ইউরোপের সবচেয়ে দামি চিত্রকর্ম - Hans Sebald Beham

in #great4 years ago (edited)

FB_IMG_1597347599959.jpg

শিল্পের শ্লীল-অশ্লীল নির্ধারন করবে কে? ছবিটিকে দেখেই কিছু পাঠক নাক উঁচু করতেই পারেন। কিন্তু এর আসল ঘটনাটা আপনাদের জানা দরকার। ইউরোপের সবথেকে দামি ছবিগুলোর মধ্যে একটি হল “Hans Sebald Beham” এর অঙ্কন করা এই ছবিটি। ছবিটি প্রথমে দেখে আপনাদের মনে নানান ভালো মন্দ চিন্তাভাবনা আসতে পারে কিন্তু আসল সত্যটা জানলে আপনারা মানবতার মমতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হবেন। আসুন জানা যাক এই ছবিটির পিছনে লুকিয়ে থাকা আসল গল্পটি কি? এই গল্পটি কন্যা পেরোর তার বাবা সিমোনের প্রতি ভালোবাসার গল্প। রোম সাম্রাজ্যে একসময় একটি লোকের না খেয়ে মৃত্যুর শাস্তি মিলল । ঐ ব্যক্তিকে একটি জেলের ভেতরেই শিকল দিয়ে বেধে বন্দি করে রাখা হল ।

আর শাস্তিটা ছিল এমন যে যতদিন না ওনার মৃত্যু হয় ততদিন ওনাকে কোনো কিছু না খেয়েই থাকতে হবে । এরকম শাস্তি আগে বহু লোককেই দেওয়া হয় এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সবাই বৃদ্ধ। এমত অবস্থায় ওনার কন্যা ওনার সাথে প্রতিদিন দেখা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করল এবং সরকার তাকে অনুমতিও দিলেন কিন্তু শর্ত ছিল যে উনি ওনার বাবার জন্য কোনোরকম খাওয়ার বা বাইরের অন্যকোনো কিছু নিয়ে যেতে পারবেন না। প্রতিদিন দেখা করার আগে ওনাকে ভালো করে পরীক্ষা করে নেওয়া হতো যাতে উনি ওনার বাবার জন্য কোনো রকমের খাবার বা অন্য কোনো জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন । কিন্তু বাবার এ হেন অবস্থা মেয়েটি প্রতিদিন আর দেখতে পারছিলেন না । তাই নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য নিরুপায় হয়ে নিজের বুকের দুধ পান করাতে বাধ্য হন । আর এদিকে যখন কিছুদিন যাবার পরও ঐ লোকটির মৃত্যু হলোনা তখন প্রহরীদের সন্দেহ বাড়তে লাগলো এবং বাবাকে নিজের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় মেয়েটিকে ধরে ফেলল। এই বিষয়ের উপর আবার মামলা মোকদ্দমা শুরু হলো । তখন সরকার আইন কানুনের জায়গা থেকে সরে ভাবনার জায়গা থেকে এই বিষয়ের বিচার করলেন এবং রায়ে দুজনকেই মুক্তি দিলেন। এটা নিয়ে পৃথিবীতে বহু সিনেমা ও বই লেখা হয়েছে। তাই তো বলা হয় যে- নারী যেই রূপেই থাকুক না কেনো , তা সে "মা" , তা সে "স্ত্রী" , তা সে "বোন" আর তা সে "মেয়ে"ই হোক প্রতিটি রূপেই এরা বাৎসল্য , ত্যাগ আর মমতার মূর্তি । #কপি

সূত্র: উইকিপিডিয় ও ওডি বাংলা