জনসাধারণের চোখে ঢাকার অবস্থা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে বর্তমানে ঢাকার যা অবস্থা এতে করে মানসিকভাবে ভালো থাকার কোন অবকাশ নেই। প্রথমেই বলে রাখি এটা কোন রাজনৈতিক বিষয়ের পোস্ট নয়। বরঞ্চ বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আমার ব্যক্তিগত কিছু মতামত আপনাদের সাথে তুলে ধরছি, তবে চলুন শুরু করা যায়।
আজ দুপুরের পরে একটু আমার বাসা থেকে বেরিয়ে ছিলাম আম্মুর অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। অনেক কয়েকদিন ধরেই অফিসে যাওয়া হয়নি এবং অফিসও অনেক ধরনের কাজ পেন্ডিং ছিল আম্মুর। তাই সেসব কাজগুলো একটু করার জন্য গিয়েছিলাম এছাড়াও আরো আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় বস্তু ছিল সেগুলো ঠিক করার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়েই একটু হয়রানির মধ্যে পড়ে যাই। দুপুর বেলা এবং রমজান মাস। এতে করে দুপুরবেলায় যানজট হওয়ার কোন কথাই নেই। কিন্তু বিশ্বাস করবেন না নতুন বাজার থেকে রামপুরা যেতে ১.৫ ঘন্টা সময় লেগেছে। যদি রাস্তা ফাঁকা থাকতো সর্বোচ্চ সাত থেকে আট মিনিট সময় লাগতো কিন্তু সেই জায়গায় পাক্কা দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে। তাহলে একবার বুঝতে পারছেন বর্তমানে যানজটের অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
সাধারণত ফেসবুক খুব একটা বেশি ব্যবহার করা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে একটু ফেসবুকের মাধ্যমে দেশের খবর নেওয়ার চেষ্টা করি। ঠিক তেমনিভাবে কিছুদিন আগে একটি ভিডিও দেখলাম। আমি যে অঞ্চলে থাকি সেখানেই একটি ছিনতাই দল একটি মোটরসাইকেল আরোহীর উপরে আক্রমণ চালায় এবং তার সমস্ত শরীরের রক্তে রক্তান্নিত হয়ে গেছে। সে যেহেতু মোটরসাইকেলে বসা ছিল তাই ছিনতাই কারীরা তাকে ধরতে পারেনি। পরবর্তীতে গিয়ে একটি পেট্রোল পাম্পে থেমেছিল এবং সেখান থেকেই ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। তিনি পরনে একটি সাদা শার্ট পড়েছিল কিন্তু বিশ্বাস করবেন না পুরো শার্ট রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেছিল।
এইতো গত সপ্তাহে আমি ঢাকায় এসেছিলাম। ঢাকায় আসার পরেই বিভিন্ন ধরনের টেনশন মাথার মধ্যে ছিল। কারণ বর্তমানে ঢাকার অবস্থা ভালো নয়। দেশের প্রত্যেকটা জায়গায় ছিনতাই এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে তাদেরকে ধরা ছোঁয়া কিংবা তাদের বিরুদ্ধে যে কোন আইনক ব্যবস্থা নেবে এই বিষয়গুলো খুবই কম দেখা দিচ্ছে। এতে করে আমাদের মত জনসাধারণের মধ্যে একটি চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা কি আসলেই এই দেশে এখন পর্যন্ত নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারব? এই বিষয়গুলোর মধ্যেই আমরা দিন চলাচল করছি এবং আমাদের এই শহরে প্রতিনিয়তই পথ চালনা করছি। জানিনা আগামী দিন কি হবে! জানিনা আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে?
এখন বাসা থেকে বের হলেই সাথে করে আরেকটি ফোন নিয়ে যাই না। বরং ছোট একটি ফোন নিয়ে যাই। যাতে করে ছিনতাইকারীর আক্রমণে পড়লেও আমার খুব বেশি ক্ষতি হয় না। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। এটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত মতামত থেকে লিখছি কারণ আমি যেগুলো দেখছি সেটাই লেখার চেষ্টা করছি। জানি এর মধ্যেও অনেকেই ভুল ধরার চেষ্টা করবেন। তবে আমি আমার নিরাপত্তাকে সবার আগে গুরুত্ব দেই এবং আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এইসব লিখছি।
তবে অপরদিকে আজ জনসাধারণের কিছু কিছু ভালো কাজও হচ্ছে। যেমন ছিনতাইকারীদের ধরে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে পুলিশের হাতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল আমাদের পুলিশ প্রশাসন কি করছে? তাদের কি কোন দায়িত্ব নেই? এই ঢাকা শহরকে একটু সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। যাই হোক জাতির কাছে প্রশ্ন রইল জানিনা এর উত্তর পাবো কিনা! কিংবা আমাদেরকে আর কতদিন এরকম আতঙ্কে জীবন যাপন করতে হবে। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: জনসাধারণের চোখে ঢাকার অবস্থা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
ঢাকা শহরের জ্যাম সারা পৃথিবীর মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত। আমি যখন ঢাকা গিয়েছিলাম তখন সেই জ্যামের মধ্যে পড়েছিলাম। আর একটা জিনিস দেখেছিলাম। সেখানকার সিএনজি অটোগুলো কি মারাত্মক ড্রাইভিং করে। তাও আবার এই ছিনতাইয়ের ব্যাপারটা আমি প্রথমেই শুনেছিলাম। সেই জন্য নাকি সমস্ত সিএনজি জাল দিয়ে ঘেরা। বিষয়টা আমাকে ভীষণ অবাক করেছিল। এমনকি আমাকে নিতে যে বন্ধু এসেছিলেন তিনি আমার ব্যাগটা পিঠের দিকে রাখতেও বারণ করেন। ফলে আমি ব্যাগ সামনের দিকে নিয়ে নিই।
গতকাল দুপুরে আমি গুলিস্তান থেকে শান্তি নগরে গিয়েছিলাম। পাঁচ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টার উপরে লেগেছে। এত মানুষ এত গাড়ি, কি যে একটা অবস্থা বলে বুঝানো যাবে না।
ঢাকার রাস্তায় জ্যামের কথা আমি আগে শুনেছি তবে কখনো সামনে থেকে পরখ করে দেখিনি। আসলেই সেই সুযোগ কখনো হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতেই যে চুরি ছিনতায়ের কথা তুমি দেখেছো তা দেখে সত্যিই খুব ভয় লাগছে। জীবন যদি এরকম হয়ে যায় তবে কোন কিছুরই নিশ্চয়তা থাকে না। সাবধানে থেকো আশা করি খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে এবং সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
ভাই এখন তো পুলিশেরা নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোনো সমস্যায় পড়ে তাদেরকে ফোন দিলে,তারা বলে যে তাদেরকে প্রোটেকশন দেওয়া যাবে কিনা। এসব ভাবলে আসলেই মনে হয় কেমন দেশে আমরা বসবাস করছি। ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে অহরহ বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই। এখন আসলে যতটা সম্ভব নিজের সেফটি নিয়েই নিজেকে চলতে হবে।
ঢাকার জ্যাম আমার কাছে মনে হয় চিরস্থায়ী।এর সমাধান এতদিনও হয়নি আর কখনো হবেও না।যানজটের সমস্যা তো আছেই, সেই সাথে বর্তমানে যে একটা বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা আসলে বিরক্তিকর এবং হতাশা জনক।রাস্তাঘাটে বেরোলেই যেন মনের ভিতরে একটা ভয় কাজ করে, কখন যেন কি হয়ে যায়।আমার কাছে ঢাকা শহর বিরক্তিকর একটা জায়গা হয়ে গেছে।
আমার মধ্যে ভয় ব্যাপার টা একটু কম। তবে ইদানিং এই চিন্তা টা আমারও হয়। বিশেষ করে রাতে ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরতে এখন একটু ভয় করে। ঢাকার অবস্থা মোটেও ভালো না। এখন রাতে বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকা এবং দিনেও সাবধান থাকা উচিত।
মাথায় যখন পরিবারের দ্বায়িত্ব থাকে তখন ভয় এমনি চলে আসবে।