Better Life with Steem|| The Diary Game|| 21th November 2024

in Incredible India3 months ago

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আমি আজ আপনাদের মাঝে। আমার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি। অধিকাংশ ভাবে আমি আমার কাজের কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি। তবে আজ আমি আপনাদের মাঝে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে কাজ গুলো করেছিলাম সেই বিষয়ে আলোচনা করব।

1000047285.jpg

যাইহোক বন্ধুরা সকালটা শুরু হয় প্রতি দিনের মতো। যেহেতু শরীরটা ভালো নাই তবুও ঘুম থেকে উঠতে হয় কাজে যাওয়ার জন্য। কারণ আজ দুইদিন ধরে রুমে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অসুস্থ হয়ে জাচ্ছি বেশি মনে করছি। তাই আজকে ভেবেছিলাম যাই হোক কাজে গিয়ে হোক। কারণ কাজে গেলে মানুষের সাথে কথা বলতে পারলে ভালো লাগবে।

1000047228.jpg

যাই হোক দ্রুত ফ্রেশ হয়ে কাজের জামা পরে বেরিয়ে পড়লাম ক্যান্টিনে। কারণ ক্যান্টিন থেকে রুটি খেয়ে আমি কাজে যাবো।সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম রুটি নেওয়ার জন্য আরো অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। আমার একটি পরিচিত মানুষ ছিলো। তাকে বলেছিলাম আমার জন্যও একটি রুটি নিয়ে আসার কথা। যাইহোক সে রুটি নিয়ে আসে আমার কাছে এবং আমি সেটা খেয়ে কাজে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম।

1000047229.jpg

আজকে আমার কাজে যেতে হবে ৮ তলায় যেহেতু এখানে লিফট আছে। লিফটে যাওয়ার জন্য সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারণ সেখানে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছিল লিফটের জন্য। সকাল বেলা সবাই কাজে যাবে আমিও কাজে যাওয়ার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে আছি। যাইহোক অবশেষে লিফটের দেখা পেয়ে গেলাম। দেরি না করে লিফটে উঠে আমার কাজের জায়গায় চলে যায়।

1000047230.jpg

আজকে আমাদের কাজ ছিলো বাহিরে সাইটে এসি লাগানো। সেখানে মামুন ভাই ও আরেকটি বড় ভাই কাজ করছিল। আমাদের বলছিল অন্য জায়গায় গিয়ে আরেকটি মেশিন লাগানোর জন্য জায়গা তৈরি করার কথা। তাই আমি ও সাথে আরেকটি ভাইকে নিয়ে সেই জায়গা তৈরি করছিলাম। আসলে জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে তার ওপরে উঠে যেনো ভালো ভাবে কাজ করতে পারি। আমরা সেখান থেকে এই কাজ গুলো সম্পন্ন করে আবার আগের জায়গায় চলে যায়।

1000047233.jpg

1000047236.jpg

যাওয়ার পরে আমার নিচে একটু কাজ আসে তাই আমি আবার নিচে ক্যান্টিনে আসি। সেখানে এসে দেখতে পেলাম বাংলাদেশ থেকে আমাদের একটি মানুষ আজকে এসেছে। তার সাথে দেখা করে কিছু কথা বলে ক্যান্টিন থেকে আবার কাজের জায়গায় রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম মামুন ভাই একা একা কাজ করছে। বাকিরা সবাই নিচে গিয়েছে কিছু এসির জিনিস এসেছে সেগুলো নামাতে। তাই মামুন ভাইয়ের সাথে আমিও কাজ করছিলাম।

1000047241.jpg

মামুন ভাইয়ের সাথে কাজ করতে করতে খাওয়ার সময় আমাদের চলে আসে। আমাদের এখানে দুপুর ১২ টার সময় খাওয়ার সময় হয়ে যায়। যাইহোক মামুন ভাই ও আমি এক সাথে খাওয়ার জন্য নিচে আসি। আসার পথে দেখতে পেলাম ৮ তলার উপরে গাছে একটি মানুষ পানি দিচ্ছে। বিষয়টি দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছিল। গাছের যত্ন নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। আমাদের আশেপাশে প্রত্যেকটি মানুষের গাছে যত্ন নেয়া উচিত। কারণ গাছ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অনেক প্রয়োজন।

1000047239.jpg

যাই হোক আপনারা সবাই জানেন গতকাল আমরা কোন রান্না করিনি। আমার ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য আমরা ক্যান্টিন থেকে কিছু খাদ্য নিয়ে এসেছিলাম। আজকে দুপুরে বাংলাদেশ থেকে যে মানুষটি এসেছে সে কিছু খাদ্য নিয়ে এসে আমাদের দেয়। অনেক দিন পরে বাংলাদেশের হাঁসের মাংস দেখতে পেলাম। আমরা সবাই সেটা খেয়েছিলাম। যাই হোক খাওয়ার ছবিটা শেয়ার করতে পারলাম না। কারণ রুমে অনেক মানুষ ছিলো আজ এবং বাংলাদেশ থেকে আসার জন্য কিছুটা ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

1000047244.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছু সময় রেস্ট করে আবার ওপরে চলে যায়। সেখানে গিয়ে কিছু সময় আমরা কাজ করেছিলাম। আজকে রোদের তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিলো আমাদের এখানে। তার পাশা পাশি ছুটি কাটিয়ে কাজে গিয়েছি যার জন্য আমার অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছিল। সাথে আরও একটি ভাই ছিলো এবং মামুন ভাই আমরা তিন জন এক সাথে কাজ করেছিলাম। এক সাথে যে ভাইটি ছিলো এই রোদ্দুর অবস্থায় সেলফি তোলার জন্য নিজের মোবাইলটি বের করে। কিন্তু তার মোবাইলে আমাদের মুখ ভালো না বুঝার জন্য আমার মোবাইলটি ব্যবহার করে।

1000047247.jpg

1000047251.jpg

তার কিছু সময় পরে আমাদের কাছে একটি ফোন আসে। আজকে এসির যে নতুন জিনিস গুলো এসেছে সে গুলো আট তলায় নিয়ে আসবে। তাই আমরা আবার আট তলায় চলে আসি। আসার সময় গাছের মধ্য দিয়ে আকাশের একটি ছবি ধারণ করেছিলাম আমি। মালয়েশিয়ার আকাশের রং সব সময় দেখতে আমার কাছে ভালো লাগে। কারণ এটা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে বলুন। আমার তো অনেক বেশি ভালো লাগে তাই আমি একটি ছবি সেখান থেকে ধারণ করি।

1000047255.jpg

যাই হোক এসে দেখতে পেলাম ইন্ডিয়ার একটি ভাই সেই এসির জিনিস গুলো একা একা ধরে নিচ্ছে। এই জিনিস‌ গুলো নিচে থেকে কেরেন করে আমাদের এখানে দিচ্ছে। এটা অবশ্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তবুও এখন আর ভয় লাগে না প্রথম দেখতে ভয় লাগতো। কিন্তু এটা এখন দেখতে দেখতে অনেকটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে আমার। ইন্ডিয়ার যে ভাইটি ছিলো তার সাথে আজ আমার প্রথম পরিচয়। তার সাথে কথা বলে অনেক ভালো লেগেছে। অবশ্যই ভাষা একটু কম জানি তবে ভাষা এখন অনেকটা বুঝি।

1000047256.jpg

যাই হোক অবশেষে সব জিনিস গুলো আমাদের এখানে চলে আসে। এবং আমরা এই জিনিস গুলো টেনে নিয়ে অন্য আরেকটি রুমে রাখি। একা একা নিয়ে যাও অনেক কষ্টের একটি বিষয় ছিলো। কারণ এই এসি গুলো অনেক বড় বড় তাই আমরা দুই‌‌জন ধরে ধরে নিয়ে গিয়েছিলাম। অন্য আরেকটি রুমে আমরা সব গুলো জিনিস রাখি। সেখানে রাখার পরে দেখতে পেলাম প্রায় কাজের টাইম শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে।

1000047257.jpg

তাই আমরা আবারও ওপরে যাচ্ছিলাম সেখানে গিয়ে কাজ গুলো ঠিক হয়েছে কি না ভালো ভাবে দেখতে যায় । যাওয়ার সময় দেখতে পেলাম আকাশের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। আজকে সারাদিন অনেক রোদ্দুর উঠলেও সন্ধ্যার টাইমে হালকা মেঘলা করে। তাই তখনো
আকাশের ছবি ধারণ করে নিয়েছিলাম আমি। সেখান থেকে আসার সময় ক্যান্টিন থেকে বাজার করে নিয়ে আসি আমরা।

1000047261.jpg

রুমে এসে দেখতে পেলাম বাংলাদেশ থেকে যে মানুষটি এসেছে সে অনেক গুলো পিঠা নিয়ে এসেছে। সেখান থেকে কয়েকটি পিঠা আমিও খেয়েছিলাম এবং সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া করে। আমরা গোসল করতে চলে যায়। গোসল শেষ করে এসে কি আর কাজ রান্না ছাড়া। তাই রান্নার জন্য আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি । এভাবেই কেটে যায় আমার আজকের দিনটা। যাই হোক সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন। আশা করব আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

1000045708.png

1000046882.gif

ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন

@baizid123

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...