আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৪৭
প্রিয়, পাঠকগণ,
পাভেল জবাব দিল না। টেবিলে গিয়ে ভুরু কুঁচকে খসখস করে কী একটা লিখে মাকে ডেকে বলল:
'একটা কাজ করবে মা? এই চিঠিটা শহরে নিয়ে যাবে এক জায়গায়.... 'বিপদ টিপদ আছে?'
'আছে বৈকি! সেখানে আমাদের কাগজ ছাপা হয়। এই কোপেক নিয়ে আমাদের এ-ব্যাপারটা এবারকার কাগজে বের করতে হবে।'
'এক্ষুনি যাচ্ছি আমি...'
এই প্রথম কাজের ভার পাওয়া ছেলের কাছ থেকে। কিছু গোপন না-রেখে ব্যাপারটা বুঝিয়েও দিয়েছে, তাইতে মা মহাখুশি। তৈরী হতে হতে বলল, 'আমি বুঝতে পেরেছি, এইভাবেই শুষছে ওরা। হ্যাঁ, কী নাম বললি? ইয়েগর ইভানভিচ্, না?'মায়ের ফিরতে রাত হল। অত্যান্ত ক্লান্ত হলেও বেশ খুশি।
ভারি সাদাসিধে মানুষ। খুব ফুর্তিবাজ। বেশ মজা করে কথা বলে।' পাভেল আস্তে আস্তে বলে, 'তোমার তাহলে ভালো লেগেছে ওদের, বেশ
ভালো।'
'কী শাদাসিধে রে ওরা। মানুষ শাদাসিধে হলে খুবই ভালো। তোকে ওরা সকলেই খুব মানে দেখছি...'
সোমবারও পাভেল কাজে যেতে পারল না। মাথা ধরেছে। দুপুরে খাবার ছুটির সময় ফিওদর ছুটতে ছুটতে এসে উপস্থিত। ভীষণ উত্তেজিত। হাঁপাচ্ছে। কিন্তু খুব খুশি।
শিগগির চলো,' ও চেঁচিয়ে বলল, 'সারা কারখানায় কী কাণ্ড! তোমাকে ডাকছে। সিজভ ও মাখোতিন বলল তুমিই সবচেয়ে ভালো করে বুঝিয়ে দিতে পারবে। শিল্পির এসো, দেখবে।'
পাভেল চুপচাপ জামা-কাপড় পরতে শুরু করে দিল। 'মেয়েরাও সব এসে জোর চেঁচাচ্ছে।'
মা বলল, "দাঁড়াও আমিও আসছি। কী, ব্যাপার কী?
পাভেল বলল, 'চলো মা।'
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
কে একজন চেঁচিয়ে উঠল, 'এই যে ভাসভ আসছে।' 'ভাসভ! এদিকে, এদিকে চলে এসো হে...'
চলবে..........