আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৪৮
প্রিয়, পাঠকগণ,
চারদিক থেকে চিৎকার ওঠে, 'এই চুপ চুপ। গোল করো না।'
কাছেই কোথা থেকে রীবিনের মসৃণ স্বর শোনা যায়:
'এ আমাদের হকের লড়াই, ভাইসব।
কোপেকের জন্য ভাবছি না, ভাবছি রক্ত, ন্যায়ের কথা। বুঝলে কিনা!' ভিড়ের মধ্যে যেন ধপ করে পড়ে শব্দগুলো, উত্তেজিত কোলাহল ওঠে:
হক কথা কইছ, দোস্ত! হক কথা।' 'বাহ্ খাসা। জবর বলা বলছে।'
'এই যে ভাসভ এসেছে। ভ্লাসভ!' সকলের কণ্ঠ এক হয়ে মিশে শব্দের ঘূর্ণিঝড় ওঠে। তলিয়ে যায় মেশিনের
ঘঘর, বাষ্পের ভভসানি, তারের ঝনঝনানি। চারদিক থেকে লোক ছুটে আসে হাত নেড়ে, আগুন-ছড়ানো তীক্ষ্ণ ভাষায় পরস্পরকে উত্তেজিত করে। শ্রান্ত মানুষগুলোর পাঁজরার তলায় গোপনে যে অসন্তোষ গুমে আছে, আজ সেটা নাড়া খেয়ে যেন আগুন হয়ে উঠেছে জয়ের উল্লাসে হাজার শিখা তুলে নাচতে নাচতে আকাশ পানে উঠছে, ছড়িয়ে পড়ছে কালো ডানা দুর্নিবার এক শক্তির টানে মানুষকে ডুবিয়ে ভাসিয়ে ছিনিয়ে টেনে নিয়ে চলেছে বিদ্বেষ রূপান্তরের জ্বলন্ত অগ্নিশিখায়, আছড়ে ফেলছে পরস্পরের গায়ে। জটলার ঠিক মাথায় উঠেছে ধুলো আর ঝুলকালির মেঘ, ঘার্মাক্ত মুখগুলো জ্বলে উঠছে, গাল ভিজে গেছে চোখের কালো জলে, কালো কালো মুখের মধ্যে ঝলকে উঠছে চোখ আর দাঁতগুলো।
পাভেল সিজত্ আর মাখোতিনের পাশে গিয়ে দাঁড়াল।
'কমরেডগণ!' ডাক দিল ও।
মায়ের চোখে পড়ল, পাভেলের মুখখানা ফ্যাকশে হয়ে গেছে; ঠোঁট কাঁপছে। অজান্তেই ভিড় ঠেলে এগিয়ে আসে মা। বিরক্ত চিৎকার ওঠে, 'কেন ঠেলছ অমন করে?।'
মা ধাক্কা দেয়, ধাক্কা খায়। কিন্তু থামলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে, দাঁড়াতে হবে ছেলের পাশে। কনুই দিয়ে, কাঁধ দিয়ে ঠেলে সামনে এগিয়ে আসে মা।
বুক ভরে পাভেল ডাকে, 'কমরেডগণ!' এক উদ্দাম আনন্দ যেন ঢেউ দিয়ে উঠছে ভেতর থেকে। কথাটার গভীর অর্থ আছে তার আছে। ওর গলা বন্ধ হয়ে আসে। ইচ্ছে হয় ন্যায়ের স্বপ্নে উদ্দীপ্ত ওর হৃৎপিণ্ডটাকে উপড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় এইসব লোকদের সামনে। আবার হাঁকে, 'কমরেডগণ!' এই ডাকে বুকে শক্তি আসে। আনন্দের জোয়ার জাগে।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
'আমাদেরই দৌলতে দুনিয়া বেঁচে আছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরাই সবার রুটি জোগাই। আমরাই গির্জা গড়ি, কারখানা বানাই; শেকল তৈরি করি; টাকাও বানাই আমরাই...'
চলবে..........