লাউয়ের বীজ+কোরালের ভর্তা||পুঁইফল আর মটরশুঁটির ভর্তা||সাথে ৫ রকমের ইউনিক ঝাল ভর্তা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আমার বাংলা ব্লগে চলমান কনটেস্ট হল শীতকালীন সবজি দিয়ে ভর্তা। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমি এলাম হরেক রকমের ভর্তা রেসিপি নিয়ে। মূলত কনটেস্ট অনুযায়ী কমপক্ষে দুটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার কথা ছিল। আর আমি ভাবলাম শুধুমাত্র দুটি ভর্তা দিয়ে না করে তার পাশাপাশি আরো কয়েকটা ভর্তা এড করলে মন্দ হবে না। একের ভেতর অনেক হয়ে গেল, খাওয়াও হলো, শীতকালীন সন্ধ্যাটা চিতই পিঠার সাথে ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে মজা করে খাওয়া হবে। তবে আমি দুটি রেসিপি কে মেইন রেসিপি হিসেবে উপস্থাপন করেছি।
আর বাকি রেসিপি গুলো একদম সংক্ষিপ্ত আকারেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কারণ পোস্ট এমনিতেই অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। তবে স্পেসিফিকলি আমি ভর্তাগুলো আলাদা করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখি আপনারা প্রতিটি ভর্তায় মরিচের ঝাল অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। আমাদের ব্যবহৃত মরিচগুলো খুব ঝাল ছিল সেজন্য আমি অল্প করে ব্যবহার করেছি। চিতই পিঠা দিয়ে খাব বলে মূলত সাতটি রেসিপি তৈরি করেছি। আমার মেইন রেসিপি হল দুইটি। যেগুলো আমি প্রথম দিকেই দিয়ে দিলাম। তবে ডেকোরেশন এর ক্ষেত্রে আমি সবগুলো রেসিপি দিয়ে ডেকরেশন করেছি। বিস্তারিত কিছু কথা রেসিপিতে লিখে দেব।
তবে এক্ষেত্রে বাকি যে পাঁচটি রেসিপি তৈরি করেছি সেগুলোর কাজ আমি আগেই করে রেখেছি ছবি তুলি নি। কারণ এক্ষেত্রে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। প্রতিটি সবজি প্রথমেই সিদ্ধ করে তারপর ভেজে নিয়েছি যাতে কাঁচা গন্ধটা চলে যায়। এভাবেই কিন্তু প্রতিটি ভর্তা তৈরি করা যাবে। প্রতিটি রেসিপিতে আমি মাছ ব্যবহার করেছি তবে একটা রেসিপিতে ডিম ব্যবহার করেছি। মাছের ক্ষেত্রে আমি কোরাল মাছ, তেলাপিয়া মাছ, টাকচাঁদা মাছ, শিং মাছ, এগুলো ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে অন্য মাছও ব্যবহার করতে পারেন।

তবে সত্যি কথা হলো প্রত্যেকটি ভর্তা অসম্ভব মজার হয়েছে। একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে। আর আমাদের সন্ধ্যাটাও বেশ ভালোই জমে ছিল। এই গরম গরম শীতের পিঠার সাথে। যাই হোক রেসিপি শুরু করা যাক।
♥️কোরাল মাছ দিয়ে লাউয়ের বিচির ভর্তা♥️
আমরা সকলেই কিন্তু জানি যে লাউ একটা শীতকালীন সবজি। লাউ এবং লাউয়ের খোসা দিয়েও কিন্তু আমি রেসিপি তৈরি করেছি। তবে ইউনিক এর জন্য আমি লাউয়ের বীজ দিয়ে কোরাল মাছের ভর্তা তৈরি করেছি। যেটি হয়তোবা কখনোই কেউ করেনি। কোরাল মাছের স্বাদ আর লাউয়ের বিচির স্বাদ দুটো এক হওয়ার কারণে এর মজাটা আরও বেশি হয়েছে। আমি বলব এটা যদি কেউ পারেন অবশ্যই তৈরি করার চেষ্টা করবেন। একবার খেয়ে দেখলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কোরাল মাছ | ২টুকরো |
লাউয়ের বিচি | ১ কাপ |
শুকনো মরিচ | ১০টি |
লবণ | পরিমাণ মত |
রসুন | ১টি |
ধনেপাতা | পরিমাণ মত |
সরিষার তেল | ২টেবিল চামচ |
প্রথম ধাপ |
---|
ফ্রাই প্যানে প্রথমে সরষের তেল দিয়ে দিলাম। তারপর তেল গরম হয়ে এলে কোরাল মাছের দু টুকরো দিয়ে হালকা লবণ দিয়ে দিলাম। এরপর শুকনো মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম, মরিচ ভাজা হলে তুলে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
এধাপে মাছের পাশেই লাউয়ের বীজগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তুলে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এখন পেঁয়াজ কুচি আর রসুনগুলো দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভালোমতো ভেজে তুলে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ |
---|
প্রথমতই মাছের কাঁটা বেছে নিলাম। তারপর এগুলো ব্লেন্ডার দিয়ে দিলাম। তার সাথে দিলাম শুকনো মরিচগুলো। এর পরে হালকা ব্লেন্ড করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ |
---|
তারপর পেঁয়াজ, রসুন, লাউয়ের বিচি এবং ধনেপাতা এক এক করে দিয়ে তিন থেকে চার সেকেন্ড ব্লেন্ড করলাম। এর মাঝে হালকা লবণ যোগ করলাম। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার লাউয়ের বিচি আর কোরাল মাছের ভর্তা।
♥️পুঁইশাকের বিচি আর মটরশুটির ভর্তা♥️
এই রেসিপিটা সিলেক্ট করার কারণ হলো পুঁইশাকের বিচি একটা শীতকালীন সবজি। কারণ শীতকালে এটি দেখা যায়। তার পাশাপাশি মটরশুঁটিও হল শীতকালীন একটা সবজি। এর মধ্যে আমি টমেটো এবং পোস্তদানা এড করেছি স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য। পোস্তদানা দিলে এর স্বাদ অন্যরকম হয়। শিং মাছ দেয়ার কারণে এটি আরো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। চলুন তাহলে রেসিপিটি শুরু করা যাক।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পুঁইশাকের বিচি | ১কাপ |
মটরশুটি | ১কাপ |
শিং মাছ | ২টি |
মরিচ | ২০ টি |
লবণ | পরিমাণ মত |
পোস্তদানা | আধা চা চামচ |
রসুন | ১টি |
পেঁয়াজ | ১টি |
সরিষার তেল | ২ টেবিল চামচ |
টমেটো | ১টি |
ধনেপাতা | পরিমাণ মত |
প্রথম ধাপ |
---|
প্রথমে মটরশুঁটি এবং পুঁইশাকের বিচি গুলো ভালোভাবে ধুয়ে হাফ চা চামচ লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিলাম। তারপর পানি ঝরিয়ে তুলে রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
প্রথমে কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে দিলাম। তেল ভালো করে গরম হয়ে এলে এর মধ্যে শিং মাছ, পেয়াজ, রসুন, টমেটো সবকিছু একসাথে দিয়ে ভাজতে থাকলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
বেশ কিছুক্ষণ ভেজে নেয়ার পর মাছ, পেঁয়াজ, রসুন তুলে নিলাম। তার পাশাপাশি পূর্বে সিদ্ধ করে রাখা মটরশুঁটি এবং পুঁইশাকের বিচি গুলো পানি ঝরানোর পর এগুলো ভাজতে দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ |
---|
সর্বশেষ মরিচগুলো ভেজে সবকিছুই তুলে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ |
---|
এখন ভেজে নেয়া শিং মাছগুলোর কাটা বেছে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিলাম। তার পাশাপাশি কাঁচামরিচ পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
এখন টমেটো মটরশুঁটি এবং পুঁইশাকের বিচি গুলো দিয়ে একটু লবণ এবং পোস্তদানাগুলো দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম। তৈরি হয়ে গেল মজাদার মিক্স সবজির ভর্তা।
ফুলকপি-ডিম ভর্তা |
---|
এই ভর্তা তৈরি করার জন্য আমি নিয়ে নিলাম **ফুলকপি ১ কাপ , ১টি সিদ্ধ ডিম, ১টি পেঁয়াজ, ৬টি শুকনো মরিচ, ৫টি রসুন, ধনেপাতা আর লবণ।
প্রথমেই আমি ফুলকপি ৫মিনিট সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।তারপর পানি ঝরিয়ে তেলে ভেজে নিলাম। পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন আর শুকনো মরিচ তেলে ভেজে নিয়ে নিলাম।
এখানে পেঁয়াজের সাথে শুকনো মরিচ,লবণ আর রসুন হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
এখন ফুলকপি আর ধনেপাতা সেই পেঁয়াজ মাখার সাথে ভালোভাবে কচলে মেখে নিলাম। ডিমটিকে গ্রেট করে নিয়ে আবারও সবকিছু মেখে নিয়েছি। ব্যাস, রেডি হয়ে গেল হাতে মাখানো ফুলকপি-ডিমের ভর্তা।
লাউয়ের খোসা ও শিং মাছের ভর্তা |
---|
এই ভর্তার জন্য আমি পূর্বেই ১টি পেঁয়াজ,৫টি রসুনের কোয়া,৫টি ঝাল কাঁচামরিচ, সাথে ২টি শিং মাছ তেলের মধ্যে ভেজে নিয়েছি। এরপর লাউয়ের খোসাকে ছোট করে কেটে ৫মিনিট সিদ্ধ করে তারপর হালকা সর্ষের তেল দিয়ে ভেজে নিয়েছি।সাথে নিয়েছি ধনেপাতা আর পরিমাণ মত লবণ।
শিং মাছ দুটোর কাটা বেছে নিয়েছি।তারপর ব্লেন্ডারের ছোট জারে শিং মাছ আর কাঁচামরিচ দিয়ে ২সেকেন্ড ব্লেন্ড করলাম।তারপর লাউয়ের খোসা দিয়ে ২সেকেন্ড ব্লেন্ড করলাম।
এরপর বাকি উপকরণ মানে ভাজা পেঁয়াজ, রসুন,ধনেপাতা আর লবণ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ব্লেন্ড করে নিলেই হয়ে গেল আরেকটা মজার ভর্তা।
টাকচাঁদা মাছ আর মুলার ভর্তা |
---|
এখানে উপকরণ এর জন্য নিলাম একটুকরা ভাজা টাকচাঁদা মাছ,একটি মুলা ছোট ছোট করে কেটে সিদ্ধ করে সর্ষের তেলে ভেজে নেয়া।পেঁয়াজ, রসুন আর ৫টি কাঁচামরিচ আগেই সর্ষের তেলে ভেজে নিয়েছি। ধনেপাতা আর লবণ তো আছেই।
এবার মাছের কাটা বেছে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিলাম।সাথে দিলাম ভাজা পেঁয়াজ, রসুন আর কাঁচামরিচ। ২সেকেন্ড ব্লেন্ড করে নিলাম।
এরপর মুলা,ধনেপাতা আর লবণ দিয়ে আবারও ২-৩ সেকেন্ড ব্লেন্ড করলেই হয়ে গেল মুলা আর টাকচাঁদা মাছের ভর্তা।
লাউ আর তেলাপিয়ার ভর্তা |
---|
এখানে এক টুকরো লাউ ছোট করে কেটে হালকা সিদ্ধ করে ভেজে নিলাম।এর সাথে ভাজা পেঁয়াজ,কাঁচামরিচ, রসুন নিলাম।এখানে একটা টমেটো ভেজে নিলাম, সাথে একটা মাঝারী তেলাপিয়া মাছ ভাজা নিলাম।ধনেপাতা আর লবণ তো রয়েছেই।
এখন মাছের কাটা সুক্ষ্মভাবে বেছে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিলাম। সাথে ভাজা পেঁয়াজ,রসুন,কাঁচামরিচ দিয়ে একটু ব্লেন্ড করলাম।
তারপর লাউ,ধনেপাতা আর পরিমাণ মত লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম আর রেডি হয়ে গেল আরেকটা মজাদার ভর্তা।
শিং মাছের ঝাল ভর্তা |
---|
হাতে মাখানো আরেকটা ঝাল ভর্তা। এখানে নিলাম বড় একটা ভাজা পেঁয়াজ ,কাঁচামরিচ, ৫টি রসুন, শিং মাছ, ধনেপাতা আর লবণ।
প্রথমে শিং মাছের সাইডের আর মাঝের কাটা ফেলে দিলাম। তারপর ভালোভাবে মাছগুলো কচলে মেখে নিলাম। তারপর শুকনো মরিচ লবণ দিয়ে মেখে নিলাম।
তারপর এক এক করে পেঁয়াজ,ধনেপাতা সবকিছুর সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে হাত দিলে কচলে মেখে নিলাম আর এতেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার শিং মাছের ঝাল ভর্তা।
সবগুলো ভর্তা |
---|
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই প্রতিযোগিতা না দিলে হয়তো এত ধরনের ভর্তা রেসিপি দেখা হতো না। এই ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি চিতই পিঠার সাথে খেতেও খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি পিঠা দিয়ে খাওয়ার জন্য সাত ধরনের ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। প্রতিটা ভর্তা খেতে নিশ্চয়ই খুবই মজা হয়েছে। আপনার পিঠা দিয়ে খাওয়ার কথা শুনে আমারও খুব খেতে ইচ্ছে করছে। প্রতিটা ভর্তার প্রক্রিয়াকরণ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পিঠা দিয়ে ভর্তা খেয়ে আমি নিজেই ফিদা,হাহাহা।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভর্তা জাতীয় খাবার আমার খুবই ফেভারিট। আজকে কয়েক প্রকার ভর্তা রেসিপি করেছেন সত্যি দেখে ভালো লাগলো। যদি খেতে পারতাম তাহলে আরো ভালো লাগতো।😋 আমাদের কমিউনিটিতে সবাই অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি শেয়ার করে থাকে। এই ধরনের ভর্তা রেসিপিগুলো গরম গরম খেতে দারুন মজা । প্রত্যেকটা ভর্তা রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । অনেক সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভালো লাগলো।
ভর্তা হলে ভাত খেতে আর কোনো কিছুই লাগে না।
আপু কি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করলেন। আমার তো আপনার এত রকমের ভর্তা গুলো দেখেই মাথা ঘুরাচ্ছে। বাপরে বাপ কি দারুন ক্রেয়েটিভ আইডিয়া। সত্যি কিন্তু এমন ভর্তা দেখে নিজেকে সামলানো বেশ দায়। আগে বললে কিন্তু আমি চলে আসলাম। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
হাহাহা,একটা একটা করে বানিয়ে ফেলুন।
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি ইউনিক ইউনিক ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া,মন্তব্য করার জন্য।।
আমি তো একেবারে অবাক হয়ে গেছি আপনার এত্তো এত্তো ভর্তা দেখে।সব গুলো লোভনীয় ভর্তা।দেখতে চমৎকার খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু। সব গুলো ভর্তা রেসিপি ধাপে ধাপে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে ভীষন ভালো লাগছে।ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে দারুণ লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর ভর্তা রেসিপি পোস্ট গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে ভীষণ মজা,সেদিন খাওয়ার পর আবার খেতে ইচ্ছে করেছিল।
অনেক লোভ লেগে গেল আপনার চমৎকার ভর্তা রেসিপি দেখে। আসলে ভর্তা খুবই জনপ্রিয় সবার মাঝে। এ বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার প্রত্যেকটি খুব ইউনিক ছিল। এ বিষয়টি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,সুন্দর মন্তব্য করার জন্য,।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। যাইহোক আপনি তো বেশ কয়েক রকমের ভর্তা তৈরি করেছেন দেখছি। কোরাল মাছের ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দ। সন্ধ্যার সময় চিতই পিঠার সাথে এতো ধরনের ঝাল ঝাল ভর্তা থাকলে তো আর কোনো কথাই নেই। ভর্তা রেসিপি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো লোভনীয় রেসিপি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কোরাল মাছের ভর্তা জাস্ট অসাধারণ ছিল,না খেলে জানতামই না।ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে।
আপনি তো দেখছি আজকে অসাধারণ কিছু ভর্তা রেসিপি নিয়ে আসলেন। আসলে আমার কাছে যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতেই খুবই ভালো লাগে। আর আপনার ভর্তাগুলো দেখে তো একদম জিভে জল চলে আসলো। ইচ্ছে করছে গরম ভাতের সাথে খেয়ে ফেলি। আমার আবার ভর্তার সাথে গরম ভাত দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। আর যেদিন ভর্তা রেসিপি করি তখন আমি অন্য কিছু ভর্তার সাথে নেই না। প্রত্যেকটা রেসিপি আলাদা আলাদা ভাবে সুন্দর হয়েছে। সবগুলো রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
গরম ভাতের সাথে ভর্তা হলে আর কিছুই লাগে না, এমনিতেই ভাত শেষ করে ফেলা যায়।