Better Life With Steem || The Diary game || 25/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে খুব সুন্দর একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে, এক গ্লাস পানি খেয়ে তারপর মেয়েকে নিয়ে মাদ্রাসায় চলে যাই।মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে দোকান থেকে মেয়েকে রুটি আর কলা কিনে দিলাম। মেয়ে মাদ্রাসায় ঢুকে গেল, এরপর আমি এদিকে কিছু কাঁচা সবজি কিনলাম।
তারপর বাসায় এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে," রান্না ঘরে সকালে নাস্তা বানাতে চলে যাই। নাস্তা বানানো হয়ে গেলে ছেলেকে খেতে দি, আর আমিও খেয়ে নিলাম তারপর কিছুক্ষণ আবার শুয়ে থাকি। দেখি ছেলে খাচ্ছে না তারপর রুটি আর ডিম টুকরো টুকরো করে বাটিতে রেখে দিলাম ওগুলো ও নিজের ইচ্ছামতন খেয়ে নিল।
এরপর সাহেব উঠে গেল তখন সকাল সাড়ে দশটা। সাহেব ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে গোসল করে প্যান্ট শার্ট পরে রেডি হয়ে বসলো তাকে সকালে নাস্তা খেতে দিলাম । খেতে যতক্ষণ সময় লাগলো তারপরে বের হয়ে গেল।
সাহেব আমাকে বিদায় জানিয়ে, চলে গেল আমি দরজা লক করে দিলাম তারপরে গেলাম রান্না ঘরে। রান্না বসিয়ে দিয়ে তারপর একটু আমি কাজে গেলাম। বিছানা চাদর বালিশের কাবার এবং কিছু কিছু ছেলে ও সাহেবের জামাকাপড় সেগুলো ধুলাম।
বাসার টুকিটাকি কাজ শেষ করলাম রান্নাটাও শেষ হয়ে গেল। এরপর গা গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ২:৩০মিনিটে ভিতরে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে নিয়েছি। খুব গরম লাগছিল তাই একটা বালিশ নিয়ে মেসেতে শুয়েছি আমি শুয়ার পর দেখি ছেলেও আমার সঙ্গে শুয়েছে তারপর মা ছেলে আমরা দুজনেই ঘুমিয়ে পরি।
ঘুম থেকে উঠলাম ছেলে বাসার ভিতরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি এবং গাড়ি নিয়ে দুষ্টুমি করতে লাগল আর এদিকে আমি আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়া শেষ করে ছেলেকে একটা আম কেটে দিলাম। ছেলে খেতে লাগলো আর আমি শুকনো কাপড় চোপড় গুলো গুছিয়ে রাখছি যেগুলো দুপুরে ধুয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ বাদেই সন্ধানে নেমে এলো, আজকের সন্ধ্যাটা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল,, আকাশটা দেখতে খুব সুন্দর ছিল তাই একটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এরপর মাগরিবের নামাজ শেষ করে ছেলেদের সন্ধায় পড়তে বসাই।
![]() |
---|
ছেলেকে পড়তে বসালাম এর মধ্যে আমার ছোট বোন ফোন দিল। আমি ফোন তোলার আগে ছেলে ফোন তুলে তার আন্টির সাথে কথা বলা শুরু করে দিল। এমনিতে ফোন দিলে ফোনের কাছেও যায় না পড়তে বসালাম তার জন্যই,, এই কান্ড । ৫ মিনিটের মতন কথা বললাম তারপর আবার ছেলেকে পড়তে বসায় খুব জোর করে পড়ালাম।
পড়ানো শেষ করে আমি এশার নামাজ পড়ি এরপর ছেলেকে রাতের খাওয়া দাওয়া করিয়ে ওকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। এরকম করে আমার আজকের দিনের মুহূর্তগুলো পার করি এবং সবকিছু পরিপূর্ণভাবে আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম ।।