বুদ্ধি ও বেশ্যা জীবী
জি জনাব, আপনি বুদ্ধিজীবী! সে আপনাকে দেখলে ই বুঝা যায়!
পড়নে সফেদ পাঞ্জাবীর সাথে ঢোলা পায়জামা, মুখে প্রমিত বাংলা,
কারো আবার পাঁক ধরা সফেদ গোফ,
গলায় অজশ্র ম্যাডেল – ইমিরেটাস, পদ্মভূষন, ২৬, ২১, আকাদামী ……
আপনাদের না চেনার সুযোগ কই? কত কষ্ট করে আমার ট্যাক্সের টাকার পুটু মেরে
আপোদ-মস্তক বিদ্যা বোঝাই করেছেন!
কত তকলিফ করতে হয়েছে আপনাকে! কত গুরুতপুর্ন কাজে আপনাকে মগজ খাটাতে হয়!
হাতুরি, চাপাতি, হরহর…… কত কিছুর প্রয়োগ ভাবনা!
বিনিময়ে কী ই বা পান আপনি!
শ্রদ্ধায় আমার মুর্খ মস্তক নত হয়ে আসে ।
আর আমি? একজন ঠিকানাবিহীন স্ট্রিট বেস্যা!
রাতের আধারে গতর খাটিয়ে রোজগার করি অনেক,
আপনাকে দিই, পুলিশকে দিই, তাও বাকি থাকে অনেক!
অনেক থাকে বলে ই তো ডেরায় ঢুকার আগে কিনি লিপিস্টিক,
আলতা, স্নো, পাওডার! সিনা টান করে হাটি ।
তবে জনাবের নিকট আমার একটা প্রশ্ন ছিল,
কার রোজগার অধিক পবিত্র? আপনার নাকি আমার?
আমি মানুষের সেবা করে পয়সা নিই, আর আপনি?
সে আপনি ই ভাল জানেন মশাই। জানা এবং জানানো ই যে আপনার কাজ ।