আলুর চপ
আমার হাজবেন্ডের খুবই আলুর চপ পছন্দ। যার কারনে মাঝে মাঝেই আলুর চপ বানিয়ে দাও বানিয়ে দাও বলে আমার মাথা খারাপ করে। আর আলুর চপ এতটাই পছন্দ যে আমি যদি তাকে এক গামলাও বানিয়ে দিই সে তাও খেয়ে ফেলবে। এতদিনে যেহেতু বিকালে নাস্তা খাওয়া হয় আমি জিজ্ঞেস করলাম আজকে বিকালে কি বানাবো। সে ডান বাম এদিক সেদিক না ভেবে বলল আলুর চপ। আমি তখন বললাম আলুর চপ এত বানায় তারপরও তোমার আলুর চপ খাওয়ার ইচ্ছা যায়না। বলেনা প্রতিদিন বানিয়ে দিলে প্রতিদিনই খাব। তো কি আর করার তার যেহেতু পছন্দ বানাতেই হবে।
আলুর চপ বানাতে যেহেতু একটু সময় লাগে এজন্য আমি আসলে সন্ধ্যার দিকে এতো ঝামেলার কাজ করতে চাই না। লালু সেদ্ধ করো মসলা বানাও অনেক ঝামেলা। তারপরও সে যেহেতু সেই জন্যই আজকে বানালাম। রান্নাঘরে গিয়ে আলু গুলো সিদ্ধ দিয়ে দিলাম। আলো সিদ্ধ হতে হতে এদিক দিয়ে পেঁয়াজ রসুন কাঁচা মরিচ শুকনো মরিচ এগুলো রেডি করে নিলাম। প্রেসার কুকারে দিয়েছিলাম তিনটা চারটা বাঁশি দিয়েই নামিয়ে ফেলেছি তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে গেছে। আলুগুলো বের করে ছিলে ভর্তা বানিয়ে নিলাম। তারপর তারপর একটা করাইতে সামান্য সরিষার তেল দিয়ে তার মধ্যে রসুন কুচি দিলাম আগে তারপর দিলাম পেঁয়াজ কুচি এগুলা কিছুটা ভাজা ভাজা হওয়ার পর ওর মধ্যে শুকনো ঝাল দিয়ে ভেজে নিলাম মেজ ওগুলো নামিয়ে নিলাম। আর আমার একটা স্পেশাল গরম মসলা আছে সেটাও দিব। তো আলু গুলোর পাশে পেঁয়াজ মরিচ ওগুলো সব নিয়ে নিলাম আর সাথে একটু কাঁচা পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচ দিলাম ভাজা আগে মাখিয়ে তারপর সাথে লবণ দিয়ে কাঁচা পেয়াজ আর কাঁচা ঝাল মাখিয়ে স্পেশাল গরম মসলা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম। তারপর খেয়ে দেখলাম ঠিক আছে সবকিছু। তারপর গোল গোল বানিয়ে নিলাম।
এদিকে সাথে বেসন বেসনের মধ্যে ওরা গরম মসলা এ ভালো করে মাখিয়ে রেখেছিলাম। কড়াইতে তেল গরম করে তেলটা যখন গরম হলো গরম তেল বেসনের মধ্যে দিয়ে ভালো করে গুলিয়ে নিলাম। তারপর একটা একটা করে আলু বেসনের মধ্যে ডুবিয়ে ভেজে ফেললাম। মচমোচা করে ভেজে নিলাম এদিক ওদিক ঘুরিয়ে। রেডি হয়ে গেল আমার আলুর চপ। সে খুবই পছন্দ করে আমার হাতের আলুর চপ।তারপর তার সামনে নিয়ে গেলাম সে তো দেখে খুবই খুশি। সে নিজেই আমি মাত্র তিনটা খেয়েছিলাম। তার সাথে খেয়ে শান্তি পেয়েছে তৃপ্তি পেয়েছে এটাই আমার শান্তি।