Better Life With Steem || The Diary game || 26/1/2025

in Incredible India2 months ago

হ্যালো গাইজ,,,

সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আসসালামু আলাইকুম,,

1000153928.jpg

বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি সকালটা যে রকম মিষ্টি ভাবে শুরু করছেন সারাদিনটা যেন সেই রকম ভাবে ভালো কেটে যায়। কারণ সকালটা ভালো কাটলে সারাদিনটাও সেদিন খুব সুন্দরভাবে কেটে যায় সকালের উপর ভর করে। যাই হোক আর দেরি না করে আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম আজকের ডাইরি গেম নিয়ে।


আজকের সকালটা শুরু হয় ভোর পাঁচটার সময়, ভাবছিলাম একটু সকাল সকাল ঘুমিয়ে যাব সারারাত ঘুমোতে পারিনি শুধু মাথা যন্ত্রণা করছে। সকালের দিকে চোখে একটু ঘুম আসলো এদিকে ছেলে আবার কান্না করে উঠল সে বাথরুমে যাবে। তারপর শোয়া থেকে উঠে ছেলেকে বাথরুম দিয়ে আসলাম। তারপর কতক্ষণ বিছানায় বসে রইলাম ;আর ঘুম আসছিল না।

1000153925.jpg

এদিকে দেখি আমাদের বিড়াল ছানা সে আমাদের ওঠার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেল তারপর আমার কাছে এসে বসে রইলো। আর হ্যাঁ, বলতে ভুলে গেছি বিড়াল ছানাটা হল পার্শিয়ান বিড়াল মানে বিদেশী বিড়াল। বিড়ালটা আনার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের নাম রাখে ছিল মিনি তারপর আমি আবার আদর করে একটা নাম রেখেছি টুশি নামটা সাহেবের খুব পছন্দ হয়েছে তাই সবাই এখন টুশি বলেই ডাকে। ছেলে আর টুশি বলতে পারে না সে টিস্যু বলে ডাকে।

বিড়ালটার সাথে দুষ্টুমি করতে বেশ ভালো লাগে ওর সাথে মাখামাখি করলে ও মাখামাখি করে। আমার ছেলে তো টুশিকে ছাড়া কিছুই বুঝে না খেতে গেলে ঘুমাতে গেলে ওর পাশে রাখবে এমনকি টুশি ওকে ছাড়া কিছুই বুঝেনা। যাইহোক টুশি কে নিয়ে অনেক কথাই বললাম মানে বিড়াল কে নিয়ে।

1000153909.jpg

এরপর ছেলে আসলো ছেলেকে হাত মুখ ধুয়ে দিলাম তারপর সে তার বন্ধুকে নিয়ে মানে বিড়াল ছানাকে নিয়ে খেলতে বসলো। এদিকে আমি হাতমুখ ধুয়ে এসে রান্না ঘরের দিকে চলে গেলাম সকালের জন্য নাস্তা বানাতে। আজকে সকালে নাস্তা বানাতে কোন তারা ছিল না শুধু রুটি বানালাম আর কালকের মুরগির মাংস ঝোল ছিল ওগুলো দিয়ে মজা করে সকালে নাস্তাটা সেরে নিলাম।

সকালে নাস্তা পর্ব শেষ করে তারপর কিছুক্ষণ বসে ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করি। যখন দেখি 11 টা বেজে গেল রান্না করতে হবে তারপর উঠে গেলাম। কেমন যেন অসুস্থ হওয়ার পর রান্নাঘরে মানে কোন কাজে হাত লাগাতে ইচ্ছা করছে না। মনে, হয় সব কিছু ছেড়ে নির্জন জায়গায় গিয়ে একা থাকতে পারতাম তাহলে মন মেজার শরীর ভালো লাগা খারাপ লাগার সবকিছু ঠিক হয়ে যেতো।

1000153920.jpg
1000153912.jpg

যাইহোক সংসারের কাজ নিয়ে আর গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেনি, উঠে পড়ে লেগে গেলাম। তারপর দুপুরে কি কি রান্না করবে তা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করা শুরু করে দিলাম।

রান্না শেষ হতে না হতেই আগে আমি গোসল করে নিলাম। কারণ, দুইদিন ধরে গোসল করিনি শরীরে খুব জ্বালাপোড়া লাগছে তাই রান্নার ভিতরে আমার গোসলটা সেরে নিলাম। তাড়াতাড়ি করে গোসলটা সেরে নিয়ে আবার রান্না ঘরে চলে যাই তারপর কিছুক্ষণ পর সবকিছু হয়ে গেলে উঠিয়ে নিই।

1000153918.jpg

ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে আমরা নতুন বাসায় যাব হয়তো নতুন বাসায় গেলে আবার কয়েকদিন পোস্ট লেখা গ্যাপ পড়তে পারে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব ঝামেলা পার করে আবার নতুন করে পোস্ট লেখা শুরু করব 'ইনশাল্লাহ'।

সবার গা গোসল হয়ে গেলে তারপর একসাথে বসে সবাই দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।খানাদানা শেষ করে তারপর ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি কোনভাবেই ঘুমাচ্ছে না তারপর চারটার সময় নিজের ইচ্ছায় ঘুম পড়ল। ছেলে চারটার সময় ঘুমিয়ে সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেল তখনও ঘুম থেকে উঠাতে পারছি না শেষমেশ ওর বাবা এসে উঠালো। তাও আবার মসজিদে নামাজ পড়ার কথা বলে। এতক্ষণে এশার আজান দিয়ে দিল তারপর ছেলেকে নিয়ে ওর বাবা মসজিদে চলে গেল।

1000153922.jpg

আর এদিকে আমি সন্ধ্যার নাস্তাটা সেরে নিলাম তাও লুকিয়ে। আর লুকিয়ে খাওয়ার কারণ হলো। আমার আজকের সন্ধ্যা বেলা বেশ চটপটি খেতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু সাহেবকে জানালে সে এনে দেবে না। কারণ সে জানে গ্যাসের কারণে আমার খুব পেটে জ্বালাপোড়া করছে আর এখন তার কাছে বললে এনে দিবে না বরঞ্চ আরো বকা দিবে।। তাই নিচে গিয়ে একটা বাচ্চাকে দিয়ে এনে খেয়ে নিলাম। তারা মসজিদ থেকে আসতে আসতে ততক্ষণ আমি খেয়ে পরিপাটি হয়ে ফোন নিয়ে পোস্ট লিখতে বসে পড়ি।

যাই হোক আজকের লেখা এখানেই সমাপ্ত করতে চাই। আবার অন্যদিন অন্য একটা পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আপনার দিনটা বেশ প্রাণবন্ত ছিল, বিশেষ করে টুশি আর আপনার ছেলের সম্পর্ক দেখে ভালো লাগল। সংসারের কাজ আর রান্নার চাপ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। লুকিয়ে চটপটি খাওয়ার ঘটনা মজার ছিল।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।