বই মেলা
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।। আজকে আমি শেয়ার করতে চলেছি আমাদের শহরের বইমেলার কিছু মুহূর্ত।
কিছুদিন আগেই অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় আমাদের কৃষ্ণনগরের পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে। প্রতিবছর এই জায়গাতেই ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে। বইমেলা নিয়ে ছোট থেকেই আমার একটা উত্তেজনা থাকতো। শীতকালে বইমেলা হয় বলে শীতকাল আরো বেশি ভালো লাগে। বইমেলা আর কিছুদিন পরেই যেহেতু আমার জন্মদিন থাকে, আমি আমার অনেক প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে বই উপহার পেতাম ছোট থেকেই।
জন্মদিনে আমি একটা দুটো বই পাব এটা একদম আগে থেকেই জানতাম। প্রতিবছর নতুন নতুন গল্পের বই আমাকে দারুন মজা দিত। আসলে ছোট থেকেই আমি গল্পের বই পড়তে খুবই ভালোবাসি। বিশেষ করে উপন্যাস পড়তে বেশ ভালো লাগে। এ কারণেই যে উপন্যাস তাড়াতাড়ি শেষ হতে চায় না, আর কখন শেষ করব এটা নিয়ে আমার একটা প্রবল কিউরিসিটি থাকে। এমনও হয়েছে আমি সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে সারাক্ষন বই হাতে উপন্যাস পড়ে গেছি।
গল্পের বইয়ের মধ্যে একবার ঢুকে গেলে বার হতে ইচ্ছা করে না। আমি যেন সেই উপন্যাসের জগতের কোন একটা ক্যারেক্টার হয়ে যায়। যে ক্যারেক্টার সবাইকে দেখছে, গল্পে কে কি করছে সমস্ত কিছু চোখে দেখছে। শীতের বেলায় কনকনে ঠান্ডায় যখন সূর্যের হালকা উষ্ণ স্নেহ আমার সারা শরীর ঘিরে ফেলে, ঠিক সেই মুহূর্তে উপন্যাস পড়তে বেশি মজা লাগে। আমি দুপুর বেলার কথাই বলছি। এই মোটামুটি বারোটা থেকে । যতক্ষণ সূর্যের তাপটা ঠিকভাবে থাকে। ততক্ষণ ছাদে বসে বই পড়তে বেশ ভালো লাগে।
আমাকে সব থেকে বেশি বই কিনে দিয়েছে, আমার পাশের বাড়ির এক ঠাম্মা। তার থেকেই আমার বই পড়ার অভ্যাস। ওদের বাড়িতেও প্রচুর প্রচুর বই থাকতো আর ওখান থেকে নিয়ে নিয়ে আমি পড়তাম। জন্মদিনে প্রত্যেকবার আমাকে বই কিনে দিতে ওই ঠাম্মা। এখন ঠাম্মা, কলকাতায় থাকে বলে সেটা সম্ভব হয় না।। তবে নিজে নিজেই এখন বই কিনি।
ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট অর্থাৎ নেট এর পড়া পড়তে গিয়ে সিলেবাসে এত এত গল্প আর উপন্যাস আছে যে বিগত এক বছর হল আমার বাড়িতে বইয়ে ভর্তি। তাই এ বছর বইমেলাতে গিয়ে বই কিনিনি। প্রচন্ড পরিমাণে লোভ লাগছিল কিছু বই দেখে। কিন্তু আমি ইচ্ছা করেই কিনলাম না কারণ আমার বাড়িতে যেগুলো রয়েছে সেগুলো পড়া হয়ে ওঠেনি এখনও। গত বছর যে বইগুলো কিনেছিলাম বইমেলা থেকে সেগুলো পড়া হয়ে গিয়েছে।
যাইহোক এ বছর আমি বইমেলা গিয়েছিলাম মোটামুটি আড়াইটার পরে দুপুর বেলা। আমার সাথে ঈশানও গিয়েছিল। ঈশান এর জন্য আমি ছবি আকার বই কিনে দিয়েছি। ওকে হিউমান স্কেচ ভালোভাবে শেখাতে হবে। ও ওই জায়গাটায় খুব ভয় পায়। তাই ওর জন্য হিউম্যান স্কেচ এর বই কিনে দিয়েছি।
আমার মনে হয় আজকালকার বাচ্চারা বই ভক্ত কম। যেমন আমার ভাই। আমার বাড়িতে এত এত বই। একটা ঘর জুড়ে চারিদিকে খালি বই আর বই। এমন অবস্থা যে শোকেসে আর রাখার জায়গা হচ্ছে না। কিন্তু ঈশান কোনদিনও একটা বই নিয়ে পড়েনি। এই ব্যাপারটা আমার খুবই খারাপ লাগে। আমাদের ছোটবেলায় আমরা যেভাবে বই পড়ে অভ্যস্ত ছিলাম এরা এখন পড়তে চায় না। আর এছাড়াও এখনকার পড়াশোনার যা সিলেবাস তাতে অন্য কিছু পড়া দুষ্কর।
যাইহোক বই বেলায় গিয়ে যে কটা ছবি তুলেছিলাম ,ছবিগুলো সহকারে আজকের পোস্টটা লিখে ফেললাম। পরের দিন এই সংক্রান্ত ব্যাপারে আরেকটি পোস্ট করতে চলেছি।। আজ এখানেই শেষ করছি।
আজকে আপনার বিষয়,বস্ত পড়ে খুব ভালো লাগলো, আমিও বই পড়তে ভালোবাসি কিন্তু আপনার মতন এত বই পড়ি না। আপনার পোস্টটে পড়ে জানতে পারলাম। আপনি মাঝে-মাঝে বই পড়তে-পড়তে ক্যারেক্টারের সাথে হারিয়ে যান! মনে হয় এসব ক্যারেক্টারগুলো আপনার সামনেই উপস্থাপন করছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমি যখন আগে প্রতিদিন বই পড়তাম। তখন আমিও এই রকম অনুভূতি পেতাম! বই না পড়লে ভালো লাগত না আমার, উপন্যাসের মাঝে আমি হারিয়ে যেতাম, আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো দিদি। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
Thank you @vivigibelis sir for supporting me. 💕