রেজুমি ও সিভির পার্থক্য নিয়ে কিছু কথা ও করণীয়

in #benjojo8 years ago

রেজুমি ও সিভি নিয়ে মাঝে মাঝে কিছু লেখা আমার লিঙ্কডইন ফিডে দেখি। আপনাদের লেখার প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, এই লেখাটা আপনাদের জানাকে আরেকটু সমৃদ্ধ করবে বলে বিশ্বাস করি। লেখাগুলো ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট গবেষণা থেকে নেওয়া। আশা রাখি আপনাদের উপকারে আসবে।

প্রথমে সংক্ষেপে দুটো বড় পার্থক্যের কথা বলি। রেজুমি ও সিভির মধ্যে প্রথম পার্থক্যটি হলো দৈর্ঘ্য। দ্বিতীয় পার্থক্যটি হলো স্থান। একটু কেমন জানি মনে হলো তাই না? আসুন, এবার একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।
প্রথম পার্থক্য হলো দৈর্ঘ্য। অর্থাৎ আদর্শ রেজুমির দৈর্ঘ্য এক পাতা হয়। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ এটা দেড় থেকে দুই পাতা হতে পারে। আমি তিন পাতার রেজুমি কখনো দেখিনি। অন্য দিকে একটি আদর্শ সিভি দুই পাতার হয়। তবে ব্যক্তি বিশেষ তা তিন থেকে পাঁচ পাতা পর্যন্তও হতে পারে। তবে আধুনিক সময়ে অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সিভিও ৩–৪ পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে দেখা যায়।
দ্বিতীয় পার্থক্যটি হলো স্থান। রেজুমি মূলত আমেরিকাতে ব্যবহার হয়। আমেরিকার প্রায় ৯৯ ভাগ জায়গাতেই রেজুমির ব্যবহার। আমি আমার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ভর্তির জন্যও বায়ো ও এসের সঙ্গে রেজুমি জমা দিয়েছি। অর্থাৎ একাডেমিক ক্ষেত্রেও রেজুমির ব্যবহার হয়। তবে একাডেমিক জব ও গবেষণায় অধ্যয়নের জন্য এবং কিছু কিছু চিকিৎসা জবের ক্ষেত্রে সিভি ব্যবহার করা হয়।
অন্য দিকে সিভির ব্যবহার হয় আমেরিকার বাইরে অর্থাৎ ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়াতে। এশিয়া মহাদেশে রেজুমি ও সিভির মিশ্র ব্যবহার রয়েছে। এসব দেশের চাকরিদাতা তাদের প্রার্থীদের কাছ থেকে সিভি আশা করে। এমনকি একজন আমেরিকান হিসেবে আমাকেও যদি এই সব দেশে চাকরি বা অন্যান্য প্রয়োজনে আবেদন করতে হয় তবে সিভি পাঠাতে হবে রেজুমি নয়।

9e3f026fb.jpg