রমজান মাসে রোজার ফজিলত এবং ইফতারের ফজিলত
রমজান মাসে রোজার ফজিলত এবং ইফতারের ফজিলত
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করিলাম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করব, যার শিরোনাম হলো "রমজান মাসে রোজার ফজিলত এবং ইফতারের ফজিলত"।
আল্লাহ তায়ালা যদি তওফিক দেন, তাহলে রোজার ফজিলত ও ইফতারের ফজিলত বিষয়ের ওপর যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আলোচনা করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
রমজান মাস ও রোজার ফজিলতঃ
রমজান মাস হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এটি একটি পবিত্রতম মাস, যা প্রতি বছর আল্লাহর অনুগ্রহে মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য রহমতস্বরূপ আসে।তাই দেখা যায় যে এই রমজান মাসে যে ব্যক্তি বেশি গুনাহ করে,
সেই ব্যক্তিও এই রমজান মাসের ওছিলায় ভালো হয়।আল্লাহ তায়ালা যেন রমজান মাসের ওছিলায় আমাদের সবাইকে হেদায়েত দেন,এবং এই রমজানে যেন আল্লাহর ইবাদত করে আল্লাহকে খুশি করতে পারি এই তওফিকও দেন।
রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো রোজা রাখা, যা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়।আর রোজার প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দিবেন,তাহলে আমাদের বুঝা উচিত রোজা রাখার গুরুত্ব কত।
রোজার ফজিলত অনেক বেশি, যেমন—
ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নেক পরামর্শ মেনে চলা।
ধার্মিক আদর্শ ও মর্যাদা উন্নয়ন করা।
সহিষ্ণুতা, করুণা ও সদয়তা প্রকাশ করা।
নাফস নিয়ন্ত্রণ এবং আত্মসংযম শক্তি বৃদ্ধি করা।
রমজানের রোজার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রতি আন্তরিকতা প্রকাশ করতে পারি এবং নিঃস্বার্থভাবে ভালো কাজ করার প্রতিজ্ঞা নিতে পারি।
ইফতারের ফজিলত ও গুরুত্বঃ
রমজান মাসে যেকোনো ফল দিয়ে ইফতার করলেও সুন্নাত আদায় হবে। মিষ্টিজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার করলেও সুন্নাত পালন হয়। যদি এগুলো দ্বারা ইফতার করা সম্ভব না হয়, তাহলে যেকোনো হালাল জাতীয় খাদ্য বা শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়।তাই আমরা সকলে এই সুন্নত গুলো মেনে ইফতার করব। এতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের বেশি সওয়াব দিবেন।
আমাদের( প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
"আমাদের মধ্যে যারা রোজা রাখে তারা যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করার চেষ্টা করে।যদি খেজুর না থাকে, তবে পানি দিয়ে যেন ইফতার করে। নিশ্চয় পানি পবিত্র।"আমরা সবাই এই কথাগুলোও মেনে চলবো এবং যারা এগুলো কথা জানেনা তাদেরকে জানিয়ে দিবো।যাতে তারা এই কথাগুলো শুনে এভাবে সুন্নত তরিকায় ইফতার করে।
(তিরমিজি ও আবু দাউদ)
ইফতারের খাবার আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে অনেক উপকার করে। সারাদিন রোজা রাখার পর আমরা বুঝতে পারি, ক্ষুধার্ত থাকা কতটা কষ্টের। কিন্তু ইফতারের মাধ্যমে শরীর নতুন করে শক্তি ফিরে পায় এবং মন শান্তি লাভ করে।
তখন আবার যেকোন কাজ করার আগ্রহ চলে।
তাই আমাদের সকলের চাওয়া আল্লাহ তায়ালা যেন এই রোজার একটি মাস বেশি হতে বেশি ইবাদত বন্দেগী করার তওফিক দেন। সবাই বলি আমিন।
ইফতার একটি সামাজিক উৎসব হিসেবেও গণ্য হয়। এটি সমাজের ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ায় এবং গরিব-দুঃখীদের কষ্ট অনুভব করার সুযোগ করে দেয়।
তাই মহান আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সুন্নত মোতাবেক ইফতার করার তৌফিক দেন— আমিন।
উপসংহারঃ
বন্ধুরা, আজকে আর লিখছি না।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি, আজকের আলোচনাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
আরেকদিন নতুন বিষয় নিয়ে আসব, ইনশাআল্লাহ।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
সবার প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি টপিক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য কিছুদিন ধরে আমি লেখার চেষ্টা করতে ছিলাম কিন্তু গুছিয়ে লেখার হয়ে উঠে নাই আপনি এত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন তা পরে আমার খুব ভালো লাগছে।
প্রতিমাসের তুলনায় রোজার মাসটা আমার কাছে খুব পছন্দ ও আনন্দদায়ক, বিশেষ করে এই রোজার মাসে অনেক অনেক মানুষ পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে।
রোজার মাসের ফজিলত বর্ণনা করতে গেলে শেষ হবে না
আবারও ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। 🌹❤️
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ইফতারের ফজিলত অনেক বেশি আর আমরা কেন ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে থাকি সেই বিষয়টা আপনি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ রোজা রাখার ফজিলত এবং ইফতারের ফজিলত আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
অবশ্যই প্রায় সব লোকজনই কমবেশি ইফতারিতে খেজুর রাখার চেষ্টা করে যাইহোক আমিও চেষ্টা করি প্রতিদিনের ইফতারিতে খেজুর রাখার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
খেজুর খাওয়া কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী আপনি যদি আগের দিন রাতে এক গ্লাস দুধের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টা খেজুর মিশিয়ে পরের দিন সকালে খেতে পারেন এটাও কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটা জিনিস একদিন খেয়ে দেখবেন তাহলে এর উপকার কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।