জীবনের ভীত শক্ত করতে হলে পরিশ্রম বাধ্যতামূলক।

in #bdcommunity15 hours ago

বিপদ সকলের জীবনে আসে। কিন্ত অনেক মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে দোষারোপ করেন যে, আপনি কেনো আমাকে রক্ষা করছেন না ? আপনার প্রতি আমার মনে অপর ভক্তি। সর্বদা আপনার আরধনা করি । না আমাকে এই বিপদ মুক্ত হওয়ার কোন পথ দেখাচ্ছেন, না আমাকেে এই বিপদ থেকে বের করছেন !

এখন এটা হলো আপনার ভাবনা ..........

আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবার আমি বলি। এখানে সত্যিটা আসলে কি?
সত্যি হলো এই যে সৃষ্টিকর্তা আপনার সাথে আছেন এবং থাকবেন।

একটাবার ভেবে দেখুন সেই বীজের দৃষ্টিভঙ্গিতার, যে মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। তাকে পরিণত হতে হবে এক বিশাল সুন্দর বৃক্ষে। তা তখনই সম্ভব হবে যখন তা ভাঙবে। আর ভাঙবে তখনই যখন তা উত্তাপ পাবে।
উত্তাপ কোথা থেকে পাবে ?
সূর্যের তাপ থেকে। সূর্যের তাপ থেকে ধরিত্রি ও বাঁচতে পারে না। তাকে তাপ সহ্য করতেই হয়। যখন এই ধরিত্রী আর এই বীজ এই 'দুই'ই তপ্ত হয়ে যায়, তখনই এই প্রকৃতি বর্ষণ আনে। আর সেই বর্ষার জলেই এই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে এক সুন্দর বৃক্ষে পরিণত হয়।
তাহলে বন্ধুরা কি বুঝলেন ! আছেন তো সৃষ্টিকর্তা আমাদের সাথে সবসময় ?
সেই ভাবেই আপনার জীবনে যদি কোন বিপদ আসে বা কোন সংকট আসে তার মানে এই নয় যে, আপনি ভাবলেন এটা আপনারই কোন পাপের শাস্তি, যা আপনি পাচ্ছেন। হয়তো ভবিষ্যতে আপনাকে একটা সুদৃঢ় কাঠামো হতে হবে। অবকাঠামো শক্ত করতে হলে ভীত যেমন শক্তিশালী করতে হয়, তেমনি আপনাকে সুদৃঢ় করতে এটা হল তার ভীত।
যতটা শিখবেন ততটা শক্তিশালী হবেন, ততটাই দৃঢ় কাঠামো হবেন। নিশ্চয়ই দেখেছেন অলংকার বানানোর পূর্বে সোনাকেও অনেক রকম পরীক্ষা দিতে হয়। আগুনে তপ্ত হতে হয়। সেই ভাবেই আপনি কখনো সুরবীর হতে চান তাহলে পঞ্চপান্ডবের মতো লাখাগৃহের তাপ সহ্য করতেই হবে।
@shadanchandra @boc-reports @steem-articles