নাচ দেখা ও গান শোনার মধ্যে কয়েক ধরনের গোনাহ রয়েছে।
প্রথমতঃ চোখের গোনাহ।যার জন্যে হাদীস শরীফে চোখ উত্তপ্ত শিশা ঢেলে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃশোনার গোনাহ।হাদীসের মতে এটা হল কানের যিনা।
-এক্ষেত্রে হাত ও যবানের গোনাহ ও প্রায়ই সংঘটিত হয়ে থাকে। কারণ অনেকে নর্তকী মহিলাদের সাথে আলাপ করে আনন্দ ভোগ করে।তাদের শরীর স্পর্শ করে কাম বাসনা চরিতার্থ করে।পায়ের দ্বারা নৃত্যানুষ্ঠানে যোগদান করে।এতে পায়ের যিনা ও সংঘটিত হয়।
কেননা গান বাজনা নিঃসন্দেহে হারাম।
.
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ,বলেছেন
কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা,
অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা,
অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা,
ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া
পায়ের যিনা,
খারাপ কথা শোনা কানের যিনা, আর
যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা
মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে
পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”।
[সহীহ আল-বুখারী, মিশকাত:৮৬, সহীহ আল-
মুসলিম:২৬৫৭, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-
নাসায়ী]
.
যিনা হারাম ও অত্যন্ত মন্দ কাজ । আল্লাহ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা
করে বলেছেন, “তোমরা যিনার কাছেও
যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং
খারাপ কাজ।”
[সুরা বনী-ইসরাঈলঃ ৩২]
.
বহু হাদিস দ্বারা একথা প্রমাণিত যে, যে পাপ প্রকাশ্যে করা হয় তা গোপনে কৃত পাপ হতে মারাত্মক! কেননা প্রকাশ্যে পাপ করার দ্বারা এক দিকে তার নির্লজ্জতা ও আল্লাহর থেকে নির্ভীকতা প্রকাশ পায়, দূর-দূরান্ত হতে মানুষ আগমন করে উক্ত অনুষ্ঠানের প্রচারণা ও সহযোগীতা করে।আর মানুষের সমবেত হওয়ার দ্বারা যে পাপকার্জ সংঘটিত হয় তা বাস্তবায়নের গোনাহ ও তাদের উপর পৃথকভাবে হয়।আর যারা উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা করে আল্লাহ জানেন কিয়ামতের দিবসে কি পরিমাণ শিশা গরম করে তাদের চোখে ঢালা হবে।বিভিন্ন সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,
যার মাধ্যমে মানুষ কোন গোনাহর কাজে লিপ্ত হয়,তাদের সকলের সম্মিলিত গোনাহের পরিমাণ সে একাই গোনাহগার হয়।আর নিজের ব্যক্তিগত গোনাহ তো পৃথক হবেই।সুতরাং নৃত্যানুষ্ঠানে যত মানুষ যোগদান করবে তাদের সকলের যে পরিমাণ গোনাহ হবে সে পরিমাণ গোনাহ নর্তকীর একার উপরে হবে।তদ্রূপ যে এর আয়োজন করে সে নর্তকীর চেয়ে আরো অধিক গোনাহগার হবে।কারণ সেই উক্ত অনুষ্ঠানের মূল ব্যবস্থাপক।
.
হে আল্লাহ আমাদেরকে নাচগান এর অশ্লীলতা বেহায়াপনা ও এর দ্বারা সংগঠিত সকল পাপ থেকে রক্ষা করুন। আমীন।।