বিকেলটা ভেলপুরির সাথে।

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আজ- ২২শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000056224.jpg

যদিও এখনো পর্যন্ত বৈশাখ আসেনি তবে বৈশাখের সেই চিরচেনা গরম যেন এখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে। আজকে বেশ ভালই গরম পড়ছে। খানিকক্ষণ বাইরে থাকলে পুরো শরীর যেন ঘামে আধা ভিজে হয়ে যায়। তাছাড়া রোদের উত্তপ্ত তো রয়েছেই। দিনভর রোদের উত্তাপ এর কারণে ফ্যানের বাতাসটা ও যেন গরম হয়ে ওঠে। এতকিছুর মধ্যেই লোডশেডিং তো আছেই। যেটা আসলে সব কিছুর উর্ধ্বে।

যদিও এসব বিষয়গুলো আসলে নতুন কিছু নয় বরং প্রতিটা গ্রীষ্মে এমন সব ঘটনার সম্মুখী প্রতিবারই হয়। গরম মানে লোডশেডিং, উষ্ণতা, এবং অতিষ্ঠ জনজীবন। তবে সব থেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে এইবারে এখনো পর্যন্ত একবারের জন্য বৃষ্টি হয়নি। অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিলেছে নাকি জানা নেই তবে এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামে কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি হলে হয়তো গরমটা কিছুটা কমবে।

তবে বৃষ্টি না হওয়াতে এক দিক দিয়ে বেশ ভালোই হয়েছে। কেননা বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখতে পেয়েছি ঈদের দিনটাতেও বৃষ্টি পরা । যেটা এক দিক দিয়ে বেশ কষ্টের। আর ঈদের দিন বৃষ্টি মানেই তো আনন্দটা যেন মাটি হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। আর এইসব দিক দিয়ে বৃষ্টি না হওয়াটাই যেন ভালোই হলো।

যাইহোক আজ ঈদের বেশ কয়েকটা দিন পেরিয়ে গেল। তবে আমার কাছে মনে হয় যেন ঈদের অনেকগুলো দিন কেটে গেল। সাধারণত ঈদের এক সপ্তাহ অর্থাৎ সাত দিন পর্যন্ত ঈদের আমেজটা থাকে। তবে এখনকার জেনারেশনে এসে মনে হচ্ছে ঈদের দুদিন পরেই যেন ঈদের আমেজ চলে যায়।

এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে সরকারি ছুটি শেষ হয়নি। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি ছুটি শেষ হয়ে যাবে এবং প্রত্যেকের প্রত্যেকে কর্মজীবনে ফিরে আসবে। এবং শহরটা হয়ে উঠবে আবার ও সেই কোলাহল যুক্ত।

এবারের ঈদে ঘুরাঘুরি বলতে গেলে কিছুই হয়নি। পুরোটা সময় বাসায় কাটানো হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে আশেপাশে এদিক-সেদিক যাওয়া হয়েছে তবে সেটি মূলত অল্প কিছু সময়ের জন্য। আজকে বিকেলের দিকে গিয়েছিলাম হাঁটতে আর হাঁটার পথে দেখলাম একজন লোক ভেলপুরি আর ঝালমুড়ি বিক্রি করছে। আর এটি দেখে বেলপুরি খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। তবে রাস্তার মধ্যে অনেক কোলাহল ছিল বলে সেখানে আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেলপুরি খেতে ইচ্ছা করলো না। তাই বাসায় নিয়ে আসলাম বাসায় সবার জন্য এখন আমার নিজের জন্য। এতে ঘরে বসে আরামসে সকলে মিলে একসাথে সাথে খাওয়া যাবে। আর এটাতে সব থেকে আনন্দের ।

1000056223.jpg

জয়

শুরুতেই ভেবেছিলাম ভেলপুরের টেস্ট তেমন একটা ভালো হবে না তবে বাসায় এনে দেখলাম বেশ ভালোই খেতে। খুবই ক্রিসপি ছিল। পার্সেল আনাতে ভেবেছিলাম মচমচে ভাবটা চলে যাবে । তবে তেমনটা কিছুই হয়নি। ঝালটা ছিল প্রচন্ড। আমি যে ঝাল কম খায় ব্যাপারটা তেমন নয় তবে আবার খুব বেশি ঝালও খেতে পারি না।

এইতো বিকেলটা ভেলপুরের সাথে সবাই মিলে আড্ডায় কেটে গেল। আর সাথে ছিল ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিম। ঝাল খাওয়ার পরে ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিম খেতে দারুন লাগছিল।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 2 days ago 

হুম পাশে সুন্দর মনের কেউ থাকলে সময়গুলো এমনিতেই সুন্দর হয়ে উঠে হি হি হি, ভেলপুড়ির সাথে প্রিয় মানুষটির পাশে থাকলে সময় তো রঙিন হবেই হি হি হি।

 2 days ago 

মনে হচ্ছে গত বছরের থেকে এই বছর গরম আরো বেশি হবে। বৃষ্টি হচ্ছে না, ভাবসাব ভালো না। তবে আপনার বেল পুরি খাওয়ার অনুভূতি দারুণ ছিল। ধন্যবাদ।

 2 days ago 

আসলেই ভাইয়া এই বছর বৃষ্টি আমাদের এদিকেও হয়নি। গরম পড়ছে প্রচন্ড। আর আমাদের বাড়ি গ্রাম এরিয়ায় হওয়া শর্তেও লোডশেডিং এর পরিমাণ যেমন বেশি, ঠিক তেমনি গরমেও অবস্থা খারাপ। এখনও পুরোপুরি গরমের সময় আসেনি তবুও এই অবস্থা। যাইহোক বাইরে থেকে বাসায় সবার জন্য ভেলপুরি কিনে এনেছেন এবং সবাই মিলে একসাথে উপভোগ করে খেয়েছেন এটাই তো আনন্দের বিষয়।