আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৪৭

in #blog2 months ago

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,

পাভেল জবাব দিল না। টেবিলে গিয়ে ভুরু কুঁচকে খসখস করে কী একটা লিখে মাকে ডেকে বলল:

'একটা কাজ করবে মা? এই চিঠিটা শহরে নিয়ে যাবে এক জায়গায়.... 'বিপদ টিপদ আছে?'

'আছে বৈকি! সেখানে আমাদের কাগজ ছাপা হয়। এই কোপেক নিয়ে আমাদের এ-ব্যাপারটা এবারকার কাগজে বের করতে হবে।'

'এক্ষুনি যাচ্ছি আমি...'

এই প্রথম কাজের ভার পাওয়া ছেলের কাছ থেকে। কিছু গোপন না-রেখে ব্যাপারটা বুঝিয়েও দিয়েছে, তাইতে মা মহাখুশি। তৈরী হতে হতে বলল, 'আমি বুঝতে পেরেছি, এইভাবেই শুষছে ওরা। হ্যাঁ, কী নাম বললি? ইয়েগর ইভানভিচ্, না?'মায়ের ফিরতে রাত হল। অত্যান্ত ক্লান্ত হলেও বেশ খুশি।

IMG20240906170415.jpg

ভারি সাদাসিধে মানুষ। খুব ফুর্তিবাজ। বেশ মজা করে কথা বলে।' পাভেল আস্তে আস্তে বলে, 'তোমার তাহলে ভালো লেগেছে ওদের, বেশ

ভালো।'

'কী শাদাসিধে রে ওরা। মানুষ শাদাসিধে হলে খুবই ভালো। তোকে ওরা সকলেই খুব মানে দেখছি...'

সোমবারও পাভেল কাজে যেতে পারল না। মাথা ধরেছে। দুপুরে খাবার ছুটির সময় ফিওদর ছুটতে ছুটতে এসে উপস্থিত। ভীষণ উত্তেজিত। হাঁপাচ্ছে। কিন্তু খুব খুশি।

শিগগির চলো,' ও চেঁচিয়ে বলল, 'সারা কারখানায় কী কাণ্ড! তোমাকে ডাকছে। সিজভ ও মাখোতিন বলল তুমিই সবচেয়ে ভালো করে বুঝিয়ে দিতে পারবে। শিল্পির এসো, দেখবে।'

পাভেল চুপচাপ জামা-কাপড় পরতে শুরু করে দিল। 'মেয়েরাও সব এসে জোর চেঁচাচ্ছে।'

মা বলল, "দাঁড়াও আমিও আসছি। কী, ব্যাপার কী?

পাভেল বলল, 'চলো মা।'

IMG20240906170417.jpg

For work I use:


মোবাইল
realme C25s
ফটোগ্রাফার
@dreamlife10
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
মাঠে
একরকম দৌড়েই চলল ওরা। কারো মুখে কথা নেই। উত্তেজনায় মায়ের যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে খুব বড় একটা কিছু ঘটবে। কারখানার গেটে একদল স্ত্রীলোক রেগে চিৎকার করছে। ইয়ার্ডে ঢুকে ওরা তিনজন গিয়ে পড়ল একটা উত্তেজনামুখর ঘন জটলার মধ্যে। মা দেখল কামারশালার লাল ইটের দেয়ালের দিকে পিঠ করে একটা পুরনো লোহালক্কড়ের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সিজভ, মাখোতিন, ভিয়ালভ আর আরো জন পাঁচ-ছয় মাঝবয়সী শ্রমিক। এদের প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে শ্রমিক মহলে। সকলেরই মুখ এদিকে।

কে একজন চেঁচিয়ে উঠল, 'এই যে ভাসভ আসছে।' 'ভাসভ! এদিকে, এদিকে চলে এসো হে...'

চলবে..........

ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।।