পরামর্শ মূলক গল্প
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন।
এক প্রত্যন্ত গ্রামে এক কুয়ো ছিলো। যখনই গ্রামের লোকজন জল তোলার জন্য তাতে বালতি ফেলত তখন প্রতিবারই বালতিটা থাকতো না শুধু দড়ি উঠে আসত। অদ্ভুত এমন সবকাণ্ড বারবার ঘটায় গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক,,সবাই ভাবতে লাগলো যে, কুয়াটা ভুতুড়ে হয়ে গেছে ।সেখানে ভয়ংকর একটা ভুত বাস করে। কিন্তু এভাবে আর কতোদিন চলবে? তাদের জল সংগ্রহ করতেই হবে। জল ছাড়া জীবন বাঁচানো অসম্ভব। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। কিন্ত প্রবাদে আছে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? অর্থাৎ কুয়াতে নামবে কে? কেউ সহজে রাজি হচ্ছে না।এমন সময় এক যুবক কুয়াতে নামতে রাজি হলো। সে বলল, আমি কুয়াতে নামবো। কোমরে দড়ি বেঁধে আমাকে নামিয়ে দেবেন। তবে শর্ত হচ্ছে দড়ির অপর প্রান্তে অবশ্যই আমার মা বাবাকে থাকতে হবে, তার শর্ত শুনে গ্রামের লোকজন বেশ আশ্চর্য হলো। গ্রামের এতগুলো শক্তিশালী মানুষ থাকতে তার বাবা মাকে লাগবে কেন? গ্রামের লোকজন ছেলেটাকে বিষয়টা বোঝাতে চেষ্টা করল যে মা বাবা কে লাগবে না আমরা তো আছি।তার মা বাবা বলল নামিস না খোকা ভুত প্রেত থাকতেও পারে। কিন্তু যুবকের একটাই কথা সে নামবে এবং অবশ্যই গ্রামের লোকজনের সাথে মা বাবাকে ও উপরে রাখতে হবে।শেষমেশ এই শর্তে সবাই রাজি হলো। সবাই মিলে যুবককে কুয়োতে নামিয়ে দিল। যুবকটি ভেতরে গিয়ে দেখল, একটি বানর,কুয়োর চারিপাশে গজিয়ে ওঠা গাছপালাতে ঝুলে আছে। এই শয়তান বানরটিই দড়ি খুলে বালতি রেখে দিত। ছেলেটি বানরটিকে ধরে তার কাঁধে বসিয়ে দড়ি টানার নির্দেশ দিল।বানরটি ছিল যুবকের কাঁধে। এজন্য স্বাভাবিকভাবেই সর্বপ্রথম কুয়োর মধ্যে আবছা আলোয় ভুতের মতো মনে হলো তার চেহারা। হঠাৎকরে ভূতদর্শন চেহারা দেখে সবাই মনে করল, ভুত টা উঠে আসছে। তাই দড়ি ফেলে সবাই পালালো। কিন্তু দুজন দড়ি ছাড়ল না। তার মা ও বাবা । বহুকষ্টে ছেলেকে টেনে তুলল উপরে। ফলে তার ছেলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেল। তখন সবাই বুঝতে পারল কেন সে মা বাবাকে দড়ি ধরার শর্ত দিয়েছিল।
কারণ, পৃথিবীতে সবাই বিপদের সময় দূরে সরে গেলেও মা বাবা কখনো সরবে না।
তাই বাবা মাকে সত্যি যদি মন থেকে ভালোবাস তাহলে সর্বদা তাদের পাশে থেকো।
@rtytf2