন্মদিনের।
এ কারণে জেঠিন বলল আজকে যখন সবকিছুই দেরি হচ্ছে, তাহলে আজকে রাতেই চল, কোথাও খাওয়া-দাওয়া করে আসি। আমাদের ঘোরাঘুরির কারণে ঈশানের টিউশনটাও আমরা বন্ধ রেখেছিলাম সেদিন। তাই আমরা রাজি হয়ে গেলাম যে চলো, আজকেই তাহলে কাজ সেরে নেওয়া যাক। না হলে পরের দিন আবার খাবার প্ল্যান করলে ঈশানের টিউশন কামায় যাবে।
কিন্তু আমার মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। কারণ আমার মা বৃহস্পতিবার নিরামিষ পালন থাকে। আসলে রাস্তাঘাটে চলতে গেলে সব সময় সবকিছু সমান হয়ে ওঠেনা। এক একদিন একটু ব্রেক দিতে হয়। এদিকে যেহেতু সন্ধ্যে পার হয়ে গেছে বাড়িতে সন্ধ্যা দেখানো হয়নি, তাই আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম আধ ঘন্টার জন্য আমরা সবাই বাড়ি যাবো। বাড়িতে সন্ধ্যা দিয়ে তারপরে আবার বেরিয়ে আমরা অন্য জায়গায় খেতে যাব।
সেইমতো বাড়ি পৌঁছে গেলাম। তারপর যে যার মত সন্ধ্যে দিয়ে নিলাম। আমার বাড়ি আর জেঠিনের বাড়ি হাঁটা পথে পাঁচ দশ মিনিটে রাস্তা। বাড়ি এসে কিছু কাজ কমপ্লিট করে নিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম আবার। মা-বাবার এক পাশেই একজনের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানেও দেখা করে আসলো ওই ফাঁকে তারপর আমরা আবার বেরিয়ে পড়লাম রেস্টুরেন্টের দিকে। আমি ভেবেছিলাম হয়তো প্রত্যেকবারের মতো মাদারসাটে যাওয়া হবে।। কিন্তু জেঠু নিয়ে গেল অন্য রেস্টুরেন্টে। যেখানে আমি এর আগেও জেঠুদের সাথে একবার গিয়েছি। তবে মা-বাবা কখনো যায়নি।
নবদ্বীপ যেতে আমডাঙ্গা ছাড়িয়ে একটি দুর্দান্ত রেস্টুরেন্ট পড়ে। রেস্টুরেন্ট নতুন হয়েছে। আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এর আগে একটি পোস্টে। সেখানে আমরা পৌঁছে গেলাম। সব থেকে মজার ব্যাপার গাড়ি চালাচ্ছিল আমার বাবা। আর পাশে আমার পিসেমশাই বসে ছিল।
বাবা যেহেতু গাড়ি চালাচ্ছিল তাই গাড়িটাকে আস্তে আস্তেই চালাচ্ছিল। ওই যে বললাম বাবা গাড়ি চালাতে পারে কিন্তু একটু ভয় পায়। সাথে ফ্যামিলি থাকলে আরো ভয় পায়। তবে ফাঁকা রাস্তায় অসুবিধা হয়নি, ধীরে ধীরে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্ট যখন পৌঁছয়, তখন সাড়ে নটা বাজে। রেস্টুরেন্ট তখন ফাঁকা।
কাস্টমার হিসেবে শুধু আমরাই ছিলাম। চারিদিকে হলুদ লাইটে রেস্টুরেন্ট পুরো চকচক করছে। ছোট ছোট জোনাকিরা রেস্টুরেন্ট ঘিরে ধরলে যেমন লাগতো, ঠিক সেরকম লাগছিল দেখতে। আমরা সবাই পৌঁছে অর্ডার করে ফেললাম অনেক কিছু।
আজ এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন। পরের পরের দিন বাকি কথা শেয়ার করব।
আপনার ডিনার প্ল্যানটা সুন্দর ছিল।মাঝে মাঝে এভাবে বাইরে খেতে যেতে আমারও মন চায়। তবে প্রায় বিকেলে বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পরি কিছু খাওয়া দাওয়া করতে। যদিও সব সময় রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না৷ রাস্তার পাশের ছোট দোকান গুলো থেকেই কিছু ফাস্টফুড খেয়ে নেই।
আপনাদের খেতে যাওয়া রেস্টুরেন্টটা অনেক সুন্দর লাগতেছিল। সুন্দর লাইটিং করা, পরিবেশন যেন মন কারা৷
অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার লেখা পড়ে মনে হল যেন আমিও আপনাদের সঙ্গে সেই রাতের সফরে ছিলাম। পরিবারকে নিয়ে হঠাৎ প্লান করা এমন ডিনার সত্যি অনেক আনন্দের হয়। বিশেষ করে নতুন রেস্টুরেন্টে যাওয়া বাবার গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা আর সেই হলুদ আলোয় মোরা পরিবেশ সব মিলিয়ে বেশ চমৎকার একটা মুহূর্ত তৈরি হয়েছে।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব আনন্দিত হলাম! পরিবারের সাথে এমন মুহূর্তগুলো সত্যিই অমূল্য। নতুন রেস্টুরেন্টের পরিবেশ তো অনেক চমৎকার ছিল। আমি নিশ্চিত, সেদিনের খাবারের সাথে অনেক ভালো স্মৃতি জুড়েছিল আপনার। এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল।
আপনার ডিনার প্ল্যানটা খুব সুন্দর ছিল। এছাড়াও আপনার পোস্টটি পড়েও খুব আনন্দিত হলাম। পরিবারের সাথে এমন মুহূর্তগুলো খুব মুল্যবান। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।