কবিতার সাথে ফটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার লেখা কবিতা এবং তার সাথেই রয়েছে ফটোগ্রাফি। বরাবরের মতোই এবারও ফটোগ্রাফির সাথে হাজির হয়েছে আমার লেখা কবিতা। আশা করছি আপনাদের দুটোই পছন্দ হবে।।
![]() |
---|
হাওয়ার পিছুটান |
---|
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন ।
আর তারপর,
সবকিছুর অভিনয় শুরু হয়।
খোলা মাঠে হেঁটে বেড়াতে থাকে
নরম ঘাসেরা।
একে অপরের সাথে হেলেদুলে হাঁটে।
তারপর, ঘুমিয়ে পড়ে
আকাশ ভরা কোটি তারার গানে।
নদীর বুকে প্রচুর হাওয়া দেয়।
হাওয়ার টান বেঁধে নিয়ে আসে আমায় ।
ভিজে কাপড়েরও নাচন লাগে তখন।
সবকিছু ভাসতে থাকে ঢেউয়ে।
হাওয়ার ঢেউয়ে বড্ড আরাম লাগে।
বদ্ধ থেকেও উড়তে পারি জেনে।
সবার শেষে আবার নাটক থামে।
আবার ঘড়ি সঠিক সময় ধরে।
প্রত্যেকটা রোদ বৃষ্টি ঢেকে নিলেও,
সূর্য ওঠে,শত ঝড়ের পরে।
গত দুদিন যাবত অত্যাধিক পরিমাণে গরম পড়ছিল। আর স্বাভাবিকভাবে আমি আকাশের দিকে চেয়েছিলাম কখন আকাশ একটু বৃষ্টি দেবে। একটু মেঘ করবে। একটু হাওয়া দেবে। এই গরম থেকে বাঁচা যাবে। সব সময় কি আর এ সি র মধ্যে থাকা যায়!?
আমার তো খোলা আকাশ, খোলা হাওয়া সব সময় ভালো লাগে ।এই জন্য আমাদের উপরের ঘরে যে ঘরটা আমার ,সে ঘরে জানলা দরজা আমি সবসময় খুলে রাখি। নিচের ঘরে জানলা বেশি খুলে রাখা যায় না সারাদিন। কারণ রাস্তার ধারে। তাই দোতলা আসার পর থেকে আমার দোতলা জুড়ে খালি হাওয়া বাতাস ঘুরঘুর করে। কিন্তু গরমের মধ্যে জানলা দরজা খোলা রাখলে দুপুরের তাপটা প্রচন্ড পরিমাণে ভেতরে আসে। তাই অবশেষে জানলা দরজা বন্ধ করে এসি চালাতে হয়। এ প্রচন্ড বিরক্তি লাগে আমার। কখনো কখনো দম বন্ধ হয়ে আসে।
ভগবান আমার কথা শুনে গতকাল থেকে অল্প অল্প করে বৃষ্টি দিয়েছে ।আজকে সকাল থেকেও মেঘলা আকাশ ,ঝমঝম করে বৃষ্টি না পড়লেও ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে ।গরমটাও একটু কমেছে। কারণ এত অত্যাধিক হাওয়া দিচ্ছিল বলার বাইরে। আমি যখন আজকে সকাল বেলায় জামা কাপড় মেলতে ছাদে গিয়েছিলাম ,মনে হচ্ছিল আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে হাওয়াতে।
ভেজা কাপড় গুলো তারে মেলে দেওয়ার পরে ক্লিপ লাগানোর পরেও হাওয়াতে মনে হচ্ছিল উড়ে যাবে। এত জোরে জোরে রাক্ষসে হাওয়া বইছিল। তবে এই রাক্ষুসে হাওয়া কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে। ঝোড়ো হওয়ার থেকে এই হাওয়াটা অত্যাধিক পছন্দ। এই হাওয়াটাকে কি বলে আমি জানিনা। তবে এই হাওয়াতে ধুলোবালি কিছুই ওড়ে না ।যেহেতু বৃষ্টি থাকে হালকা ঝিরঝির করে পড়ে। তাই এই হাওয়াতে শুধু ঠান্ডা হাওয়া থাকে।
আমি কাপড় মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকক্ষণ এ কারণে ছাদে ছিলাম। শুধু ওই হাওয়াটাকে উপভোগ করব বলে। তবে তখন ওই মুহূর্তে ছাদে কোনরকম ছবি তুলিনি। আমার ছাদ ভর্তি বাগানে ফুল ধরেছে কত। প্রত্যেকটা ফুল দেখতে এত সুন্দর হয়েছে, একদিন আপনাদের সময় করে দেখাবো।
হাওয়ার সাথে আমার প্রচুর অনুভূতি রয়েছে। আমার মনে হয় বৃষ্টি আর হাওয়া বাতাস নিয়ে আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু স্মৃতি অথবা অনুভূতি জড়িয়ে থাকে। সেই অনুভূতিকে কেন্দ্র করেই আমার প্রথম কবিতা।
কবিতার সাথে জর্জরিত যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন, সেটা কিন্তু অনেকদিন আগের তোলা। সেদিন ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছিল। আমার জানলায় বৃষ্টির জলে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। আর চাঁদের রিফলেকশনটা জানলার টাইলস এর উপর এমন ভাবে পড়ছিল, দেখতে অসাধারণ লাগছিল ।বৃষ্টির জলের ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো উঁকি ,এ এক দারুণ সাবজেক্ট। তাই রেখে দিয়েছিলাম ফটোগ্রাফির অ্যালবামে,আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে। আজকে হঠাৎ করে এই কবিতাটার সাথে বেশ অনেক কিছু জায়গায় মিল পাচ্ছিলাম, তাই শেয়ার করে বসলাম।