আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৩২
প্রিয়, পাঠকগণ,
ইস্তাহারগুলি তারা অফিসে দিয়ে আসে। তরুণের দল সাগ্রহে পড়ে 'সছি ১৩. কথা লিখেছে সব।'
বেশির ভাগের খেটে খেটে শরীর ঝাঁঝরা, মন নির্বিকার, তারা বলে অলস কণ্ঠে, 'ওহ', ভারি তো হবে ওতে! কী আর হবে?' তবু চারদিকে একটু সাড়া পড়ল। সপ্তাহখানেক নতুন কোনো ইস্তাহার না
এলে শ্রমিকেরা বলাবলি করে, কাগজ-ছাপানো বুঝি বন্ধ করে দিয়েছে...
পরের সোমবার আবার নতুন কাগজ বেরয়। শ্রমিকদের মধ্যে আবার চাপা গুঞ্জন ওঠে।
কারখানায়, গুঁড়িখানায় অচেনা নতুন লোক দেখা যায়। এরা চারদিকে চোখ রাখে, হাজার রকম কথা জিজ্ঞাসা করে, মানুষের ঘরের খবর নেয়, আগ বাড়িয়ে গিয়ে সকলের সবকিছুতে নাক সেঁধোয়। ওরা সব প্রথমেই লোকেদের চোখে পড়ে-কারো কারো হাবভাব খুব সতর্ক সাবধানী, কারো বা অনাবশ্যক বেপরোয়া। মা বোঝে তার ছেলের
কাজের জন্যই চারদিকে এত হৈচৈ। কত লোক ওর ছেলের চারদিকে জুটেছে। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভয় হয়, সেই সঙ্গে গর্বও।
একদিন মারিয়া করসুনভা সন্ধ্যার সময় জানালায় ধাক্কা দিল। মা পাল্লা খুলে দিতেই তার কানে জোরে ফিসফিসিয়ে বলল মারিয়া:
'একটু সাবধান থেকো, পেলাগেয়া। ছেলেরা বড় বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। আজ রাতে তোমাদের বাড়ি তল্লাশি হবে। ভেসঙ্গিক আর মাজিনের বাড়িও...'
ওর মোটা ঠোঁটদুটো যেন চকচক করে শব্দ করে। থল্থলে নাকটা ফোঁসফোঁস করে, চোখের পাতা পিটপিট করে আর দৃষ্টিটা ঘোরে রাস্তার এদিক- ওদিক, কাকে যেন খোঁজে।
'আমি কিছু জানি না, তোমায় কিছু বলিনি, তোমার সঙ্গে আজ দেখা পর্যন্ত হয়নি। বুঝলে তো?' বলেই উধাও হয়ে গেল।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
জানালাটা বন্ধ করে মা একটা চেয়ারে ধীরে ধীরে বসে পড়ল। কিন্তু ছেলের আসন্ন বিপদের কথা ভেবে নিমেষে উঠে দাঁড়াল। তাড়াতাড়ি কাপড় পরে একটা শাল মাথায় আঁট করে জড়িয়ে ছুটে গেল ফিওদর মাজিনের বাড়ি। অসুখ করেছে ফিওদরের-কারখানায় যায়নি। জানালার পাশে বসে একটা বই পড়ছিল আর বাঁ হাতে ধরে দোলাচ্ছিল ডান হাতটা, তার বুড়ো আঙুলটা খাড়া বের করে। খবরটা শুনে ওর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। লাফিয়ে উঠল একেবারে।
'তা, তাই তো...' বলল বিড়বিড় করে।
কম্পিত হাতে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে পেলাগেয়া শুধল, 'কী করা যায় এখন!'
সুস্থ হাতটা দিয়ে কোঁকড়া চুলগুলো মুখের ওপর থেকে সরিয়ে ফিওদর বলে, 'দাঁড়ান-অত ভয় পাবার কী আছে?'
'ভয় তো দেখছি আপনিও পেয়েছেন,' মা বলে।
চলবে..........
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @dreamlife10,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
মাঠে
জানালাটা বন্ধ করে মা একটা চেয়ারে ধীরে ধীরে বসে পড়ল। কিন্তু ছেলের আসন্ন বিপদের কথা ভেবে নিমেষে উঠে দাঁড়াল। তাড়াতাড়ি কাপড় পরে একটা শাল মাথায় আঁট করে জড়িয়ে ছুটে গেল ফিওদর মাজিনের বাড়ি। অসুখ করেছে ফিওদরের-কারখানায় যায়নি। জানালার পাশে বসে একটা বই পড়ছিল আর বাঁ হাতে ধরে দোলাচ্ছিল ডান হাতটা, তার বুড়ো আঙুলটা খাড়া বের করে। খবরটা শুনে ওর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। লাফিয়ে উঠল একেবারে।
'তা, তাই তো...' বলল বিড়বিড় করে।
কম্পিত হাতে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে পেলাগেয়া শুধল, 'কী করা যায় এখন!'
সুস্থ হাতটা দিয়ে কোঁকড়া চুলগুলো মুখের ওপর থেকে সরিয়ে ফিওদর বলে, 'দাঁড়ান-অত ভয় পাবার কী আছে?'
'ভয় তো দেখছি আপনিও পেয়েছেন,' মা বলে।
চলবে..........