মাতৃ দিবস উপলক্ষে//পৃথিবীর সকল মা সুস্থ থাকুক
আজ - ০১ জ্যৈষ্ঠ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- মাতৃ দিবস উপলক্ষে কিছু কথা
- আজ ০১লা বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে......!!
মা শব্দটার সঙ্গে আমরা সকলেই খুব ছোটবেলা থেকেই পরিচিত।এই শব্দটার সঙ্গে আমরা এমনভাবে পরিচিত যে, এটা প্রায় আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে। মা হচ্ছে বেঁচে থাকার এক বন্ধন। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এই পৃথিবীতে যার মা বেঁচে আছে সে কখনোই একা নয়। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ যদি তার বিপরীত দিকে চলে যায় কিন্তু মা কখনোই তার সন্তানকে ছেড়ে চলে যায় না। তবে বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে অথবা সন্তান জন্ম দিয়ে সেই মা তার সন্তানকে রেলওয়ে স্টেশন অথবা ফুটপাতে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। এইতো কদিন আগে ঠিক এরকম একটা নিউজ দেখলাম। নিউজ টা দেখে খুবই খারাপ লেগেছিল যদিও তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় আসলে তারা মা হতে চাইনি দুর্ভাগ্যক্রমে হয়তোবা মা হয়ে গিয়েছে যার কারণে তারা মায়ের মর্যাদা রাখতে পারে না। মায়ের প্রতি সন্তানের যে রকম অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে একজন মায়ের উচিত তার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ বানানো। একটা সন্তান জন্মের পর থেকে তার ওপর তার মায়ের অনেক রকম দায়িত্ব-কর্তব্য নিহিত থাকে। এই দায়িত্ব এবং কর্তব্য যদি একটা মা যথাযথভাবে পালন করে তাহলে সে তার সন্তানকে সমাজের বুকে উঁচু স্থানে জায়গা করে দিতে পারবে।
একটা পরিবারে সন্তানের কাছাকাছি এবং পাশাপাশি থাকে না। বাবা হয়তো বা সে রকম ভাবে কখনোই কাছে থাকে না কারণ বাবা হয়তো বা তার কাজকর্ম এবং পরিবার নিয়ে খুবই ব্যস্ত থাকে যার কারণে সন্তানের সঙ্গে তেমন একটা সময় দিতে পারে না। কিন্তু একজন মা সবসময়ই সন্তানের পাশে থাকে এবং সন্তানের ভালো লাগা মন্দ লাগা খারাপ লাগা সব বিষয়েই সে অবগত থাকে। শুধুমাত্র ভালো-মন্দ নয়, সন্তান এখন কি অবস্থায় আছে কোন দিকে যাচ্ছে কি করছে কার সঙ্গে মিশছে এই সকল বিষয়ে একজন বাবার থেকে একজন মায়ের ধারণা বেশি।
সেজন্যই আমার মনে হয় পৃথিবীতে একজন সন্তানের প্রতি তার মায়ের অবদান সব থেকে বেশি তবে তার মানে এই নয় যে বাবার কোনো অবদান নেই। অবশ্যই বাবার অবদান আছে তবে ওই যে একটা কথা বললাম বাবা সব সময় পাশে থাকে না যার কারণে সে সন্তানের সকল বিষয়ে সে রকম ধারণা পায় না। একজন সন্তানের উচিত তার পিতা-মাতার বাধ্য হওয়া। সে যদি ছোটবেলা থেকেই পিতা মাতার বাধ্য একজন সন্তান হয় তাহলে সে অবশ্যই জীবন চলার পথ অনেক বেশি সহজ করে নিতে পারে।
আমরা সন্তান হিসেবে আমাদের উচিত মায়ের প্রতি সদয় হওয়া তার সঙ্গে সদাচরণ করা তার ভালো মন্দ সকল বিষয়ে খেয়াল রাখা। একজন সন্তানের প্রতি মায়ের যেমন দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে একজন মায়ের প্রতি সন্তানেরও একই রকম দায়িত্ব কত বড় হয়েছে যেগুলো যশোর ভাবে পালন করা প্রতিটি সন্তানের উচিত বলে আমি মনে করি।
এবার আমি আপনাদের মাঝে কিছু তিক্ত কথা শেয়ার করব যে কথাগুলো শুনতে হয়তবা খুবই খারাপ লাগবে অনেকের। যদিও কথাগুলো খুবই তিক্ত এবং রস কস হীন তবুও কথাগুলো আমার কাছে মনে হয়েছে খুবই বাস্তব এবং আপনারা অনেকেই আছেন যারা আমার এই কথার সঙ্গে একমত পোষণ করবেন।
পিতা মাতা আমাদেরকে জন্ম দিয়েছে খুব ছোট্টবেলা থেকে আমাদেরকে আদর যত্ন করে বড় করেছে এটা তো আমরা সকলেই মানি। কেন তারা আমাদেরকে জন্ম দিয়ে খুব ছোটবেলা থেকে নিজের পরিশ্রম শক্তি টাকা-পয়সা আমাদের পিছনে ইনভেস্ট করে কেনই বা আমাদেরকে বড় করল...?? আমাদেরকে তারা যেমন বড় করেছে এটা ছিল তাদের দায়িত্ব এটা ছিল তাদের কর্তব্য। সেই দায়িত্ব এবং কর্তব্য থেকে তারা তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেছে শুধুমাত্র বৃদ্ধ বয়সে একটু ভালো থাকবে এই ভেবে। আসলেই কি আমরা তাদেরকে বৃদ্ধ বয়সে ভালো রাখতে পারি...?? আপনার কি মনে হয়..!! আপনার আমার অবশ্যই উচিত তাদেরকে ভালো রাখা কারণ আমরা যখন খুবই ছোট ছিলাম তখন আমরা কিছুই বুঝতাম না। সেই ছোটবেলা থেকে তারা আমাদেরকে বড় করেছে সকল কিছু বুঝিয়েছে। কিন্তু যখনই আমরা বড় হয়ে গিয়েছি তখন আমাদের নিজের মধ্যে এক বিবেক বুদ্ধি কাজ করছে আমরা আর তখন পিতা-মাতার ধার ধারি না। তখন অনেকের কাছেই হয়তো পিতা-মাতা অনেক বোঝা মনে হয়।
অনেকে হয়তো পিতা-মাতাকে সহ্যই করতে পারে না অনেকের কাছে মনে হয় পিতা-মাতা যেন তার চিরশত্রু। আস্তে আস্তে মনের অমিল এটা-সেটা নিয়ে হয়তোবা মনোমালিন্য হয় ঠিক তখনই সেই সন্তান তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। পৃথিবীতে এমন অনেক সন্তান আছে যারা কিনা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ছোট্ট একটি সংসার করছে আর এই ছোট্ট সংসারের পাশাপাশি পিতা-মাতাকে নিজেদের সঙ্গে না রেখে রেখে আসছে বৃদ্ধাশ্রম। এটাই কি তার পিতা-মাতার প্রাপ্য ছিল তার সন্তানের কাছ থেকে...?? সে কি কখনো এটা চেয়েছিল যে তার সন্তান বৃদ্ধ বয়সে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে..!! হয়তোবা কোন পিতা মাতাই এমনটা চায় না কিন্তু আশেপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি তাদেরকে সেই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে বাধ্য করে।
নির্দিষ্ট একটা সময়টাতে হয়তোবা আমরা অনেকেই মাকে ভালোবাসি এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক রকম স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি। এরকম স্ট্যাটাস দিয়ে আমরা বোঝাই আমরা আমার মাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি আপনাদের স্ট্যাটাস দিতে বাধা দিচ্ছি না, পৃথিবীতে সকল সন্তান তার মাকে ভালবাসবে এটা স্বাভাবিক। এটা সে যে কোন মাধ্যমে যে কোনভাবেই প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু আমার কাছে এটাই মনে হয়েছে এখন যেই ছেলেটা বা যেই মেয়েটা ফেসবুকে এরকম নির্দিষ্ট একটা দিবস উপলক্ষে স্ট্যাটাস দিচ্ছে লোকজনদেরকে দেখাচ্ছে আমি এত এত ভালবাসি আমার মাকে আমার বাবাকে। সৃষ্টিকর্তা না করুক হয়তোবা ৫-১০ বছর পরে সে হয়তো বা তার ফ্যামিলির চাপে তার বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে। তাহলে এত এত ভালোবাসা দেখিয়ে কি লাভ...?? আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ভালোবাসার গল্প তবে সেটা চিরদিনের জন্যই হোক। সারা জীবন একসঙ্গে থাকার মত ভালোবাসা হোক। বাবা-মায়ের সঙ্গে। পৃথিবীতে সকল সন্তান যদি তার বাবা-মাকে গভীরভাবে ভালোবাসতো তাহলে হয়তো বা বৃদ্ধাশ্রম থেকে এত চাপা কান্না এত আর্তনাদ ভেসে আসতো না।
তাই আসুন আমরা মাকে বাবাকে ভালবাসি এটা কোন দিবস উপলক্ষ করে নয়। ভালোবাসাটা অল্প হোক তবে সেটা চিরদিনের জন্যই থাকুক। পৃথিবীর সকল মা সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক এবং পৃথিবীর সকল মা চিরজীবী হোক এই আশা ব্যক্ত করে আমি আমার আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সকলকে....!!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | পৃথিবীর সকল মা সুস্থ থাকুক |
পোষ্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
টুইটার লিংক:--
https://twitter.com/jibon472?t=MAgY5Uf3gys0T-0RT4gjeA&s=09
ভাইয়া আমি আপনার এই কথার সাথে একমত হতে পারলাম না, কারণ আমি বিশ্বাস করি কোন বাবা মা ই তার কোন স্বার্থের বিনিময় নিজের রক্তকে পানি করে ছেলেমেয়েকে মানুষ করে না। সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে জন্মের পর থেকে সারা জীবন আগলে রাখে। আর আপনি এটা ঠিক বলেছেন যে একটা নির্দিষ্ট দিনে ক্যাপশন দিয়ে বাবা মাকে ভালোবাসি বলে লোক দেখানো এটা আমিও একদম পছন্দ করি না। খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া পড়ে বেশ ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাবা মা কোন স্বার্থের জন্য ছেলে মেয়েদের মানুষ করে না । তারা নিঃস্বার্থভাবে ছেলে মেয়েদের মানুষ করে। আমরা ছেলে মেয়েরাই নিজেদের স্বার্থের জন্য বিভিন্ন ভাবে তাদের ব্যবহার করি। নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে তাদের বৃদ্ধা আশ্রমে দিয়ে আসি। তবুও তারা তা মেনে নেয়।ছেলে মেয়েদের সুখের কথা চিন্তা করে। মাকে ভালোবাসতে কোন দিবসের প্রয়োজন পরে না ঠিকই। কিন্তু মায়েদের জন্য যদি বছরের একটি উদযাপন করা হয় ,তাহলে তারা বেশ খুশি হয়। সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া মানুষগুলোও হয়তো বাবা-মা। কিন্তু এমন কিছু বাবা মা আছে যারা সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার চেয়েও সন্তান পায় না। কিংবা একটি সন্তান পেতে অনেক কষ্ট করে। হয়তো তাদের পার্থক্য একটাই যে কেউ পেয়ে অবহেলা করে কেউবা না পাওয়ার বেদনায় কেঁদে মরে। যাইহোক ভাইয়া মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে। আর আমরা সবাই চাই পৃথিবীর প্রত্যেকটি বাবা মা যেন ভালো থাকে।
আমি ভাই সুজাসুজি একটি কথাই বুঝি বাবা মাকে ভালবাসতে কোন দিবসের প্রয়োজন হয় না। কই বাবা মা তো কখনো আমাদেরকে দিবস বিচার করে ভালবাসেনি । সেই ছেলেবেলা থেকে বাবা মা আমাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে মানুষ করে যাচ্ছে। নিজে না খেয়ে আমাদের পেটে অন্য যুগিয়েছে। কিন্তু আমরা কি দিতে পেরেছি তাদের সঠিক প্রাপ্য? তাই আসুন একটি মাত্র দিবস নয় , বাবা মাকে ভালোবাসি জীবনের প্রতিটি দিনে প্রতিটি ক্ষণে।
মা দিবসে সকল মায়েদেরকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।সত্যিই মায়ের অবদানের কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না।আমাদের সকলের উচিত নির্দিষ্ট কোন দিনে নয় বরং মাকে সব সময় বুঝে চলা।ভুলে গেলে চলবে না মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত।