আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৪১
প্রিয়, পাঠকগণ,
থাকলেই অমনি লোকের চোখে পড়ে। আমি একটু নিজের মতো থাকি বলে তো লোকের চক্ষুশূল হয়েছি।' শির
কেমন যেন ভারী ভারী কথাগুলো, কিন্তু সহজভাবে বলে যায়। কালো শি হাতখানা দাড়িতে বুলোতে বুলোতে পাভেলের মুখের দিকে তীক্ষ্ণভাবে তাকিয়ে থাকে।
লোকে কত কী সব কইতে শুরু করেছে তোমার সম্বন্ধে। আমার বাড়িওলা বলছে তুমি নাকি নাস্তিক। গির্জেয় টির্জেয় তো যাও না। অবশ্যি আমিও যাইনে টা গির্জায়। তারপর ওই কাগজগুলো। তোমারই কর্ম নিশ্চয়ই।' পাভেল উত্তর দেয়, 'হ্যাঁ।'
মা আঁতকে ওঠে। রান্নাঘর থেকে মাথাটা বাড়িয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি বলে,
"তুই তো একা করিস্ না!" পাভেল মুচকে হাসে, রীবিনও হাসে।
'বেশ-বেশ!' রীবিন বলে।
তার কথা গ্রাহ্যের মধ্যেই আনল না দেখে একটু চটে যায় মা। সাজোরে নিশ্বাস টেনে মুখ কালো করে বেরিয়ে যায়।
'বেশ! খুব ভালো করেছ কাগজ বার করে। লোকগুলোর তবু একটু টনক
নড়বে। উনিশখানা, না হে?' 'হ্যাঁ, উনিশটা।' পাভেল উত্তর দেয়।
'তাহলে দেখছ তো, সব কটাই আমি পড়েছি। কতকগুলো জিনিস তেমন পরিষ্কার হয়নি। কতকগুলো অবান্তর। অবশ্য মেলা কিছু বলবার থাকলে একটু-
আধটু এমন হবেই। দু চারটা এদিক-সেদিকের কথা এসে যায়ই। ঠেকানো যায়
না।'
রীবিন হাসে একটু। ওর শক্ত শাদা দাঁতগুলো বেরিয়ে পড়ে। 'তারপরেই, খানাতল্লাশি । তাইতেই আমার মনটা আরো এদিকে ঝুঁক।তুমি, ওই খখল আর নিকলাই, তোমাদের স্বরূপ দেখিয়ে দিয়েছ...' কথা খুঁজে পায় না রীবিন। বাইরের দিকে তাকিয়ে টেবিলের ওপর টোশ মারে।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
'হ্যাঁ, তোমার নিজেদের মতামত ফাঁস করে দিয়েছে। অর্থাৎ, হুজুর, তোমরা তোমাদের পথ দেখ, আমারা আমাদের। চমৎকার ছেলে ওই খখল। কারখানায় এক-এক সময় ওর কথা শুনি আর ভাবি, যমে মারে তো মারবে নইলে কারো বাপের সাধ্যি নেই। লোহার হাড়িড। তুমি আমায় বিশ্বাস করো, পাভেল?' 'করি!' মাথা নেড়ে পাভেল বলে।
'ভালো। আমার দিকে একবার তাকাও! চল্লিশটি বছর বয়েস হল আমার!
তোমার প্রায় দ্বিগুণ। দুনিয়াটাকে তোমার চাইতে অন্তত বিশগুণ বেশি দেখেছি। তিন বছর সেপাইগিরি করেছি। দু দুবার বিয়ে করেছি। পয়লা বৌটা মরেছে, * দ্বিতীয়টাকে তালাক দিয়েছি। ককেশাসে গেছি। সেখানে দুখবরেৎস'দের দেখেছি। তারা জীবনটাকে জয় করবে না। বুঝলে?'
চলবে..........