Better Life With Steem || The Diary game || 14/6/2025
হ্যালো বন্ধুরা,
![]() |
---|
পোস্ট লেখা শুরুতেই আপনাদের সবার কথা জিজ্ঞেস করবো, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি বেশ ভালোই আছি এবং ভালো দিনকাল চলছে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকে সারাদিনের কার্যক্রম গুলো তুলে ধরবো আশা করি সবার খুব ভালো লাগবে।
এত গরম পরছে যে, মানুষ সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পালা। দিনের বেলা যেমন তেমন গরম সহ্য করা যায়। কিন্তু রাতে ঠান্ডা মাথায় একটু ঘুমোতে না পারলে তো আরো খারাপ লাগে। তবে আমাদের বাসায় সমানে গরম লাগছে যেমনি রাত্রে তেমনি দিনের বেলা।
আর হ্যাঁ, আমাদের বাসায় বেশি গরম লাগার কারণ হলো আমরা ছয় তলা ফ্ল্যাটে থাকি উপরে আর কোন ফ্ল্যাট নেই তাই অনেকটা পরিমাণ গরম লাগছে। মনে হচ্ছে বাসা থেকে বাহিরে ভালো লাগে। সাহেব রাত্রে বারোটার সময় বাসায় আসে এবং বাসার ভিতরে গরমের কারণে ছটফট করে। গরমের কারণে রাতে ঠিক মতন ঘুমোতে পারি না হাঁটাচলা করে রাতটা পার করতে হয়। তারপরে একটু সকাল সকাল ঘুম হয় ।
তারপরে খুব কষ্ট করে সকাল আটটার সময় ঘুম থেকে উঠি বিছানা ছেড়ে। এরপরে উঠে হাতমুখ ধুয়ে রান্নাঘরে যাই সকালে নাস্তা বানাতে। সকালে নাস্তার জন্য রুটি বানাচ্ছি আর এদিকে শরীর থেকে টপটপ করে ঘাম পড়ছে। রুটি বানানো শেষ করে আর সঙ্গে সঙ্গে খেলাম না, বিছানায় এসে ততক্ষণ বসে বিশ্রাম নিলাম মানে শরীরটা ঠান্ডা করলাম।
আমার নাস্তা বানানোর শেষ হলো সাহেব সাড়ে দশটায় ঘুম থেকে উঠল। তাও সে নিজে থেকেই উঠেনি, ভাইয়া ফোন দিল তার ফোন পেয়ে উঠলো।গা গোসল করে সকালে নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়ল ।
![]() |
---|
আর এদিকে আমার দুপুরে রান্নার পালা আমার রান্নাঘরের দিকে যেতে একটু মন চাইছে না। প্রচন্ড গরমের কারণে,তার উপরে কারেন্ট আবার বারবার আসা-যাওয়া করে। কোনভাবে আস্তে আস্তে রান্নার কাজে লেগে পড়ি।
রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর রান্না বসিয়ে দিয়ে আবার রুমে এসে বসে পড়ি। কিছুক্ষণ মাথায় পানি দি, আবার মুখে পানি দি, ঝটপট করে রান্না শেষ করে নিলাম। রান্না ভালো হইছে না খারাপ হয়েছে সেই দিকে আর মাথা ঘামাইনি, রান্না শেষ মানে আমার বড় কাজ করা শেষ।
![]() |
---|
এই গরমে আবার ছেলে বলে ভাতের মার খাবে। এতটা গরমে আবার মার খাবে আমি অনেকবার খেতে নিষেধ করলাম তারপর সে বলে না আমি খাব তাই কতটুকুই এনে বাটিতে দিলাম।
ছেলে ভাতের মার খেতে লাগলো আর আমি সব রুমগুলো সুন্দরভাবে ঝাড়ু দিয়ে নিলাম। তারপরে গা গোসলে গেলাম। মা ছেলে গোসল শেষ করে এসে বসলাম । তারপর আমি যোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিই। আর ছেলেকে ভাত খাওয়াতে এদিকে আর একবার আমার গোসল করা হয়ে যায়।
![]() |
---|
ছেলের ভাত খাওয়া শেষ করে তারপর আমি খেয়ে নিলাম। খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম ভাবছি একটু ঘুমাবো তা পারিনি, শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা হাতে নিলাম এবং কিছুক্ষণ ফেসবুকে ভিডিও দেখি।
ফোন হাতে নেই কিছুক্ষণ সময় কাটালাম আর ভালো লাগছে না তারপর বারান্দায় গেলাম । রাস্তার হাঁটাচলা মানুষগুলো দেখি আর সবুজ গাছপালার দিকে তাকিয়ে থাকি।
![]() |
---|
এরপর আজান দিল আর দাঁড়িয়ে না থেকে আসরের নামাজ পড়ি। এখন দিনের বেলা অনেক বড় আসরের আযান দেওয়ার পরও অনেকক্ষণ সময় থাকে। প্রায় সাতটার দিকে সন্ধ্যা হয়।
এরপর বিকেলটা পার হয়ে গেল সন্ধ্যায় নামাজ পড়ে ছেলেকে স্যুপ নুডলস রান্না করে দিলাম। ছেলের খাওয়া শেষ হলে ওকে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়াতে বসি । আমার ছেলের সারাদিন যেমন তেমন কেটে যায়। পড়তে বসলেই বলে আম্মু খুব গরম লাগছে, পেট ব্যাথা করে, একটু হাঁটাচলা করে আসি এরকম ন্যাকামি বেড়ে যায়।
আমি ওর ন্যাকামিতে মাথা না ঘামিয়ে জোর করে পড়তে বসায়। পড়াশোনা শেষ হলে রাতের খাবার খাইয়ে দি, এবং আমিও খেয়ে থাকি এরপর শুরু হয় রাতের বেলা গরমের সাথে যুদ্ধ ।
যাইহোক বন্ধুরা, আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি। আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
বেশ ভালো লাগলো অনেক দিন পরে আপনার পোস্টটা পড়ে,,বর্তমানে যে পরিমাণে গরম পড়ে তার উপরে আবার ছয় তলার উপর এজন্য হয়তোবা গরমের পরিমাণটা খানিকটা বেশি,, তবে যতই অসুবিধা হোক না কেন আমাদের মেয়েদের সাংসারিক কাজ প্রতিদিন করতেই হয়।
যেমনটা আপনিও খুব সুন্দর ভাবে করছেন,, সারাদিনে রান্নাবান্না বাচ্চাদের দেখাশোনা করা এর মাঝে আবার বিকেল বেলা নিজেকে সময় দেওয়া সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা দিন কেটেছে আপনার। বেশ ভালো লাগলো আজকের পোস্টটা পড়ে।
অনেক দিন পড়ে আপনার কোনো লেখা সামনে আসলো। আসলেই প্রচন্ড রকমের গরম পরেছে।আর যারা টপ ফ্লোরে থাকে তাদের অবস্থাতো আরো খারাপ। আমি নিজেও টপ ফ্লোরে থাকি তাই জানি কেমন লাগে এই গরমে।
আর এই গরমে রান্না করাটা খুবই কঠিন একটা কাজ। আমি রাতের বেলা কাটাকাটি করে কিংবা যদি কিছু সেদ্ধ করে রাখা যায় এমন জিনিসগুলো আগেই করে রেখে দেই। এতে করে গরমের মাঝে কষ্টটা সামান্য হলেও কমে।
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।