ফুলকপি দিয়ে দেশি কৈ মাছের ঝোল রেসিপি❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ফুল কপি দিয়ে দেশি কৈ মাছের ঝোল রেসিপি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
রিমঝিম বৃষ্টি হচ্ছে আর এই বৃষ্টির দিনে আমি দেশি কৈ মাছ দিয়ে ফুলকপির ঝোল রান্না করেছি তাই এখন আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
ফুলকপি মুলত শীতকালীন সবজি কিন্তুু সারা বছর পাওয়া যায় কিন্তুু দাম বেশি। ফুলকপি খুবই সুস্বাদু ও ভিটামিন যুক্ত একটি সবজি। এই সবজি কম বেশি সকলের প্রিয়।
দেশি কই মাছ খুব কম পাওয়া যায় সারা বছর তবে বর্ষায় বেশ ভালোই পাওয়া যায গ্রামে কৈ মাছ।সারা বছর হাইব্রিড কই মাছে ছয়লাব বাজার কিন্তুু দেশি কৈ মাছ বাজারে খুবই কম পাওয়া যায়। দেশি কৈ মাছের পুষ্টি গুণ অনেক বেশি। দেশি কৈ মাছের যে কোন রেসিপি খেতে দারুণ লাগে।আজ আমি শীতকালীন সবজি ফুলকপি দিয়ে দেশি কৈ মাছের মজাদার রেসিপিটি করেছি।খেতে অসম্ভব সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটি।
তো চলুন দেখা যাক ফুলকপি দিয়ে কৈ মাছের ঝোল রেসিপি টি কেমন।
১.ফুল কপি |
---|
২.কৈ মাছ |
৩.পেঁয়াজ কুচি |
৪.পেঁয়াজ বাটা |
৫.জিরাবাটা |
৬.গোটা জিরা |
৭.আদা বাটা |
৮.গরম মসলা |
৯.লবন |
১০.হলুদ |
১১.তেল |
১২.গুড়া মরিচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে ফুলকপি আলু কেটে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন কৈ মাছ কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন কৈ মাছে লবন হলুদ দিয়েছি ও মেখে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন কড়াইয়ে তেল দিয়ে তা গরম করে নিয়েছি এবং আগে থেকে লবণ হলুদ মেখে রাখা মাছ গরম তেলে দিয়েছি ও এপিঠওপিঠ ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন মাছ ভাজা তেলে গোটা জিরা ফোঁড়ন দিয়েছি ও তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি।হালকা ভেজে নিয়েছি পেঁয়াজ কুচি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আগে থেকে কেটে জল ঝড়িয়ে রাখা ফুলকপি ও আলু গুলো দিয়েছি এবং তাতে পরিমাণ মতো লবণ হলুদ দিয়েছি ও নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন বাটা সব উপকরণ ও মরিচের গুড়া দিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন পরিমাণ মতো জল দিয়েছি ও কিছু সময় তরকারি ফুটিয়ে নিয়েছি।ফুটিয়ে নেয়া তরকারি তে আগে থেকে ভেজে রাখা কৈ মাছ গুলো দিয়েছি ও নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি ও রান্না করে নিয়েছি।
নবম ধাপ
পুরাপুরি ভাবে রান্না হয়ে গেছে তাই গরম মসলা দিয়ে নারাচারা করে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি ফুলকপি দিয়ে কৈ মাছের ঝোল।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ফুলকপি দিয়ে দেশি কৈ মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁর কারণ আপনি অনেক সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে রেসিপি তৈরি করেন এবং সেটা আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেন। আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করে রেসিপি তৈরি করেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আমার প্রতিটি রেসিপি আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো।
https://x.com/DattaShapla/status/1925847719936962615?t=x3nHdvBUPe_jHqPSkPI4lQ&s=19
https://x.com/DattaShapla/status/1925850072845095067?t=YPh3Y6RN-hUgRSP1711Z5g&s=19
ফুলকপি আমার খুব পছন্দের একটি সবজি। আর দেশি কৈ মাছ দিয়ে এভাবে রান্না করলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগবে। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে ধন্যবাদ মজাদার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ফুল কপি আমারও অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফুলকপি দিয়ে খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কৈ মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে কৈ মাছের রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশি কই মাছ দিয়ে আপনি তো ভীষণ মজাদার ফুলকপির রেসিপি তৈরি করলেন। আমার কাছে কই মাছ এবং ফুলকপি দুটোই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু কই মাছ কাটা হবার কারণে একটু কম খাই। কিন্তু ফুলকপিটা খেতে একটু বেশি পছন্দ করি আপনার এই মজাদার রেসিপিটি দেখে ভীষণ লোভ লাগলো। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দেশি কই মাছ কমেই খাওয়া হয় আমারও কারণ দেশি কই মাছ খুবই কম পাওয়া যায়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফুলকপি আর দেশি কৈ মাছ—দুইটিই আমাদের রসনাতৃপ্তির পরম উপাদান। একদিকে শীতকালীন তাজা ফুলকপি, অন্যদিকে দুর্লভ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর দেশি কৈ মাছ—এই দুইয়ের মেলবন্ধনে তৈরি একটি অসাধারণ রেসিপি নিঃসন্দেহে রসনাবিলাসীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। এমন এক পদ, যা ঘ্রাণে, স্বাদে ও পুষ্টিতে অনন্য। বিশেষ করে গ্রামবাংলার স্বাদ যারা মিস করেন, তাদের জন্য এই রেসিপিটি যেন একটুকরো স্মৃতির হাতছানি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমান বারো মাস সকল সবজি পাওয়া যায়। আর দেশি কৈ মাছে অনেক পুষ্টি রয়েছে। তবে দেশি কৈ মাছ সহজে পাওয়া যায় না। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। কালারটা দারুণ এসেছে। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফুলকপি দিয়ে দেশি কৈ মাছের ঝোল শুনেই কেমন মুখে জল চলে আসছে। এমন রান্না খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। দেশি কৈ মাছ ভীষণ সুস্বাদু হয় খেতে। আপনি অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফুলকপি দিয়ে অনেক সুন্দর করে আপনি দেশি কৈ মাছ রান্না করেছেন। দেখেই অনেক সুস্বাদু লাগছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক সুন্দর পদ্ধতিতে আপনি রান্না করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো রেসিপিটি।
আজকে আপনি ফুলকপি দিয়ে মজার কৈ মাছের রেসিপি করেছেন। আর দেশি কৈ মাছ দিয়ে যে কোন কিছু রান্না করলে খেতে এমনিতে মজা লাগে। খুব সুস্বাদু কৈ মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।