দেশের অবস্থা
আমি সকল ছাত্র ভাইদের জন্য বলছি, ২ মিনিট আমার লেখাটা পড়বেন।। লেখাটি আমার ভাল লাগছে তাই আমি লিখাটি কপি করেছি।।।।
মোট পদ:২০২৪
মুক্তিযোদ্ধা কোটা :৩০%
মহিলা কোটা:১০%
জেলা কোটা:৫%
প্রতিবন্ধি কোটা:১%
উপজাতি কোটা:৫%
মোট কোটা:৫৬%
সাধারন :৪৪%
২০২৪ এর ৫৬% =১১৩৪
বাকি মাত্র ৮৯০ টা সিট দেশের সকল অভাগাদের জন্য!
আসুন এবার কিছু গল্প করি….
০.১৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য
৩০শতাংশ কোটা!!
এটাকে প্রহসন ছাড়া কি বলা যেতে পারে? জাতিকে মেধাশূন্য করার নীল নকশা বৈ আর কি।
বিসিএসে যেখানে আমার ভাই রাতের পুরোটা সময় মুখথুবরে বই নিয়ে পড়ে থাকে,রাত শেষে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায় মাঝে মাঝে কোমরে ব্যাথা জাগে,তবুও থামেনা।পেইন কিলার নিয়ে আবার চেয়ারটেবিলে বসে যায় সেই ভাই যখন কোটা বৈষম্যর বেড়াজালে চোখের জল ফেলে চলে আসে,তখন এটাকে আপনি কি বলবেন? দোষটা কি তার? সে মেধাবী কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না,সে ভালো ছাত্র কিন্তু প্রতিবন্ধী না? তার রেজাল্ট ভালো কিন্তু নারী না? সে অধ্যবসায়ী কিন্তু উপজাতী না?
আচ্ছা মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যই বা কি ছিল পশ্চিমের সামে পূর্বের সকল বৈষম্যর মুক্তি,তাই তো? তবে কতটা যুক্তিসঙ্গত এই কোটা বৈষম্য? তরুন প্রজন্মের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে এর চেয়ে তো পাকিস্তানি ভালো ছিল অন্তত মনে শান্তনা দিতে পারতাম আমরা পরাধীন!
কিউরাইটস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো…মুক্তিযোদ্ধারা কি এই কোটার জন্যই যুদ্ধ করেছিল? ভাবতে অবাক লাগে,যেখানে এদেশে একটি হাতিকে নিয়ে সুশীল সমাজ বিভিন্ন আর্টিকেল লেখে, তখন এমন একটা বিষয় নিয়ে ভাবার মত কেউ নেই। এ দেশে কত কি নিয়ে আন্দোলন হয়, শাহবাগে গনজাগরণ হয় বাট এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলার মত কেউ নেই!
কোটা যদি দেওয়ারি হয়,তবে সংসদে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন দেওয়া হোক,ভাতা না দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য মোটা অংকের সন্মানী দেওয়া হোক। চাকুরীক্ষেত্রে কেন বৈষম্য? শিক্ষাক্ষেত্রে কেন কোটা? আজব লাগে,আমার এক প্রতিবেশী আন্টি প্রাইমেরীতে জব করছে বাবার কোটার জোরে,আবার উনার এক মাথামোটা ছেলেকে জিলা স্কুলে এডমিট করেছেন নানার কোটার জোরে। অদ্ভুদ সিস্টেম রেভাই, যেখানে আমরা মেরিট পজিশনে থেকে ভার্সিটিতে শেষের দিকের সাবজেক্ট পায় সেখানে ঐ কোটার জোরে শুধুমাত্র পাশ মার্কস তুলে ফার্মেসী, কম্পিউটারর সায়েন্সের মত সাবজেক্ট পায়!
বিশ্বাস করেন,এই কোটাপ্রথা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার আপনার শ্রদ্ধার জায়গাটা সরিয়ে ফেলছে। তাদেরকে দয়া আর অনুকরণার পাত্র বানিয়ে ফেলেছে এ কোটা প্রথা! যদি চাকুরী কোটা ধারীরাই পাবে তবে আমরা কলুরবলদের মত খেটে মরছি কেন? আমার বাবার ঘামঝড়ানো টাকা কেন,পড়াশোনার পেছনে ফুরাবো? সেই টাকায় মুদির দোকান দিয়ে বসবো, চায়ের স্টল দিবো কিংবা অটো কিনে চালাবো!
আচ্ছা,,,
আমার বাপদাদায় যুদ্ধ করেনি বা ভুয়া সার্টিফিকেট কালেক্ট করে নাই,এতে আমার অপরাধ কি?
আমাকে কেন বৈষম্যর স্বীকার হতে হচ্ছে?
আচ্ছা ঐ ০.১৩ শতাংশ সার্টিফিকেটধারী দের অবদানেই কি দেশটা স্বাধীন হয়েছে? মোটেও না,দেশের প্রতিটা ঘড় কোন না কোন ভাবে যুদ্ধে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে অংশগ্রহন করেছে। তবে ফলটা কেন শুধু সার্টিফিকেট ধারীরাই পাবে? একবার কি এ দেশের মেধাবীদের নিয়ে ভাবার মত কেউ নেই? যদি চাকুরী কোটাধারীরাই পাবে তবে দিনে দিনে না খেয়ে মারার চেয়ে একবারে গুলি করে মেরে দিন আমাদের…।
পরিবারের বোঝা হয়ে বেচে থাকার চেয়ে গুলি খেয়ে মরা ঢেরগুণ ভালো। অন্তত মায়ের কান্নাজরানো কন্ঠে শুনতে হবে না-খোকা এবার কিছু একটা কর!! অন্তত বাবার ঘামঝড়ানো টাকা মাস শেষে বেহায়ার মত হাত পেতে নিতে হবে না।
কথাগুলি আমার না আমাদের সবার।।
It's not life, struggle for better, don't run for job, try to do productive something which makes you have the power to provide job for another.
now the job will get very critical for our country..bcz my study is very low from others country...as the result many people did not get good job..
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.prod.facebook.com/what.mean.what/