Better Life with Steem||The Diary Game|| 07 April 2025||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
বন্ধুরা, আপনারা কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকেও আমি আপনাদের সঙ্গে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। বিষয়টি হলো: “ঈদের পরের ৮ম দিনটি যেভাবে অতিবাহিত করলাম”।
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম—সকাল ৯টার দিকে। যেহেতু আজ স্কুলে যেতে হবে, তাই আগে থেকেই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। যেহেতু গরমের দিন, তাই সকালের গোসলটা করে স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। গোসল শেষ করে মাকে বললাম সকালের খাবার দিতে। মা ভাতের সঙ্গে বড় মাছের তরকারি দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ, খাবারটা ভালোই ছিল।
সকালের খাবার খেয়ে কিছু সময় রুমে বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখি, আমার পোষা বিড়ালটা বাড়ির একটি মুরগির সঙ্গে ঝগড়া করছে! দৃশ্যটা মজার ছিল, তাই ফোন বের করে ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। যদিও ঝগড়ার ছবি তুলতে পারিনি, তবে একটা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে পেরেছি, যেটা আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
এরপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১০টা বাজে। তাই দেরি না করে স্কুলের প্রস্তুতি নিলাম। আমাদের স্কুলে ক্লাস শুরু হয় সাড়ে ১০টা থেকে। আমার বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে ১০ মিনিট লাগে, তাই ১০টা ৫ মিনিটে রওনা দিলাম।
স্কুলে গিয়ে সবাইকে সালাম দিলাম এবং নির্দিষ্ট জায়গায় বসে সবাইকে কুশল জিজ্ঞেস করলাম। দীর্ঘ ৪০ দিন পর স্কুল খোলায়, একে অপরকে দেখে অনেক আনন্দ লাগছিল। এরপর ১০টা ৪০ মিনিটে দপ্তরী ক্লাসের ঘণ্টার বেল দিলেন। তখন আমরা শিক্ষকরা যার যার ক্লাসে গেলাম।
আজ যেহেতু প্রথম দিন, তাই ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের উপস্থিতি নিলাম।এরপর রোজা রেখেছে কিনা, তা জিজ্ঞেস করি। যারা রোজা রেখেছে তাদের ধন্যবাদ দেই, আর যারা রাখেনি তাদের উৎসাহ ও উপদেশ দেই। বলি, “আমরা ১১ মাস খেয়েই থাকি, শুধু এক মাস আল্লাহর জন্য কষ্ট করলে এর প্রতিদান তিনি নিশ্চয়ই দেবেন।”
প্রথম ক্লাসে ১০-১৫ মিনিট পরামর্শ দিয়ে কিছুক্ষণ ক্লাস নিই। এরপর অফিসে চলে যাই এবং দ্বিতীয় ঘণ্টার জন্য প্রস্তুত হই। আজকে স্কুলে যেহেতু শুরু হয়েছে, তাই স্কুলে চারটি ক্লাস নেওয়ার পর দুপুর ১টায় ছুটি দেওয়া হয়।
ছুটি শেষে সবাই বাড়ি চলে যায়। আমিও বাড়ি ফেরার পথে প্রচণ্ড গরমের কারণে ভাতিজার দোকান থেকে ৫০ টাকা দিয়ে একটা মিরিন্ডা নিই। সেটি বাড়িতে এসে আমার ওয়াইফকে দিলে খুব খুশি হয়। এরপর আমরা দুজনেই সেটা মিরান্ডা ভাগ করে খাই।
মিরিন্ডা খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই। যেহেতু দুপুরে আর গোসল করতে হবে না, তাই দুপুরের খাবার খেয়ে নিই। আজকে হাটের দিন, তাই আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে একজন লোক মাছ ধরে হাটে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন সজীব নামের এক ছোট ভাই তাকে থামায়।মাছওয়ালাকে থামালে
আমি গিয়ে মাছের দাম জিজ্ঞেস করি। সে বলে দাম ১০০০ টাকা। তখন আরেকজন মুরুব্বী এসে বলেন, সব মাছ দিয়ে দাও, আমরা গ্রামের কয়েকজন মিলে ভাগ করে নেব। দামাদামির পর ৮০০ টাকায় সবাই রাজি হই।
আমি ২০০ টাকার মাছ নিই, বাকিগুলো অন্যরা ভাগ করে নেয়। যেহেতু মাছগুলো নদীর, তাই কেমিক্যাল মুক্ত। মাছগুলো আমার ওয়াইফকে দেই।এছাড়া মাছ নেওয়ার আগে কয়েকটা ছবি তুলে রাখি, যা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
এরপর বিকাল থেকে মাগরিব পর্যন্ত বাড়িতেই থাকি।বাড়িতে থেকে কোন কাজ ছিল না, তাই মেসেঞ্জার ও পোস্টিং সাইটে পোস্ট লিখে সময় কাটাই। মাগরিবের পরে আমার ওয়াইফ চানাচুর ও কিছু হালকা খাবার এনে দেয়। আমরা দুজনে মিলে সেটা খাই এবং গল্প করি। কিছুক্ষণ পর বাবা রাতের খাবার দিতে বলেন। তখন রাত ৮টার দিকে আমরা সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খাই।
খাওয়া শেষে সরাসরি ঘুমাইনি, কিছুক্ষণ অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘুমিয়ে যাই।এই ছিল আমার ঈদের পরের ৮ম দিনের অভিজ্ঞতা।আশা করি, পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
Many many thank you for your support❤️❤️❤️❤️
যেহেতু আপনার ছুটি শেষ হয়ে গেছে তাই স্কুলের কাজের জন্য আপনাকে আবারও বের হতে হয়েছে বাড়িতে যাওয়ার সময় আবার একটা কোমল জাতীয় পানি নিয়েছেন আবার বাড়িতে গিয়ে একটা মাছ পালার কাছ থেকে ছোট মাছ কিনে নিয়েছেন আসলে ছোট মাছ আমি অনেক বেশি পছন্দ করি আপনার মাছগুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আরো একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।