এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসটি আজকে আপনাকে শিখিয়ে দিবো ( The Right Way - 2018 )
পৃথিবীতেই এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় এবং সম্মানজনক একটি পেশা।
অনেকেই এই পেশাটিকে বর্তমান কাজের পাশাপাশি পাটটাইম হিসেবে নিয়ে কাজ করছে, আবার ফুলটাইম পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে দারুণ ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে ফেলেছে।
৬ ফিগার ইনকাম করা এফিলিয়েট মার্কেটারদের অভাব নেই পুরো দুনিয়ায়।
বাংলাদেশেও অনেক অনেক সফল এফিলিয়েট মার্কেটার রয়েছে যারা পুরো পৃথিবীজুড়ে কাজ করছে, দেশে বসেই।
এই এফিলিয়েট মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নতুন ছেলে/মেয়েরা প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে, যেহেতু এটা থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
সঠিকভাবে বিজনেসটি শিখে নিয়ে যে কেউই তার বর্তমান কাজের পাশাপাশি বিজনেসটি শুরু করতে পারে।
নিচে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আমি কথা বলবো,
যেগুলো আপনাকে বিজনেসটি বুঝতে অনেক সাহায্য করবে।
১। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
২। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার কোন কোন রিসোর্সগুলো লাগবে?
৩। এফিলিয়েট বিজনেসের টপিক / বিষয় / নিশ পছন্দ করা।
৪। কোম্পানি এবং প্রোডাক্ট খুঁজে বের করা এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার জন্য
৫। মার্কেটিং করা ( অনপেইজ, অফপেইজ, পেইড মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং )
৬। ইনকামের সুযোগগুলো ( With Screenshot Proof )
৭। সর্বশেষ
চলুন এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসটি কিভাবে শুরু করতে হয় তা সম্পূর্ণভাবে নিচে আপনাকে বলে দিচ্ছি।
১। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? মার্কেটিং খুবই সিম্পল একটি বিজনেস মডেল।
বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে দিবেন এবং সেই কোম্পানিগুলো আপনাকে তাঁদের প্রফিটের একটি অংশ শেয়ার করবে যেন আপনার সাথে তাদের একটি স্থায়ী বিজনেস সম্পর্ক তৈরি হয়।
যেটাকে মুলত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
আচ্ছা! আরেকটু সহজ করে বলি...।
আপনার বাড়ির পাঁশে থাকা দোকানগুলোকে দেখুন। তারা বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করছে।
প্রীতিটি সেল থেকে তারা একটা লাভ করছে।
উদাহরণঃ চানাচুর (পণ্য), বিস্কুট (পণ্য), কোকাকোলা (পণ্য), ফ্লেক্সিলোড/টপআপ (ডিজিটাল পণ্য) ইত্যাদি।
এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটে গেলে সেখানেও দেখবেন এক এক দোকানে বা শোরুমে এক এক রকম কোম্পানির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রোডাক্ট সেল করছে ( দোকানদার ) তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই কিন্তু প্রোডাক্ট গুলো নিজেরা তৈরি করে না। অন্যান্য কোম্পানিগুলো থেকে কালেকশন করে থাকে।
অন্য কোম্পানিগুলো তৈরি করে দেয়, তারা তাঁদের দোকানে বা শোরুমে সেগুলো বিক্রি করে এবং প্রীতিটি সেল থেকে তারা একটা প্রফিট পায়।
এই ইনকামটাকেই আপনি ধরে নিতে পারেন এফিলিয়েট ইনকাম। এই বিজনেসটি পুরো পৃথিবীতেই সম্পূর্ণ বৈধ বিজনেস।
কিন্তু এই আধুনিক যুগে, এই ধরনের বিজনেস অনলাইনেই ডেভেলপ করে ফেলা যায় ফেইসবুক এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, বিভিন্নভাবে। যার মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসটি হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
যা আপনি নিচের বিষয়গুলো পড়ে ফেলার মাধ্যমে শিখে ফেলতে যাচ্ছেন।
২। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার কোন কোন রিসোর্সগুলো লাগবে? মার্কেটিং যেহেতু একটি আধুনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতি অনলাইনে পণ্য/সেবা বিক্রি করে ইনকাম করার,
তাই আপনার ইন্টারনেট ভিত্তিক কিছু রিসোর্সের প্রয়োজন হবে, বিশেষ করে সফটওয়্যার এবং তার ব্যাবহার জানা।
যেমন, আপনি যদি কোন শোরুম/অফিস নেন, তাহলে কিন্তু আপনার অনেক রিসোর্সের প্রয়োজন হবে ( শোরুম ভাড়া নেয়া, ডেকোরেশন, পণ্য মজুত বা তৈরি করা, টিম/জনশক্তি নিয়োগ ইত্যাদি ), আমি আর সেগুলো বললাম না, আপনি বুঝে গিয়েছেন আশা করি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য যেই রিসোর্সগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আপনাকে বলে দেই...।
ওয়েবসাইট মার্কেটিং এর জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।
আরও অনেক উপায় আছে ওয়েবসাইট ছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং করার, কিন্তু ওয়েবসাইট দিয়ে করাটা হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেষ্ট পুরো পৃথিবীতেই।
তাছাড়া আপনার একটি ওয়েবসাইট আপনার একটি সম্পদ,
যেটা আপনি চাইলে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। আমি নিচে এই ব্যাপারে দেখিয়েছি। পড়তে থাকুন।
সম্পূর্ণ একটি প্রোফেসনাল মানের ওয়েবসাইট আপনি নিজেই চাইলে তৈরি করে ফেলতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস নামক সফটওয়্যারটি দিয়ে।
যেটা পুরো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য।
আপনাকে একটি ডোমেইন/হোস্টিং কোম্পানি থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন/হোস্টিং কিনে নিতে হবে।
আপনি গুগল সার্চ করে সেই ধরনের কোন কোম্পানিকে খুঁজে বের করে ফেলতে পারেন।
নিচের ছবিটি দেখুন কিভাবেঃ
Domain hosting company in Bangladesh লিখে গুগলে সার্চ করলে অনেকগুলো বাংলাদেশী কোম্পানির লিংক আপনি পেয়ে যাবেন যাদের থেকে আপনি সার্ভিসটি কিনে নিতে পারেন।
ওয়েবসাইটগুলো ভিসিট করে তাঁদের রেটগুলো দেখে নিতে পারেন খরচের ব্যাপারটি জানার জন্য। টাকার মধ্যে আপনি একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং ১ বছরের জন্য কিনে নিতে পারেন একেবারে শুরুর দিকে। অর্থাৎ মাসে আপনার বিজনেসে ইনভেস্ট হচ্ছে মাত্র ৪১৭ টাকার মত।
পরবর্তীতে আপনার বিজনেস থেকে যখন প্রফিট আসবে তখন আপনি আরও দামী পাওয়ারফুল সার্ভার সেটআপ করে নিতে পারবেন।
যত দামী এবং পাওয়ারফুল সার্ভার/হোস্টিং আপনি নিবেন, ততো বেশিই আপনার সাইটের স্পীড হবে।
শুরুতেই যেহেতু আপনার সাইটে ভিসিটর/কাস্টমার থাকবে না, সেহেতু আপনি কম দামী হোস্টিং নিয়েই শুরু করে দিতে পারেন।
সফটওয়্যার
তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস বেছে নেয়ার অনেক সুবিধা আছে। আগেই বলেছি, ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করার সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার।
এটা ব্যাবহার করে যে কেউই চাইলে একটি ওয়েবসাইট নিজেই তৈরি করে ফেলতে পারে এবং নিজেই অপারেট করতে পারে, কোন ওয়েব ডেভেলপারের সাহায্য ছাড়াই।
ওয়ার্ডপ্রেসের প্রচুর ফ্রি থিম এবং প্লাগিন আছে যেগুলো দিয়ে আপনি ফ্রি-তেই ওয়েবসাইটটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন বা আপনার বিজনেসটি শুরু করে দিতে পারবেন।
শুধু ডোমেইন/হোস্টিং খরচটি আপনার লাগবে।
পরবর্তীতে যখন প্রফিট জেনারেট করবেন তখন আপনি প্রিমিয়াম কিছু সফটওয়্যারও যুক্ত করে নিতে পারবেন আপনার সাইটে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করার জন্য।
তাই শুরুতেই সবকিছু যে প্রিমিয়াম নিতে হবে এমন কোন কথা নেই।
ফ্রি রিসোর্সগুলো নিয়েই শুরু করা যায়।
ফেইসবুক বিজনেস পেইজ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একটি ফেইসবুক বিজনেস পেইজের আপনার প্রয়োজন হবে,
যেন আপনার কন্টেন্টগুলো সামাজিক যোগাযোগগুলোর মাধ্যমে বেশি থেকে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন যা থেকে আপনার সেল বা প্রফিট হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
পাশাপাশি টুইটার, গুগল প্লাস সহ আরও সাইটতো আছেই। তবে ফেইসবুক এবং টুইটার হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কাজের।
কন্টেন্ট / প্রোডাক্ট তৈরি করা
অন্যান্য কোম্পানিগুলো যেমন বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করে বিক্রি করছে, ঠিক তেমনি আপনার আর্টিকেল বা কন্টেন্টগুলোও হচ্ছে আপনার প্রোডাক্ট।
যত ভালো কোয়ালিটির কন্টেন্ট/আর্টিকেল/প্রোডাক্ট আপনি পাবলিশ করবেন ততোই বিজনেস থেকে আপনার প্রফিট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
কন্টেন্ট বলতে এখানে বুঝাচ্ছি, বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট/সার্ভিস সম্পর্কে সুযোগ সুবিধাগুলো আপনার ওয়েবসাইটে লেখা।
উদাহরণ হিসেবে নিচের ছবিটি দেখুনঃ
অনেক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ( ইন্টারনেট ভিত্তিক শপিং মল ) দারাজে সামসাং-এর শোরুম রয়েছে।
দারাজের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করে আপনার ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে আপনি সামসাং-এর পণ্যগুলো আপনার ভিসিটরদের কাছে সেল করতে পারছেন।
অন্যান্য শোরুম মালিকদের মত আপনাকে পণ্যগুলো কিনে স্টোর করতে হচ্ছে না,
শোরুম নিতে হচ্ছে না এবং আরও যে খরচ আছে সেগুলো কিছুই করতে হচ্ছে না, মানে শুরুতেই যে লক্ষ-কোটি টাকার ইনভেস্ট সেটা আর লাগছে না।
আপনার শুধু দরকার একটি ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজ। যেখানে আপনি পণ্যগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে আপনার ভিসিটরদেরকে বা ফেইসবুক ফলোয়ারদের জানাবেন।
এটাতো গেলো আমাদের বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস।
ঠিক একই ভাবে আপনি অ্যামাজনেও সামসাং-এর পণ্য পাবেন এবং সেগুলো আপনার ঘরে বসেই আপনার ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে সেল করার মাধ্যমে দারুণ ইনকাম করে নিতে পারবেন (দোকান / শোরুমগুলোর মত)।
নিচের ছবিটি দেখুনঃ শুধুমাত্র বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে দারাজ এবং রেপটোর এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারেন। যারা এই মুহূর্তে এফিলিয়েট পার্টনার নিচ্ছে।
তবে দারাজ মার্কেটপ্লেস এখনো তাঁদের এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি সম্ভবত পরীক্ষা-নিরীক্ষা (বেটা ভার্সন) করছে,
কারন বাংলাদেশে এখনো মানুষ রিয়েল এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসটি বুঝে না, যার জন্য অনেক স্প্যামিং করে থাকে যা কোম্পানিদের ব্রান্ডিং-এর উপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।
কিন্তু ভবিষ্যতে দারাজ মার্কেটপ্লেসসহ অন্যান্য আরও যে দেশীয় কোম্পানিগুলো আসবে, তারা সবার জন্য এই সুযোগ উন্মুক্ত করে দিবে, এটা আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।
তাই যারা ভালো করে কাজটি শিখে নিবে তারাই হবে পরবর্তীতে বিজয়ী।
আর যদি ইন্টারন্যাশনালি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে অ্যামাজন, এনভাটো, জুমশেপার, উডেমি ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে করতে পারবেন। সবার এফিলিয়েট পদ্ধতিটিই একই।
এফিলিয়েট মার্কেটিং-এ একটি ব্যাপার হচ্ছে, লেখালেখি করা।
লেখালেখিতে এসে সবাই ধরা খেয়ে যায়।
মানুষের ধারনা এটা অনেক অনেক কঠিন একটি কাজ, যেটা একদমই না।
উপরে দারাজের ছবিটি যদি আপনি দেখেন বা লিংকটি যদি ভিসিট করেন তাহলে দেখবেন ওই পণ্যটির অলরেডি সব গুণাগুণ বলে দেয়া আছে।
ঠিক একইভাবে প্রায় সব কোম্পানির প্রোডাক্ট-এর গুণাবলি বা উপকারিতাগুলো বিস্তারিত দেয়া থাকে।
আপনাকে ওই গুণাগুণগুলো পড়ে নিয়ে আপনার মত করে লিখে ফেলতে হবে আপনার ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক পেইজে।
ভুলেও কপি/পেস্ট করা যাবে না, তাহলে তেমন কোন লাভ হবে না। গুগল সার্চ রেঙ্কিং-এ আপনার ওয়েবসাইট আসবে না।
তাই কপি/পেস্ট থেকে দুরে থাকতে হবে ( নেগেটিভ এস,ই,ও হবে )।
যখনই আপনার সাইট বা পেইজ থেকে সেল হবে আপনি দারাজ বা অ্যামাজন বা অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি সেল থেকে প্রফিট পাবেন।
ঠিক শোরুম গুলো যেমন প্রতিটি সেল থেকে লাভ করে।
ধরুন আপনি প্রতিদিন ১০ পিস প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন, প্রতি সেলে আপনার প্রফিট ৫০০ টাকা।
তাহলে প্রতিদিন কত হল? ৫,০০০ টাকা, মানে মাসে আপনার ইনকাম হচ্ছে ১,৫০,০০০ লক্ষ্য টাকা (আনুমানিক)।
যদি ২ জন বন্ধু মিলেও ভালো করে কাজটি করেন তারপরও ৭৫,০০০ টাকা করে ইনকাম।
আপনার ইনভেস্টমেন্ট মাত্র একটি ওয়েবসাইট, ফেইসবুক পেইজ এবং আপনার নিজের পরিশ্রম, ব্যাস! ।
তাছাড়াও আপনি পুরো স্বাধীন, মন চাইলে আজকে কাজ করলেন না চাইলে নেই। কোন ধরা বাধা সময় নেই :) ।
মজা না?
কন্টেন্ট রাইটিংটা কিভাবে শিখতে পারি?
আপনি যাই শিখতে চাননা কেন আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান সময় ব্যয় করতে হবে
এবার সেটা হোক গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ইউটিউব ভিডিও, এসইও, ওয়েব ডিজাইন ( কোডিং ), রাইটিং ইত্যাদি।
একই ভাবে লেখালেখিতেও আপনি সেই পরিমান সময় দিলে দারুণ লিখতে পারবেন এক সময়।
উদাহরণ হিসেবে আমার এই লেখাটি দেখুন,
এক সময় কিছুই লিখতে পারতাম না। আর এখন পাতার পর পাতা লিখতে পারবো।
অন্যান্য কাজের পাশাপাশি লেখালেখি দিয়েও ফ্রীলান্সিংও করা যায় এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কন্টেন্ট রাইটারদেরও অনেক ডিমান্ড।
তবে শুরুতে কেউই ভালো লিখতে পারে না এবং প্রায় সবাই ভুল লিখে,
বিশেষ করে ইংরেজির ক্ষেত্রে এবং যাদের ইংরেজি প্রধান ভাষা না (যেমন আমাদের)।
ভুল লিখলে কোন সমস্যা নেই, আমিও অনেক ভুল লিখতাম প্রথম প্রথম কিন্তু সেই ভুল লেখাগুলো থেকেও অনেক সেল পেয়েছি এবং প্রফিট করেছি। এখনো যে পারফেক্ট লিখি তানা কিন্তু :) ।
এখনো ভুল হয়, কিন্তু আমি সেই ভুলের কেয়ার করি না।
বরং প্রতি নিয়ত আরও ভালো করার চেষ্টা করি।
তাই ভুল হওয়ার ভয়ে পণ্য/সেবা গুলোর সুযোগ সুবিধা গুলো লেখা বন্ধ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই আপনাকে প্রতিদিনই লিখে যেতে হবে এবং আসতে আসতে আপনি আপনার লেখার উন্নতি দেখতে পাবেন।
আর লেখালিখিটাও অনেক দারুণ একটি দক্ষতা এবং মারাত্মক সম্মানজনক।
৩। বিজনেসের টপিক / বিষয় / নিশ পছন্দ করা
নিশ / বিষয় / প্রোডাক্ট যেই নামেই বলেন না কেন, এটা পছন্দ করতে গিয়ে সবাই ঘোলা পানি খায়,
আমি নিজেও :) ।
বিশেষ করে নতুনদের ক্ষেত্রে, যারা একেবারে শুরুর দিকে।
আপনি পড়াশোনা, চাকুরী, ফ্রীলাঞ্চিং, ইউটিউবিং বা বিজনেস, যাই করতে চাননা কেন
আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সাবজেক্ট বেছে নিতে হবে।
ঠিক একই ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসেও আপনাকে একটি সাবজেক্ট বা নিশ বেছে নিতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে মার্কেটে থাকা দোকানগুলোকে দেখুনঃ
কারো মুদি দোকান, কারো ফ্যাশন শোরুম, কারো খাবারের দোকান।
যে যেইটা পারছে, সে সেইটা বিক্রি করছে এবং সেখান থেকে প্রফিট করছে।
আবার চাকরীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করুনঃ
আপনি কিন্তু সবপদে চাকুরী করতে পারবেন না, আপনাকে কোম্পানির যেকোনো
একটি পদে / বিষয়ে / নিশে কাজ করতে হবে যেমনঃ অ্যাকাউন্টেন্ট, সেলসম্যান, এডমিন, ইঞ্জিনিয়ার, এইচ আর ইত্যাদি ।
চাকুরীজীবীরাও তাঁদের সার্ভিস বিক্রি করে থাকে যার বিনিময়ে তারা বেতন পান।
আর যারা বেকার তারা কিছুই বিক্রি করতে পারছে না, তাই তারা বেকার :( ।
তাই ইনকাম করার পুরো পৃথিবীতে একটাই ফর্মুলা,
আর সেটা হচ্ছে কোন কিছু বিক্রি করা, এবার সেটা হোক পণ্য বা সেবা ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও আপনাকে যেকোনো একটি বিষয় / নিশ পছন্দ করতে হবে সেই দোকান বা শোরুম গুলোর মত ( মুদি দোকান, ফ্যাশন শোরুম, রেসটুরেন্ট ইত্যাদি ) ।
এই বিষয় / নিশ পছন্দের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করলে পরবর্তীতে ধরা খেয়ে যাবেন,
এই বিষয়টি একটু সময় নিয়ে ভেবে চিনতে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি কি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য সেল করবেন? নাকি ফ্যাশন পণ্য? নাকি অন্য কিছু?
সব ধরনের পণ্য/সেবারই প্রয়োজন আছে এবং বিক্রি হয়।
তাই নিশ বা বিজনেসের বিষয় পছন্দের ক্ষেত্রে, অন্যর উপর নির্ভর না করে, নিজেই খুঁজে বের করতে হবে।
৪। কোম্পানি এবং প্রোডাক্ট খুঁজে বের করা এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার জন্য
পুরো পৃথিবীতে বেশিরভাগ কোম্পানিই এফিলিয়েট পার্টনারদের নিয়ে থাকে, বিশেষ করে ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিগুলো।
আপনি যে নিশ পছন্দ করবেন আপনার বিজনেসের জন্য ( উদাহরণঃ ইলেক্ট্রনিক্স, জামা-কাপড় ইত্যাদি ), সেই বিষয় বা নিশ সম্পর্কিত পণ্যগুলো যে মার্কেটপ্লেসগুলোতে পাওয়া যায় আপনি সেই মার্কেটপ্লেসগুলোর সাথে এফিলিয়েট বিজনেস শুরু করে দিতে পারবেন।
বাংলাদেশেও বর্তমানে ২টি কোম্পানি এফিলিয়েট পার্টনার নিচ্ছে যারা হলঃ দারাজ বাংলদেশ এবং রেপটো ।
মানে, শুধুমাত্র বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসটি করতে চাইলে আপনি
এই কোম্পানিগুলোর সাথে বিজনেস শুরু করে দিতে পারেন।
দারাজ হচ্ছে একটি অনলাইন ভিত্তিক শপিংমল/মার্কেটপ্লেস
যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যই পাওয়া যায়।
আর রেপটো হচ্ছে একটি কোর্স মার্কেটপ্লেস যেখানে এক্সপার্টরা কোর্স পাবলিশ করে থাকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর।
২টিই হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস, যেখানে আপনার আমার মত সেলাররা
তাঁদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে, যেমনঃ জামা-কাপড়, শার্ট-প্যান্ট, গেজেট, কোর্স, বই, টিভি, স্মার্টফোন ইত্যাদি।
পৃথিবীতে এই ধরনেরই ২টি ইন্টারন্যাশনাল জনপ্রিয় কোম্পানি হচ্ছে অ্যামাজন, উডেমি ।
এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার তৈরি করা যেকোনো পণ্য ( যা অন্যের কাজে আসে ) আপনি সেল করে
ইনকাম করতে পারেন এবার সেটা হোক কোন কোর্স বা বই বা জামা-কাপড় বা স্মার্টফোন বা অন্যকিছু ( নিজের প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম )।
আবার এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে থাকা প্রোডাক্টগুলো আপনার পরিচিত/অপরিচিত মানুষদের কাছে বিক্রি করেও দারুণ ইনকাম করতে পারবেন ( এফিলিয়েট ইনকাম )।
মানে, একটা হচ্ছে আপনি নিজে তৈরি করুন,
আরেকটি হচ্ছে, নিজে তৈরি করতে না পারলে অন্যের তৈরি করা প্রোডাক্ট আপনি সেল করে দিন। যেটাকেই বলা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
বিশেষ করে আপনি নিজে যখন কোন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন না, তখন আপনি অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে দেয়ার মাধ্যমেও প্রফিট করতে পারেন।
ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে ( অ্যামাজন, এনভাটো, জুমশেপার, উডেমি, ফাইভার ) অনেকের পক্ষেই কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠে না ইংরেজিতে দুর্বলতা থাকার কারনে।
ইন্টারনেট প্রসারের সাথে সাথে এই ধরনের সুযোগ বাংলাদেশেও তৈরি হয়ে যাচ্ছে, কিছু দেশীয় কোম্পানি এই সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
যার মধ্যে দারাজ বাংলাদেশ এবং রেপটো হচ্ছে উল্লেখযোগ্য।
মানে হল আপনি ফেইসবুক পেইজ এবং বাংলা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এফিলিয়েট করতে পারবেন।
শুধুমাত্র উপরে উল্লেখ করা কোম্পানিগুলোই না,
বরং প্রায় সব ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিই এফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে থাকে।
আপনি আপনার পছন্দমত মার্কেটপ্লেসে এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে জয়েন করে তাঁদের সাথে বিজনেস করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সব ঠিক থাকলে, তারা আপনার আবেদনটি রিভিউ করে আপনাকে অনুমতি দিয়ে দিবে।
সবগুলো কোম্পানিরই কিছু নিয়ম-নীতিমালা থাকে, যা আপনাকে মেনে চলতে হবে।
অন্যথায় আপনার অ্যাকাউন্ট তারা ব্যান করে দিতে পারে বা আপনাকে দেয়া অনুমতি তারা উঠিয়ে নিতে পারে।
কোম্পানিগুলো আপনাকে তাঁদের এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে অনুমতি দিলেই কেবলমাত্র আপনি তাঁদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রফিট করা শুরু করে দিতে পারবেন।
অনুমতি পেয়ে গেলে আপনাকে সেই কোম্পানি/মার্কেটপ্লেস থেকে একটি ইউনিক আইডি দেয়া হবে,
যেটাকে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজে ব্যাবহার করবেন এফিলিয়েট ইনকামটি নেয়ার জন্য।
ধরে নিচ্ছে আপনি ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করবেন।
তাহলে আপনি দারাজ বা অ্যামাজন মার্কেটপ্লেসের সাথে বিজনেস করতে পারেন একজন এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে।
দারাজ হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশী মার্কেটপ্লেস এবং অ্যামাজন হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস।
এই মার্কেটপ্লেসগুলো আসলে কিভাবে কাজ করে তা আরও একটু ভালো করে বুঝে নেয়ার জন্য আমার নিচের ভিডিওটি দেখে নিন।
যার মানে হচ্ছে আপনি বাংলায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে দারাজ মার্কেটপ্লেস
থেকে সামসাং-এর পণ্য সেল করতে পারেন।
অথবা যদি ইংরেজিতে ইন্টারন্যাশনালি করেন তাহলে অ্যামাজন থেকে
সামসাং-এর পণ্যগুলো সেল করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে।
সামসাং শুধু একটি উদাহরণ মাত্র, সব ধরনের নতুন পুরাতন ব্রান্ডগুলোই তাঁদের পণ্য এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিক্রি করে থাকে।
আর এই সব কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে মার্কেটপ্লেসগুলো
( দারাজ, অ্যামাজন, রেপটো, উডেমি, এনভাটো, জুমশেপার) আপনাকে প্রফিটের একটি অংশ দিয়ে থাকে।
তাই এফিলিয়েট বিজনেসের জন্য কোন
মার্কেটপ্লেসকে আপনি বেছে নিবেন সেটা নির্ভর করবে, আপনি কি প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট বিজনেসটি শুরু করতে চাচ্ছেন তার উপর।
এগুলো ছাড়াও আরও হাজারো লক্ষ্য কোম্পানি আছে যারা এফিলিয়েট পার্টনার নিয়ে থাকে।
আমি জাস্ট দেশী/বিদেশী কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসের কথা
আপনাকে বলে দিলাম, যেগুলো থেকে হ্যান্ডসাম ইনকাম করে নেয়া সম্ভব।
৫। মার্কেটিং করা ( অনপেইজ এসইও, অফপেইজ এসইও, পেইড মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং )
এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইটটি গুগল রেঙ্কিং-এ নিয়ে আসার জন্য সাইটের
এসইও করতে হয়, মানে আপনার সাইটের মার্কেটিং করবেন।
যেন আপনার ওয়েবসাইটে বেশি থেকে বেশি ভিসিটর/কাস্টমার আসতে শুরু করে।
যেহেতু পুরো বিজনেসটি একটি অনলাইন ভিত্তিক বিজনেস তাই মার্কেটিংও আপনাকে অনলাইনে করতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে যে দারুণ সব উপকারী
কন্টেন্ট আছে সেগুলো অনলাইনে অন্যান্য মানুষদেরকে জানাতে হবে।
যেন তারা আপনার ওয়েবসাইটটি ভিসিট করতে শুরু করে,
আর যখনই তারা আপনার সাইট ভিসিট করতে শুরু করবে।
আপনার বিভিন্ন ভাবে ইনকাম জেনারেট হতে শুরু করবে যা আমি নিচে বলে দিয়েছি।
এই মার্কেটিং এর জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।
৩টি পদ্ধতিতে একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইটকে মার্কেটিং করা হয়।
১। অন পেইজ এসইও ( আপনার নিজের ওয়েবসাইটকে গুগলের জন্য যথাযথোভাবে অপটিমাইজ করা )
২। অফ পেইজ এসইও ( অন্যের ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করা )
৩। পেইড মার্কেটিং ( ডলার খরচ করে আপনার আর্টিকেল/কন্টেন্ট/প্রোডাক্ট-এর মার্কেটিং করা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন অ্যাডের মাধ্যমে, যেমনঃ ফেইসবুক অ্যাড, গুগল অ্যাডসেন্স ইত্যাদি )
তাছাড়াও আরও একটি জনপ্রিয় এবং দারুণ কার্যকরী উপায় হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিসিটরদের কাছ থেকে আপনি তাঁদের ইমেইল সংগ্রহ করতে পারেন এবং তাঁদের ই-মেইলে বিভিন্ন পণ্য/সেবার অফার পাঠাতে পারেন।
তারা যখন সেই পণ্য/সেবা কিনে নিবে তখন আপনার সেখান থেকেও এফিলিয়েট ইনকাম হবে।
৬। ইনকামের সুযোগগুলোঃ
একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার অনেক অনেক উপায় রয়েছে।
যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি আমি নিচে বলে দিলামঃ
গুগল অ্যাডসেন্স
স্পন্সরপোস্ট
সরাসরি কোম্পানিদের কাছ থেকে অ্যাড পাওয়া।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
ওয়েবসাইট সেল করা (ফ্লিপিং বিজনেস)
নিজের পণ্য/সেবা বিক্রি করা ইত্যাদি।
চলুন ব্যাপারগুলো বিস্তারিত দেখিঃ
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগলের একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কোম্পানি, যার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীর কোম্পানিগুলো তাঁদের পণ্য/সেবার প্রচার করে থাকে।
উদাহরণ হিসেবে আপনি ইউটিউবের ভিডিও গুলোকে দেখুন, ভিডিও এর উপর অ্যাড শো করে। ছবিতে যে কোম্পানি অ্যাড দিয়েছে সেটি অনেক জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার কোম্পানি যারা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বিক্রি করে।
আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও দেখবেন অ্যাড শো করে, নিচের ছবিটি দেখুন। ছবিতে সাইটগ্রাউন্ড নামে একটি কোম্পানি অ্যাড দিচ্ছে,
যেটা পুরো পৃথিবীর মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটি ডোমেইন/হোস্টিং কোম্পানি। পাশাপাশি আরও একটি কোম্পানির অ্যাড শো করছে।
প্রায় সব কোম্পানিই এইভাবে তাঁদের পণ্য/সেবা প্রচার করে থাকে অনলাইনে।
কোম্পানিগুলোর পণ্য/সেবা প্রচার করার জন্য অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করার কারন হল, কোম্পানিগুলোকে আর আলাদা আলাদা করে ওই ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেলে যোগাযোগ করতে হচ্ছে না।
তারা তাঁদের গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাডটি দিয়ে দিতে পারছে।
গুগল কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে অ্যাড গুলো ইউটিউব, ওয়েবসাইটসহ আরও অন্যান্য যে প্লাটফর্মগুলো আছে সেগুলোতে শো করাচ্ছে।
যার জন্য কোম্পানিগুলোর প্রচুর সময় বেচে যাচ্ছে।
তাছাড়া অ্যাডগুলো ঠিক মত শো হচ্ছে কিনা, কতজন মানুষ অ্যাডগুলো দেখতে, কতজন পণ্য/সেবা কিনে নিচ্ছে, এই সব কিছুই কোম্পানিগুলো তাঁদের অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে দেখতে পায়।
এই অ্যাড সার্ভিসটি গুগলের কাছ থেকে নেয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে পেমেন্ট করতে হয়।
আপনার ওয়েবসাইটেও আপনি চাইলে এই গুগল অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করতে পারবেন একজন পাবলিশার হিসেবে।
মানে হল,
আপনার ওয়েবসাইটে ওই কোম্পানিগুলোর অ্যাড শো করার জন্য আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স টিমের অনুমতি লাগবে।
যদি আপনাকে অনুমতি দেয়া হয় তাহলেই আপনি আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাড গুলো নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে শো করাতে পারবেন।
কোম্পানিগুলো গুগলকে যে পেমেন্ট করছে অ্যাডের জন্য,
সেখান থেকে গুগল আপনাকে একটা অংশ দিবে, যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটে কোম্পানিগুলোর পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন চলছে।
যেটাই মুলত অ্যাডসেন্স ইনকাম।
তবে যেহেতু কোম্পানিগুলো পেমেন্ট করছে এবং এখানে কোটি কোটি ডলারের ব্যাপার, তাই গুগল কোনো ওয়েবসাইটে অ্যাড শো করার অনুমতি দেয়ার পূর্বে সেই ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি চেক করে নেয়।
যদি সাইটের আর্টিকেল/কন্টেন্ট ভালো মানের হয় তাহলে গুগল আপনার সাইটে অ্যাড শো করানোর অনুমতি দিয়ে দিবে। (স্পেমিং, কপি/পেস্ট সাইটে অনুমতি দেয়না)
গুগল অ্যাডসেন্স কি সোনার হরিণ?
একদমই না!
বাংলাদেশেসহ পুরো পৃথিবীতেই প্রচুর মানুষের অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রভ করানো আছে, কিন্তু ইনকাম জিরো।
শুধুমাত্র অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকলেই যে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে ব্যাপারটা তানা,
এখানে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদটি হচ্ছে আপনার কন্টেন্ট। তাই অন্যান্য সব কাজের পাশাপাশি এটাতে সব চেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
গুগল বসে আছে আপনাকে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট দেয়ার জন্য, কারন আপনার মত যত বেশী তাঁদের পার্টনার থাকবে গুগল ততো বেশিই ইনকাম করে নিতে পারবে।
ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনি আপনার গুগল অ্যাডসেন্সের ডলারগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবেন কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই।
স্পন্সরপোস্ট
স্পন্সরপোস্ট হচ্ছে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার আরও একটি দারুণ উপায়।
আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভালো মানের ভিসিটর/ট্রাফিক/কাস্টমার থাকবে তখন বিভিন্ন কোম্পানি সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাঁদের পণ্য/সেবা সম্পর্কে আপনার ওয়েবসাইটে পেইড পোস্ট করার জন্য।
তাই ওয়েবসাইটে একটি যোগাযোগ ফর্ম থাকা অত্যন্ত জরুরী, যেন যে কেউ আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
আপনি স্বাভাবিক ভাবে পোস্ট/আর্টিকেল/কন্টেন্ট পাবলিশতো করবেনই, কিন্তু স্পন্সরপোস্টগুলোর জন্য আপনি ডলার চার্জ করতে পারবেন।
আমি ৪০০ ডলার করে চার্জ করেছি বিভিন্ন কোম্পানিদের কাছ থেকে, শুধুমাত্র তাঁদের প্রোডাক্ট/সার্ভিস সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইটে লিখে দেয়ার জন্য।
সরাসরি কোম্পানিদের কাছ থেকে অ্যাড পাওয়া
বিভিন্ন কোম্পানি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যানার অ্যাড দিবে সরাসরি, মানে আপনার ওয়েবসাইটের জায়গা ভাড়া নিবে। বাড়ি ভাড়ার মত, জনপ্রিয় সব নিউজ সাইট গুলো ভিসিট করলে আপনি তা সরাসরি দেখতে পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং ছবিতে আমি একটি মাত্র মার্কেটপ্লেসের এফিলিয়েট ইনকাম দেখালাম, যেটা পৃথিবীর অনেক জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার মার্কেটপ্লেস।
সব ইনকামগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে করা।
এটি শুধুমাত্র একটি মার্কেটপ্লেস, আরও অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস/কোম্পানি থেকে আমি এফিলিয়েট ইনকাম করেছি, যা আর দেখালাম না।
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার। অন্যান্য উপায়গুলোর থেকেও এটি বেশি কার্যকরী এবং ইনকামের লেভেলও অনেক।
উপরেই কিন্তু আমি বলে দিয়েছি যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি।
আবারও বলছি, আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য/সেবা বিক্রি করে দিবেন, যার বিনিময়ে আপনাকে লাভের একটি অংশ দেয়া হবে।
আপনি একটি ওয়েবসাইটে যতগুলো খুশী কোম্পানির পণ্য/সেবা বিক্রি করতে পারবেন। আপনাকে যে অ্যামাজন বা দারাজ বা আলী এক্সপ্রেস বা থিমফরেস্ট এর যেকোনো একটিতে কাজ করতে হবে ব্যাপারটা তানা।
আপনার ওয়েবসাইট, আপনার বিজনেস।
এবার আপনি যত গুলো খুশী ততোগুলো মার্কেটপ্লেস/কোম্পানির সাথে এফিলিয়েট পার্টনার হয়ে বিজনেস করে যেতে পারবেন, একই ওয়েবসাইট দিয়ে।
ওয়েবসাইট সেল করা ( ফ্লিপিং বিজনেস )
nic post boro
Thanks..
Hello Steemit all
\Friends//
Kamon asen apnara
asa korry valo https://steemit.com/@hapijul33
apnara.jara...amake follow korn....
Tader sobaike bolce.je...
apnara..steemit a kesh neom.meney kajkorry.mase 300$ dolar incam korun....
1>>pote din 3ta korry pist korben
2>>Pote bin 6pm//10// ar vetorry post gulo korben3>>apnara 300 jon ke jode follow koren...tader sobai ke vot deben.and.comment korben
4>>apnara jode pote din jode karo poste vot. comment.. naden..tobe apnake..unfollow kora hobey...``5>>amra pote bin sobai sobar poste vot... comment korbo...
"""""Sobai amake follow korben...ame... jara.jara..amake follow korben...ame kotha desce potebin...apnader poste vot.. and... comment. korbo...
Thanks...
wa lkhawna heelow
Hi
Thanks