বিজয় মেলায় ঘুরাঘুরি পর্ব -2।
আজ - ৬ঠা, পৌষ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

গত কাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার বিজয় মেলায় ঘুরাঘুরির প্রথম পর্বটি। বিজয়ের এই মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পরিসরে বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবং বর্তমানে সকলের ঘোরাফেরা এবং কেনাকাটা অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই মেলাগুলো। কেউ কিছু কেনাকাটা না করলে পরিবার নিয়ে অন্তত ঘুরতে হলো ও একবারের জন্য যায় এসব মেলাগুলোতে এবং পরিবারের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাই। অন্য সাধারণ দিনগুলোর তুলনায় ছুটির দিনটিতে সাধারণত এইসব মেলায় ভিড় থাকে প্রচুর। আমি যেদিন গিয়েছি সেদিন অবশ্য কোন ছুটির দিন ছিল না তবে, তারপরে প্রচন্ড ভিড় ছিল তখন ওখানে।
আর এই ভিড় এর মধ্যে ঘটে বিভিন্ন ধরনের অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা। অনেক বাচ্চারা আসে তাদের মা-বাবার সাথে মেলা ঘুরে দেখতে। তবে ভিড়ের মধ্যে তারা মা বাবার থেকে অনেক সময় দূরে সরে হারিয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে মাইকিং বা বিভিন্ন উপায়ে তাদেরকেই খুঁজে বের করা হয়। আমি যেদিন মেলায় গিয়েছিলাম ঠিক সেদিন ঐরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ৭ বছরের বাচ্চা তার মা বাবার সাথে এসেছিল মেলায় ঘুরে দেখতে। কিন্তু ভিড়ের কারণে সে কোন ভাবে তার মা-বাবার হাত ছেড়ে দেয় এবং পরবর্তীতে হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে বাচ্চাটিকে। তবে পরবর্তীতে বাচ্চাটিকে ফিরে পেয়েছে কিনা তা আর জানতে পারেনি ।
যাইহোক সকাল কিংবা দুপুরে তুলন সন্ধ্যা কিংবা রাতের দিকে মেলায় প্রচন্ড ভিড় থাকে। কেননা কর্ম ব্যস্ত মানুষ গুলো দিনের বেলাতে খুব একটা অবসরে থাকে না। তাই তারা অবসর সময় বিকাল কিংবা সন্ধ্যার দিকে যায় মেলায় ঘুরতে। আর তাই মূলত সন্ধ্যার দিকে মেলাতে ভিড় থেকে প্রচুর। যাই হোক, বড়দের সাথে সাথে বাচ্চাদের ঘোরাফেরার আনন্দ প্রধানের জন্য রয়েছে এসব মেলাতে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন। যেমন নাগরদোলা, নৌকা, ছাড়াও আরো অনেক কিছু। জন প্রতি টিকিটের মাধ্যমে এসব জিনিসগুলোতে বাচ্চারা সময় কাটাতে পারে।
আগে সাধারণত বছরে একটা কিংবা দুইটা বিশেষ উপলক্ষে বড় মেলা হত। তবে এখন বর্তমানে সারা বছর ধরেই বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো অনেক ধরনের মেলা অনুষ্ঠিত হওয়া এই সকল বিশেষ মেলার আকর্ষণ অনেক কমে এসেছে। আর তাই বিজয় মেলার মতো এ সকল মেলাগুলো ছোটখাটো পরিসরে তৈরি হয় এবং মাসব্যাপী চলতে থাকে। এবারে চট্টগ্রামের বিজয় মেলাটি ও মাস ব্যাপী চলবে। ইচ্ছা আছে মেলা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে আবার ঘুরতে যাওয়ার। তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয় কিনা ।
এই স্টলের মধ্যে প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্য ১২০ টাকা করে। ফিক্সড প্রাইস তাই কোন দামাদামির প্রয়োজন হয় না। যার ভালো লাগবে সে সেটা নিবে। দাম অনুযায়ী জিনিসগুলোর কোয়ালিটি নির্ভর করে। ছোটখাটো কিছু জিনিস আছে যেগুলো খুবই ভালো কোয়ালিটির। আর কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো দামে সস্তা হওয়ায় কোয়ালিটি খুব একটা ভালো নই।
এটি হচ্ছে ভূতের বাড়ি এখানে কেউ চাইলে ভূত দেখে আসতে পারে। টিকিট মূল্য ৫০ টাকা করে জনপ্রতি। এই বড় বয়সে এসে ভূত দেখতে যাওয়াটা কেমন দেখায়। তবে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে এই আয়োজনটি দেখে।
এই স্টলটিতে ম্যাজিক দেখানোর বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। বেশ চমৎকার এবং ভিন্ন ধরনের একটি স্টল। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এই স্টলটি।
এই স্টলটি তে সব ধরনের কাঠের জিনিস রয়েছে। এখানে প্রত্যেকটা জিনিসই খুবই সুন্দর এবং নতুনত্ব ধরনের।
আমি মনে করি এই ধরনের স্টল প্রত্যেকটি মেলায় প্রতিবারই বসে। এখানে ভেজিটেবল কাটার মেশিন বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের এবং সাইজে সবজি কাটার জন্য এই কাটার গুলা রয়েছে।
এ স্টলটি দূর থেকে দেখতে এতটা আকর্ষণীয় লাগছে যে এটা আর্টিফিশিয়াল কোন বাগান। যাইহোক এই স্টলটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের টপ এবং ওয়ালমেট।
মেলার সব থেকে আকর্ষণীয় এবং আমার পছন্দের একটি স্টল হচ্ছে এটি। এখানে বিভিন্ন ধরনের আচার পাওয়া যায়। আচারের ঘ্রাণ গুলো মন মাতানো।
তো এখানে শেষ করছি আজকের পর্বে আয়োজনটি। দেখা হচ্ছে গতকাল পরবর্তী পর্ব নিয়ে। পরবর্তী পর্বটিতে থাকছে আমি কি কি কেনাকাটা করেছি এবং কি খাওয়া দাওয়া করেছি সেসব বিষয়।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, মেলাতে কারো কেনাকাটার কিছু না থাকলেও অন্তত ঘুরতে হলেও যেতে ভালো লাগে। আর বিজয় মেলাতে এখন প্রায় বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আমাদের এদিকে মেলা হয় কিন্তু বিজয় মেলা এত বড় করে হয় না। কিন্তু তারপরেও আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি মেলা বসে। মেলায় ঘুরতেও আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কাঠের জিনিসপত্র গুলো অনেক সুন্দর ছিল। কাঠের জিনিসপত্র গুলো সাজিয়ে রাখলেও আমার কাছে ভালো লাগে। আপনার মাধ্যমে বিজয় মেলার অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। এই মেলায় যেতে পারলেও ভালো লাগতো।
বিজয় মেলার প্রথম পর্ব টা আমার দেখা হয় নি ভাইয়া।মেলার স্টল গুলো দুর থেকে সত্যি অনেক আকর্ষণীয় লাগে।কিছু না কেনাকাটা থাকলেও পরিবারের লোকেদের নিয়ে মানুষ এই মেলাগুলো দেখতে যায়।এটা কিন্তু একদম ঠিক বলেছেন ভাই আগে বছরে ১/২ বার মেলা হতো।এখন তো প্রায়ই এ ধরনের মেলা হয়ে থাকে।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
যখন মেলায় ঘুরতে যাই আমিও কেনাকাটা তেমন একটা করি না, ঘুরে ঘুরে দেখতেই ভালো লাগে। আমি যেসব মেলায় গেছি সাধারণত সেই মেলাগুলোতেও সন্ধ্যার পরপরই ভিড় বেশি দেখা যায়। মানুষ সারাদিনের কাজকর্ম শেষ করে অবসর সময়ে মেলায় ঘুরতে আসে এই জন্য এই সময়টাতে বেশি ভিড় হয়ে যায়। দাদা, মেলায় ছোট ছোট বাচ্চাদের হারিয়ে যাওয়া এই ঘটনাগুলো প্রায় ঘটতে দেখা যায়। আমিও অনেকবার দেখেছি বাচ্চারা বাবা-মার সাথে মেলা ঘুরতে এসে হারিয়ে যায়, পরে অনেক মাইকিং করা হয় অনেক ক্ষেত্রে খুঁজে পায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুঁজে না পেতেও দেখা যায়। এটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
এটা কিন্তু ঠিক ভাইয়া মেলায় কেনাকাটা করার চেয়েও ঘোরাঘুরি করতে চাই বেশিরভাগ মানুষই। মেলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন রকম স্টল গুলো দেখতেও খুব ভালো লাগে। আপনি প্রত্যেকটা স্টলের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনার আচার খুব পছন্দ আচারের ঘ্রাণ আপনার অনেক ভালো লাগে। এবারে বিজয় দিবসে আমি অসুস্থ থাকার কারণে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। আমাদের এখানেও বিজয় মেলা খুব সুন্দর হয়। আপনার বিজয় মেলায় ঘোরাঘুরির ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসেছিল । যদিও এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে করে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি তবে আমাদের এলাকাতে একটা ছোট্ট মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সারাদিন ব্যস্ত থাকার কারণে যাওয়া হয়নি তবে রাত্রেবেলা সকল বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম তখন প্রায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে আপনার এই মেলা ঘোরাঘুরির মুহূর্তটা দেখে খুবই ভালো লাগলো খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন।
সাত বছরের বাচ্চাটির কথা ভেবে একটু কষ্ট লাগছে ভাইয়া। তবে আশা করি বাচ্চাটিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত মেলা। মেলা ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি নানান জিনিসপাতি কেনা যায়। তবে আমাদের এলাকায় ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে এখন আর মেলা হয় না।
আমার মনে হয় মেলায় বাচ্চাদের না নেওয়াটাই ভালো।কারণ,কিভাবে যে হারিয়ে যায় বুঝাই যায়না।
ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে মেলার বিভিন্ন ধরনের ফটো শেয়ার করার জন্য। অনেক ভালো লাগলো মেলার দোকানগুলো দেখে। বিষেশ করে আর্টিফিশিয়াল ফুলের দোকান দেখে। মনে হচ্ছে এখনি মেলায় যাই আর ফুল গুলো কিনে ফেলি। এমন মেলায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। সুযোগ পেলে ছুটে চলি আমিও এমন সুন্দর মেলায়। আবার ধন্যবাদ জানাই আপনাকে সুন্দর একটা মুহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইশ ভাইয়া একটু ভূত দেখে আসতেন আর আমাদের জন্য ছবি তোলে আনতেন দেখতাম ভূত দেখতে কেমন😜😜।আসলে মেলায় এমনই হয় চঞ্চল বাচ্চাদের ধরে রাখা যায় না,ঐমনি হারিয়ে যায়।ভেজিটেবল কাটার কথা কি বলবো,এরা এত এত সবজি কেটে শুধুই নষ্ট করে আজাইরা মনে হয় আমার কাছে।ভাইয়া আচার কিনে আমাদের সবার জন্য পাঠিয়ে দিতেন😜।