গরুর মাংসের রেজালা (Beef Rezala) || Banglachef Special
শুভ সকাল বন্ধুরা,
আমি আজ তোমাদের সাথে নতুন আরো একটি রেসিপি ভাগ করে নেব, এটা বাঙালীদের কাছে বেশ প্রিয় একটি খাবার বলতে পারেন, বিশেষ করে বাংলাদেশীদের নিকট এই আইটেমটি অত্যাধিক জনপ্রিয়। অনেকেই বলে থাকেন, বাংলাদেশীরা বেশী গরুর মাংস খায়, তাই তাদের মাথা সব সময় গরম থাকে, হা হা হা। বিষয়টি যাইহোক বাংলাদেশীদের মাথা একটু বেশী গরম এইডা কিন্তু সত্য।
তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব বেশী মাংস পছন্দ করি না, তবে মাঝে মাঝে কাউকে খুশি করানোর জন্য খেতে হয়। আমার বেশী পছন্দ সাধারন সবজি এবং মাছ। বিশেষ করে ভাজা মাছ হলে আমার আর কিছুই লাগে না। আমি মাছে ভাতে বেশী সন্তুষ্ট থাকি আরকি। যাইহোক কথা প্রসঙ্গে অন্য দিকে যাওয়া ঠিক হবে না।
আজ যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব এটি হলো গরুর মাংসের রেজালা। গরুর মাংস দিয়ে আমাদের দেশে অনেক পদের রান্না হয়। তবে মাংসের এই রেজালা আবার দুই পদের একটিকে শুধু মাংসের রেজালা বলে আর দ্বিতীয়টিকে বলে শাহী রেজালা। আসলে রান্নার পদ্ধতি ও স্বাদের কথা বিবেচনা করে এই রকম নাম দেয়া হয়। চলুন দেখি আমার আজকের মাংসের রেজালা রেসিপিটি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- গরুর মাংস
- পেয়াজ
- আদা পেষ্ট
- দুধ
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- জিরা গুড়া
- রেজালা মসলা পেষ্ট
- দারুচিনি
- তেজপাতা
- এলাচ ও লং
- লবন এবং
- তৈল।
গরুর মাংসের রেজালা তৈরীতে খুব বেশী উপাদানের প্রয়োজন হয় না, তবে যেহেতু অনেক পদের মসলার মিশ্রন করতে হয় তাই প্রতিটি ধাপে ধাপে একটু বেশী যত্নশীল হওয়া লাগে।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মাংসগুলোকে আমরা সাইজ মতো কেটে নেব এবং এগুলোকে ধুয়ে ভালোভাবে পরিস্কার করে একটি পাত্রে রাখবো।
তারপর একটি পাতিল চুলায় দিবো এবং এর সাথে কিছু তেল ও গরম মসলাগুলো দেয় গরম করবো।
এরপর এগুলোর সাথে পেয়াঁজ কুচিগুলো দিবো এবং কিছুটা সময় রান্না করবো যাতে পেয়াজের রংগুলোর কিছুটা পরিবর্তন হয়।
এখন এগুলোর সাথে হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, জিড়া গুড়া, আদা পেষ্ট, রেজালা মসলা পেষ্ট ও লবন দিয়ে ভালো কষা তৈরী করবো। এর জন্য কিছুটা সময় আমাদের রান্না করতে হবে, সবগুলো মসলা ভালোভাবে মিশ্রন হবে।
মসালাগুলো কষা হয়ে গেলে আমরা মাংসগুলো এর উপর ঢেলে দেব এবং মসলগুলোর সাথে ভালোভাবে মিক্স করার চেষ্টা করবো।
এখন এভাবে আমরা আরো কিছুটা সময় রান্না করবো এবং মাংসগুলোকে নেড়ে চেড়ে দিবো ভালোভাবে।
মাংসগুলো কষানো হয়ে গেল এগুলো সাথে কিছুটা পানি মিক্স করবো এবং দ্রুত সিদ্ধ হওয়ার জন্য মাংসগুলো ঢেকে দিবো।
মাঝে মাঝে ঢাকনা উঠিয়ে দেখবো এবং মাংসগুলোকে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিবো। এটা খেয়াল করে করতে হবে।
এবার লক্ষ্য করুন রান্নাগুলো কি সুন্দর হয়েগেছে, প্রয়োজনে একটি মাংস উঠিকে চেক করতে পারেন। ব্যস হয়ে গেলো আমাদের গরুর মাংসের রেজালা।
বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের দেশে ঐতিহ্য অনুযায়ী এই রকম রান্না বেশী খাওয়ার চেস্টা করা হয় এবং সবাই বেশ আগ্রহের সাথে এগুলোর স্বাদ উপভোগ করার চেষ্টা করেন। আশা করছি রান্নাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
খুবই চমৎকার রান্না হয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে খাবারটা অনেক মজা হয়েছে। গরুর মাংস হলে আর কি লাগে।
আসলেই অনেক মজা হয়েছে, যদিও আমি কম খাই।
ভাই খেতে ইচ্ছে করছে। একদিন ঠিক দাওয়াত নিব।
অবশ্যই ভাই, একসাথে মজা করে খাবো।