Better Life With Steem || The Diary game || 25/1/2025

in Incredible India2 months ago

হ্যালো গাইজ,,,

সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আসসালামু আলাইকুম,,

1000153899.jpg

বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি।
জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে জীবনটা এত কঠিন ভাবে পার করতে হয়। আগে তেমন একটা বুঝিনি, অসুস্থ কয় দিনের ভিতরে বুঝতে পারলাম জীবনটা কত কঠিন ভাবে চলতে পারে। কোন বিপদে পড়লে বোঝা যায় প্রিয় মানুষ এবং কাছের মানুষ কতটা তাকে আগলে রাখে।


সত্যি কথা বলতে কি প্রায় অনেকদিন অসুস্থ কারণে, মায়ের কথা এতটা মনে পড়েছে যে, যা বলার বাহিরে এমনিতে সবসময় মনে পড়ে কিন্তু অসুস্থ সময় উঠতে বসতে সব সময় মায়ের কথা মনে পড়েছে। মনে, হয় মায়ের কোলের ভিতরে থাকলে আমি একটু শান্তি পেতাম অসুস্থতা তাড়াতাড়ি কমে যেত। আলহামদুলিল্লাহ এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছি তাই দেরি না করে আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম।

1000153890.jpg

প্রতিদিন সকালের চেয়ে আজকে সকালে একটু তাড়াতাড়ি উঠলাম মানে সাড়ে সাতটার সময়। অসুস্থ সময় তো দশটা সাড়ে দশটার সময় ওঠে তারপরও সকালে নাস্তা বানাতে হয়েছে আর এখনতো আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ হয়েছি। তাই একটু তাড়াতাড়ি উঠে হাত মুখ ধুয়ে বাসায় ভিতরে হাঁটাহাঁটি করে সকালের নাস্তা বানাতে লেগে পড়ি।

রুটি বানানো হয়ে গেলে তারপর একসাথে বসে রুটি খেলাম ভাজি দিয়ে আর তারপর ওষুধ খেয়ে নিলাম। বুঝতে পারেনি যে, আজকে পোস্ট লিখব তাই সকালের খাবারের মেনু ছবি তুলতে পারিনি।

1000153894.jpg

সকালে নাস্তা শেষ করে উঠতে দুপুরে রান্নার সময় হয়ে গেল। দুপুরে যা যা রান্না করব তা সবকিছু গুছিয়ে তারপর রান্না করা শুরু করে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করলাম বেগুন ভাজা , আর আলু দিয়ে ঝোল মুরগির মাংস। প্রথমে ভাত রান্না হয়ে গেলে তারপর বেগুন গুলো ভেজে রেখে এরপরে মাংস রান্না বসিয়ে দিলাম।

রান্নাটা বসিয়ে দিয়ে এদিকে দেখি প্রায় একটা বেজে গেল, তারপর ছেলেকে গোসল করাতে নিয়ে যাই। ছেলেকে গোসল করিয়ে দিয়ে হাতে পাই লোশন দিয়ে জামা কাপড় পরিয়ে দিয়ে তারপর রান্নাঘরের দিকে চলে গেলাম দেখি এদিখে আমার রান্নাটাও শেষ হয়ে গেল।

রান্না ঘরের কাজ কমপ্লিট করে তারপর আমি মুখ হাত ধুয়ে নিলাম আজকে আর গোসল করিনি, কেন জানিনা আজকে অনেক শীত লাগছে তাই হাত মুখ ধুয়ে মাথায় পানি দিয়ে চলে আসি।

1000153897.jpg

এসে এরপর ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম তারপরে আমার খাওয়া খেলাম। সাহেব বারোটার সময় বাসা থেকে বের হয়েছে। দুপুরবেলা তো ভাত খেতে আসেই নাই তার ভিতরে বিকেল হয়ে গেল তারপরও দেখি আসছে না।

দুপুরে খাবার-দাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি ছেলেও ঘুমিয়ে যায়। এমনকি ওর সঙ্গে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি ঘুমের কিছুক্ষণ পরেই আবোল তাবোল স্বপ্ন দেখি যার কোন মানে নেই তারপর উঠে যায়। উঠে কি করবো ভালো লাগছিল না তাই পোস্ট লিখতে বসে পরি। পোস্ট লিখতে বসে মনে, হয় লেখা সামনের দিকে এগোচ্ছে না । তাই অনেকটা সময় লেগে গেল আজকের পোস্টটা লিখতে।

তবে আজকের লেখা এখানেই সমাপ্ত করতে চাই। আবার অন্যদিন অন্য একটা পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

অনেক দিন আপনি অসুস্থ ছিলেন। ঈশ্বরের কাছে কামনা করি আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে অনেক কাজ কর্মই করেছেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে সারাদিন কাজকর্ম করতে করতে দিন কেটে যায়। সারাদিনের ব্যস্ততা শেয়ার করে নেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

অসুস্থতার মাঝেও আপনি যে আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনি আগের তুলনায় বেশ সুস্থ আছেন। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন অসুস্থতার সময় মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। মনে হয় মায়ের কোলের ভিতর থাকলে সকল অসুস্থতা সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

আপনার পোস্ট আমার কাছে প্রতিদিনের মতো আজকেও বেশ ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন আপু। নিজের খেয়াল রাখবেন।

 2 months ago 

আপনার পোস্টটা পড়তে পড়তে সত্যিই অনেক কিছু মনে পড়লো। অসুস্থতার সময়ে মায়ের প্রতি যে অনুভূতি, তা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। আলহামদুলিল্লাহ, আপনি এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছেন, এবং আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করতে শুরু করেছেন। আপনার রান্না, ছেলেকে গোসল করানো, এবং দিনের বাকি কাজগুলো বেশ সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। এই ধরনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই জীবনের সৌন্দর্য, যা অনেক কিছু শিখিয়ে যায়। আল্লাহ আপনার সুস্থতা বজায় রাখুক এবং আপনার জীবন আরও সুখী হোক।