মজাদার পেয়ারা মাখা
পেয়ারা মাখা। দেখে না একদম পানি চলে আসছে। গত পরশু দুপুরের গোসল করে ছাদে গেলাম যেহেতু এখন শীত বেশি। চুল শুকানোর জন্য ছাদে গেলাম। ছাদের দিয়ে দেখি আমাদের নিচ তলায় একটা ভাড়াটিয়া থাকে ওর নাম রেশমা। ও এক গামলা পেয়ারা মাখিয়ে আমাদেরকে ডাকছে খাওয়ার জন্য। সাধারণত এত টক জিনিস পছন্দ করি না। তারপরও কি মনে হল একটু খেলাম। একবার মুখে দিয়ে মুখের মধ্যে কি কি যেন ব্লাস্ট করে উঠলো। এত স্বাদ পেয়ারাগুলো শীতের পেয়ারা তো খুবই মজা। বর্ষাকালে সাধারণত পেয়ারাগুলো পানসে হয় আর একদম টেস্ট লাগেনা। কিন্তু শীতের পেয়ারা অনেক টেস্টি হয়। পেয়ারাগুলো কুচু কুচু করে কাটা সাথে এতগুলো তেতুল ভাজা শুকনো মরিচ এত মজা হয়েছিল যে আমি গামলাটা পর্যন্ত চেটে চেটে খেয়েছি।
টক একদমই পছন্দ না কিন্তু কেন যেন সেদিন খুব মজা লাগলো। তারপর যেন আবার ওই সময় ঠিক ওইটা খাওয়ার জন্যই আমার মুখের মধ্যে কেমন যেন লকলক করা শুরু করল। ওই জন্য আমি রেশমা কে খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম যে এরকম করে মাখা করে দাও দুইদিন আবার ওর পরীক্ষা ছিল এজন্য খাওয়া হয়নি। তো আজকে সকালে আবার আমার মা অনেকগুলো পেয়ারা নিয়ে ছাদে চলে গেল আর রেশমাকে দেকে এনে বলল হে তো আবার পেয়ারা মাথা করে দে। আজকেও আবার সেই অদ্ভুত স্বাদ। আজকে আবার আস্তে আস্তে টুকটুক করে সব পেয়ার মাখাগুলো খেলাম। হঠাৎ করে কেন যেন আবার তক জিনিস সেটা আমার ভালোই লাগছে।
পেয়ারাগুলো মিষ্টি মিষ্টি ছিল টকের সাথে মেখেছে ঝাল দিয়ে এত ভালো লাগছিল। আমি আমার মা, আমার বোন বোনের তিন বছরের মেয়ে পর্যন্ত খেয়েছে।এত মজা ছিল।