তেলাপোকার উপদ্রব||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন? আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি লেখা নিয়ে। আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার আজকের লেখাটি কোন বিষয় নিয়ে সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা। আমার আজকের লেখাটি পুরোটা তেলাপোকার উপদ্রব নিয়ে।এই ধূর্ত পোকা সম্পর্কে অবগত আমরা মোটামুটি সবাই।কেননা সকলের বাড়িতে কম বেশি আছে এই পোকা।আমরা অনেকে তেলাপোকা কে আরশোলা নামেও জেনে থাকি।তেলাপোকাকে ধূর্ত বলার কারণ হচ্ছে এই পোকা ডাইনোসর এর সময় থেকে এখনও তাদের বংশবিস্তার এর প্রক্রিয়া ধরে রেখেছে।ডাইনোসর এতো শক্তিশালী হয়েও কিন্তু আজকে বিলীন পৃথিবীর বুক থেকে।আর তেলাপোকা নিজেদের চতুরতার জন্য সহস্র থেকে হাজার হাজার বছর ধরে টিকে আছে পৃথিবীতে।
এবার মূল ঘটনায় আসি,আমার বাসায় এতো পরিমাণ তেলাপোকার উপদ্রব বেড়েছে।যে বাসার কাপড় চোপড় থেকে শুরু করে অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র কেটে ফেলছে।তেলাপোকা বেশির ভাগ কাঠের জিনিসের মধ্যে বেশি দেখা যায়।আবার কাগজের বক্সের মধ্যেও এরা বেশ লুকিয়ে থাকে।আমাদের বাসার তেলাপোকা গুলো এতো চালাক যে,রাত ১১ টার দিকে এরা এদের ডেরা থেকে বের হয়।কারণ রাত ১১ টায় আমার বাসার ডাইনিং স্পেসের সব লাইট বন্ধ হয়ে যায়।আর ওই সময়ে ৫০-১০০ তেলাপোকা দেখা যায়।এই সময়টা তাদের জানা আরকি।প্রতিদিন বেশ অনেক তেলাপোকা মেরে ফেলা হয়।তারপরেও আবার বংশ বিস্তার করে যা তাই অবস্থা করে ফেলে।আম্মু প্রায় সমস্ত আসবাবপত্র পরিষ্কার করে তেলাপোকা ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে মারে।তারপরেও একই হাল।
এই তেলাপোকার বংশ নিপাত করার জন্য আব্বু বাজার থেকে কিছু ওষুধ এনে দিয়েছে।এগুলো দিয়েও খুব একটা উপকার পাওয়া যাচ্ছেনা।মাঝে মাঝে কয়েকটা মৃত তেলাপোকা পাওয়া যায়।তবে নিপাত হচ্ছে না পুরোপুরি।আমার ভাই তেলাপোকা খুব ভয় পায়।এতদিনে আপনারা জানতেন মেয়েরা তেলাপোকা ভয় পায়।কিন্তু আমাদের বাসায় পুরো উল্টো ব্যপার।শুধু আমার নিজের ভাই না আমার খালাতো ভাই এরও একই অবস্থা।তারা দুইজন এই তেলাপোকা ভয় পায়।অন্যদিকে আমি এবং আমার কাজিন বোনেরা কেউ ভয় পাইনা অথচ আমরা মেয়ে হাহা ।তাই শুধু মেয়েরা তেলাপোকা ভয় পায় এটা কিন্তু পুরোপুরি সঠিক নয়।ছেলে মেয়ে উভয়ের ভয়ের কারণ তেলাপোকা কথাটি প্রযোজ্য হবে।এই তেলাপোকা আমার ভাই এর টেবিলের ড্রয়ারে আস্তানা করেছে।কয়েকদিন আগে পরিষ্কার করে দিয়েছি।তারপরেও ড্রয়ার ব্যবহার করে না ভয়ে আমার ভাই হাহা।তাহলে বুঝতে পারছেন নিশ্চয় বন্ধুরা কি পরিমাণ ভয় পায় সে।এই তেলাপোকার বংশ নিপাত করার কোনো আইডিয়া থাকলে কমেন্টে জানাবেন বন্ধুরা।যাতে করে আমার ভাই এবং পরিবারের সবাই তেলাপোকার উপদ্রব থেকে বাঁচতে পারি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আমার কাছে তেমন কোন আইডিয়া নেই আপু। তেলাপোকার উপদ্রব দিনে দিনে বেড়েই চলছে। বিশেষ করে রান্নার রুমে তেলাপোকার উপদ্রব বেশি লক্ষ্য করা যায়। বাজার থেকে কিনে আনা ঔষধেও খুব একটা কাজ হয়না। কি আর করার চেষ্টা করতে হবে তেলাপোকার বিস্তার রোধ করার।
আপু এরকম তেলাপোকার উপদ্রোব থাকলে তখন আর ভয় পাওয়ার কোন সুযোগই থাকে না। মেয়েদের ভয় পেলে কি চলবে পরিষ্কার করবে কে । সারাদিন মারলেও এসব তেলাপোকা মেরে শেষ করা যায় না। আমার বাসায়ও আপনার মত একই অবস্থা। আমিও সারাদিন মারাতে থাকি কিন্তু কোন কাজই হচ্ছে না। আর বাজারের ওষুধেও কোন কাজ হচ্ছে না কি যে করি বুঝতে পারছি না।
আপনারা তো দেখছি তাহলে অনেক মহাবিপদে পড়ে গিয়েছেন। আপনার এই গল্পটা পড়ে আমার ছোটবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল যখন আমি খুবই ছোট ছিলাম তখন দেখতাম আমাদের বাসায় তেলাপোকা ছিল তবে আপনাদের মত এরকম ৫০ থেকে ১০০ টা একসঙ্গে দেখা যেত না। হঠাৎ করে কিভাবে যেন তেলাপোকা বাসা থেকে চলে গিয়েছিল সঠিক বলতে পারব না, মনেও নেই। আমিও তেলাপোকা দেখে ভয় পাই তবে আপনি তেলাপোকা দেখে ভয় পান না এটা জেনে রীতিমতো অবাক হলাম। আপাতত কোন সলিউশন দিতে পারলাম না, দুঃখিত। পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।