ঘাটাইলে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখছে ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালারা
‘এই কাগজ - আছেনি কাঁচ ভাঙ্গা, ছেঁড়া জুতা, পুরাতন লোহা-লক্কড়’ প্লাস্টিকের বোতল’ এ ভাবেই ডেকে যাচ্ছিলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বর গ্রামের ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালা হাকিম আলী ৫৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা।
শুধু হাকিম আলী নয় ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় প্রায়ই শোনা যায় এই রকম হাঁক-ডাক। এই ডাক যাদের কণ্ঠে শোনা যায় এলাকায় তারা ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত। তবে এরা ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালা বা ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালা হলেও পরিবেশের ভারসাম্য রায় এরা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। একদিকে যেমন এইসব পুরানো জিনিস কেনা-বেচি করে দরিদ্র্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশ রা হচ্ছে দূষণের হাত থেকে। পরিবেশ রায় নীরবে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন এই ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালারা। গ্রামের দরিদ্র্য পরিবারের সদস্যরাই মূলত ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালা। এরা বেশিরভাগ ভাঙ্গাওয়ালা মহাজনের কাছ থেকে পুঁজি নিয়ে থাকে। এতেও তারা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ রয়েছে। ফেরিওয়ালারা মহাজনের কাছ থেকে পুঁজি নিয়ে গ্রামে-গ্রামে ঘুরে পুরানো জিনিসপত্র কিনে সামান্য লাভে আবার সেই মহাজনের কাছে বিক্রি করে। ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালাদের নিকট থেকে মালামাল ক্রয়ের জন্য জন্য বিভিন্ন হাট-বাজারে ভাঙ্গারী মহাজন রয়েছে।
আরেক ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালা আশরাফ হোসেন বলেন, পেটের দায়ে এ কাজ করতাছি পুরানো প্লাস্টিক, ছেঁড়া জুতা, রাবার, লোহা-লক্কড়, তামা, পিতল, সিশা, পলিথিন ও বিভিন্ন ধরণের বোতল সারাদিন গ্রামে-গ্রামে ঘুড়ে কিনি। বিকালে মহাজনের নিকট বেইচা যা পাই তা দিয়ে কোনরকম সংসার চলে। তাতে প্রতিদিন তার ৩ থেকে ৪শ টাকা আয় হয়।’ তার মতে ঘাটাইলে প্রায় অর্ধশতাধিখ ভাঙ্গারী ফেরিওয়ালা রয়েছে।
ঘাটাইল শহরের এক ভাঙ্গারী মহাজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার অধীনে ৩৫ জন ফেরিওয়ালা রয়েছে। তারা তার নিকট মাল বিক্রি করে থাকে। এ ব্যবসা কেমন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা অনেক দেশের প্রথম সারির তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। তার মতে ভাঙ্গারী ব্যবসার উপর নির্ভর করে দেশে বহু বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাই সরকারের কাছে এ কাজকে মূল্যায়নের জন্য দাব জানান তিনি।
টাঙ্গাইলটাইমস