আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৩৭
প্রিয়, পাঠকগণ,
অফিসার হাত তুলে ভেসড়শ্চিকভের দিকে ছোট্ট আঙুল নাচিয়ে বলে: 'চুপ করে থাকো।' বলে নিজের কাগজপত্র দেখতে আরম্ভ করে। উদাসীন চোখে জানলায় উঁকি মারে জোছনা রাত। কেউ একজন আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছিল বাড়ির পাশ দিয়ে। বরফগুলো খড়মড়িয়ে উঠল। অফিসার মাথা তোলে। 'হুঁ'। নাখদ্কা। তুমি তো আগে রাজনৈতিক কারণে আদালতে হাজির হয়েছিলে?' 'আজ্ঞে হ্যাঁ। একবার রস্তত্-এ আর একবার সারাত-এ। কিন্তু সেখানকার পুলিশরা আমাকে 'আপনি' বলত...'
ডান চোখটা কুঁচকে একটু রগড়ে নিয়ে ছোট্ট দাঁত বের করে অফিসার বলে: 'আপনি, তা আপনি বলতে পারেন কারখানায়। অপরাধমূলক কাগজপত্র কোন বদমাইশটা ছড়াচ্ছে?'
একগাল হেসে ওঠে খখল। শরীরটাকে একটু দুলিয়ে জবাব দিতে যাবে, এমন সময় শোনা গেল নিকলাইয়ের বিরক্তিকর গলা: 'বদমাইশ। সে তো এই প্রথম দেখছি এখানে...'
একটা নিথর নিস্তব্ধতা। একমুহূর্তে সব স্থির নিষ্পন্দ। মায়ের মুখের পুরনো ক্ষতচিহ্নটা যেন শাদা হয়ে ওঠে, ডান ভুরুটা উঁচিয়ে
তোলে মা। রীবিনের কালো দাড়ি অদ্ভুতভাবে কাঁপতে থাকে; চোখ নিচু করে দাড়ির মধ্যে আঙুল চালাতে থাকে সে।
তারপর অফিসার হুকুম দেয়: 'কুকুরটাকে নিয়ে যাও এখানে থেকে।'
দুজন পুলিশ নিকলাইয়ের হাত ধরে ওকে টেনে রান্নাঘরের দিকে নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে নিকলাই শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলল:
'দাড়াও। টুপি-কোট পরিনি।' দারোগা ঘরে ঢুকে বলল, 'চারদিক দেখে এসেছি, কোথাও কিছু নেই।'
না, লোকটা বেশ ঝানু...' মুচকে হেসে বলল অফিসার।
মা ভয়ে ভয়ে অফিসারের হলদেটে মুখের দিকে তাকায়, আর শোনে তার ক্ষীণ কাঁপা ভাঙাভাঙা স্বর। বুঝতে পারে লোকটা একটা দুশমন। ওর মায়া-দয়া নেই। সাধারণ মানুষের ওপর ওর রীতিমতো আমিরি ঘৃণা। এমন মানুষ বড় একটা দেখেনি ও, এরা যে সংসারে আছে সে-কথাই প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। ভাবল, "ইনিই তাহলে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।"
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
চলবে..........
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @dreamlife10,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community