Better Life With Steem || The Diary game || 17/6/2025
হ্যালো বন্ধুরা
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। তবে আজকে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি পর্যন্ত সময়গুলো ভালই কেটেছে, সেটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আজকে সকালে ৭ঃ২০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। উঠে দেখি বাহিরে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে এবং ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস বইছে। সকাল বেলার আবহাওয়াটা বেশ ভালই ছিল । ঘুম থেকে ওঠার পর হাতমুখ ধুই এক গ্লাস পানি খেয়ে। এরপর বোরকা পরে রেডি হলাম কিছু মুদি বাজার লাগবে সেগুলো নিয়ে আসতে।
![]() |
---|
মেয়ে দুদিন আগে বলেছিল বিরিয়ানি খাবে। তাই বিরায়ানিতে যা যা লাগবে সেগুলো আর খুঁটিনাটি কিছু বাজার নিয়ে আসি। সাড়ে সাতটায় বাসা থেকে বের হলাম, আবার ২০ মিনিটের ভিতরে চলে আসি বাজার করে ।
এসে দেখি তখনো সাহেব এবং তার ছেলে মেয়ে তারা সবাই ঘুমাচ্ছে। এরপর আমি কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বসে বিশ্রাম নিয়ে রান্না ঘরে চলে যাই। রুটি আর ডিম ভাজি করি সকালে নাস্তা জন্য।
এরপরে একে একে করে দশটার দিকে সবাই ঘুম থেকে উঠে গেল, হাত মুখ ধুয়ে এসে বসলো তারপর নাস্তা খেতে দিলাম। সাহেব সকালে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পরল। এদিকে আমি কিছুক্ষণ জন্য ফোনটা হাতে নিলাম। তখন সকাল ১১ঃ০০ টা বাইরে ফোঁটা ফোঁটা করে বৃষ্টি পড়ছে আমি জানালার পাশে গিয়ে হাতটা বারিয়ে একটা ফটোগ্রাফি করি।
মধ্য সকালের দৃশ্য খানা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। বারান্দায় বেশিক্ষণ সময় না দাঁড়িয়ে রান্না ঘরে চলে যাই। বিরিয়ানির রান্না করতে যা যা লাগবে তা সব মশলা পাতি গুছিয়ে নিয়ে রান্নাটা বসিয়ে দি।
![]() |
---|
সারে বারোটার দিকে আমার দুপুরের রান্নাবান্না সবকিছু কমপ্লিট হয়ে যায়। এরপর রুম গুলো ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে গোসল করাতে নিয়ে যায় এবং আমিও গোসল করে আসি। গোসল শেষে জোহরের নামাজ পড়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি এরমধ্যে মা ফোন দিল মার সাথে ভিডিও কলে কথা বলি। মায়ের সাথে কথা বলা শেষ করে। তারপর আমার নিজের একটু ব্যক্তিগত কাজে চলে যায় আর সেটা হল। নিজেকে একটু ফ্রেশ লুকি দেখতে চাই। সারাদিন কাজকর্ম ব্যস্ততার ভিতরে নিজের দিকে তাকানোই হয় না। কালকে একটা অনলাইন থেকে চন্দন থানাকা নিলাম।
এই থানাকাটা দিলে নাকি চোখের নিচে কালো দাগ, পিমপুলের দাগ, এবং আরো নানান ধরনের দাগ সমস্যার রিমুভ হয়ে যায়। তাই একটা কম্বো নিলাম দিয়ে দেখি সত্যি এটা কাজ করে কিনা। তাই আজকে বিকাল থেকেই দেওয়া শুরু করলাম।
এক ঘন্টা পর আসরের আজান দিলো মুখ হাত ধুয়ে ওযু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পরে কিছু অবসর সময় কাটালাম।
![]() |
---|
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল, এরপর মাগরিবের নামায পরি। নামাজ পরে ছেলেকে। কয়েকটি লিচু খেয়ে দিলাম লিচুতে এক কামড় দিয়ে থু থু করে ফেলে দিলো। জোর করে আর খাওয়াতে পারিনি আমি খেলাম, আর ও অন্য কিছু খেলো।
যাইহোক বন্ধুরা, এরকম করে আজকে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি মুহূর্তগুলো পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি। আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
যে রাতে অনেক বেশি বৃষ্টি হয় সেই রাতে ঘুম তো আমার অনেক ভালো হয় তার পাশাপাশি সকালে তো ঘুম থেকে উঠতে একে বারে মন চায় না তবে আপনি ঘুম থেকে সকালে উঠেই বাজারে রওনা দিয়েছেন কারণ আপনার মেয়ে বিরানি খাওয়ার জন্য বলেছিল এবং বিরানী রান্নার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় জিনিস ছিলো সেগুলো আপনি নিয়ে এসেছেন এটা সত্যি একটি মায়ের ভালোবাসা বলতে হয়।