নামমাত্র তেল ব্যবহার করে বানিয়ে নিলাম বাঙালির রাজকীয় পদ চিংড়ি মাছের মালাইকারী||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
বাঙালি খাবার লোভে পোকাকেও মাছ বলে চালিয়ে দেয়৷ কী আশ্চর্য তাই না? মানুষ খায়না এমন বস্তু আছে নাকি? আর চিংড়িমাছকে সামনে রেখে এমন কথা বলাও মহা পাপ। হে হে হে, যা চমৎকার খেতে!
ছোট বেলায় দেখতাম মাঠে মানে চাষের জমিতে মুগরি(বেতের তৈরি মাছ ধিরার বাক্স) বসানো হত। তাতে মেঠো চিংড়ি উঠত প্রচুর, সেই চিংড়ির স্বাদ মনে করে আজ আর নিজেকে কষ্ট দিতে চাই না, কারণ তার স্বাদ। বর্তমানে চিংড়ি বেশিরভাগই চাষের৷ তার আর সেইভাবে স্বাদ কই? জানেন, ওই মেঠো চিংড়িগুলোই মা বেছে দিত, আর সমস্ত রান্না শেষ হয়ে গেলে মরা আঁচে পোড়ামাটির কড়াইতে করে আমার ঠাকুমা বসিয়ে দিতেন এই মালাইকারীর রান্না৷ অনেক সময় ধরে ধীরে ধীরে হত। সেই স্বাদ৷ এখন মনে করা মানেই মেঠো চিংড়ির স্বাদ মনে করে নিজেকে কষ্ট দেওয়া৷ ঠাকুমা বলতেন, সব রান্নায় গরম মশলা দিতে নেই, যার যেখানে প্রয়োজন সেখানেই থাকা ভালো। আর এও বলতেন চিংড়িমাছ ভাজলে তা কাঁচা পেঁয়াজ ও কাসুন্দি দিয়ে মেখে নিতে৷ নইলে রান্নায় চিংড়িতে পেঁয়াজ দেওয়া খানিকটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উদ্বৃত্তের মতো লাগে৷ আমি ভাবতাম তবে রান্নাটা হয় কিভাবে? সবই যদি না তবে হ্যাঁ টা কি? চিংড়িমাছ নাকি নিরামিষ পদ্ধতিতে রান্না করতে হয়। তা কিভাবে? প্রধান মশলাবাটা হল আদা ও জিরা৷ তাই হোক। অগ্রজদের জ্ঞান বেশি, আমিই বা কি এমন জানি? তখন রান্নার পাশে বসে বসে দেখতাম আর কাজের ফাঁকেই ঠাকুমা কোথায় চলে যেতেন। ফিরতেন ঠিক রান্না শেষের আগে! কোন হাতা খুন্তি দিয়ে নাড়ানো ইত্যাদি দেখিনি।
চিংড়ি জলের পোকা হলেও এর খাদ্যগুণের অভাব নেই৷ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি ও প্রোটিন থাকে৷ আর কার্ব? প্রায় নেই বললেই চলে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস সবই আছে, যা আমাদের হাড় ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। তাই বন্ধুরা চাইলে খেতেই পারেন, আজকাল ডায়েটেশিয়নরা তো পোটিন বেসড ডায়েটে চিংড়ি অবশ্যই উল্লেখ করে থাকে।
যাইহোক গল্প ছেড়ে চলুন দেখিয়ে নিই কি কি লেগেছে, আর কিভাবে করলাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
![]() |
---|
ছবি দেখে নিশ্চই বোঝা যাচ্ছে কি কি উপকরণ লেখেছে। তাও রেসিপির সুস্পষ্ট বর্ণনার স্বার্থে বিস্তারিত দিচ্ছি। 👇
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
চিংড়ি মাছ | এক কেজি |
জিরা | ২ টেবিল চামচ |
পেঁয়াজ | একটা |
আদা | এক ইঞ্চ মাপের ৪/৫ টা টুকরো |
নুন | স্বাদ মতো |
হলুদ | আন্দাজ মতো |
গুঁড়ো লংকা | স্বাদ মতো |
কাশ্মীরি রেড চিলি পাওডার | এক চা চামচ |
নারকেল | একটা গোটা কুরনো |
দুধ | এক বাটি |
সরষের তেল | এক/দুই চা চামচ |
চলুন দেখে নিই কিভাবে বানালাম।
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই নুন হলুদ দু রকমের লংকাগুঁড়োর মধ্যে সামান্য তেল ও জল মিশিয়ে এক্কটি নিশ্রণ তৈরি করে নিয়েছি৷
মিক্সিতে আদা ও জিরা একসাথে বেটে সমস্ত মশলা রেডি করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
সমস্ত মশলা চিংড়ি মাছের ওপর দিয়ে দিলাম, এমনকি পেঁয়াজও।
এই রান্নায় পেঁয়াজ না দিলেও চলে, রান্নায় সামান্য মিষ্টিভাব আসার জন্য আমি অল্প ব্যবহার করেছি৷ আপনারা নাও দিতে পারেন৷
সমস্ত কিছু ভালো করে মেখে নিয়েছি৷
মাছ ধোয়ার পর নুন মাখিয়ে রেখেছিলাম বলে আলাদা করে নুন দিতে হয়নি৷ আর খেয়াল করবেন আমি কিন্তু আর কোন রকম তেল ব্যবহার করিনি।
![]() | ![]() |
---|
- সমস্তটা নিয়ে একটি কড়াইতে বসিয়ে দিয়েছি৷
-আঁচ কম রেখেছি আগাগোড়াই।
- খানিকক্ষণ পর পেঁয়াজ গলে ও তাপে মাছ ও মশলার মিশ্রণ থেকে জল ছাড়তে শুরু করেছে৷
-চাইলে এই সময় গোটা কতক কাঁচা লংকা দেওয়া যায়৷ আমিও দিয়েছিলাম।
- এরই ফাঁকে আমায় নারকেল কোরা থেকে দুধ বার করে নিতে হবে৷
![]() | ![]() |
---|
নারকেলের দুধ বার করার জন্য সামান্য পরিমান জল শসপ্যানে গরম করে নিয়েছি৷
এর পর কোরানো নারকেল ওই জলে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রেখেছি।
তারপর জলটাকে ছেঁকে নেওয়ার পর নারকেলটা চেপে চেপে আরও বেসব কিছুটা দুধ বার করে নিয়েছি৷
![]() | ![]() |
---|
আস্তে করে নারকেলের দুধটা আমি মাছের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
এবার এর কম আঁচে না। কারণ অনেকটাই জল রয়েছে তরকারিতে তাই আঁচের বেগ বাড়িয়ে দিয়েছি৷
বেশ কিছুক্ষণ এভাবেই ফুটল।
এই সময় সামান্য চিনি অ্যাড করলেও করা যায়৷ আমি যেহেতু পেঁয়াজ দিয়েছি তাই আলাদা করে চিনি দিলাম না।
![]() | ![]() |
---|
একেবারে শেষ ধাপে এসে আমি দুধ মানে গরুর দুধ খানিকটা যোগ করলাম, স্বাদ বৃদ্ধির জন্য।
দুধ মেশানোর পরিকল্পনা আমি নিজেই বার করেছি৷ এসব ঠাকুমা করতেন না।
মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চিংড়ির মালাই কারী।
দেখলেন তো আমি কত কম তেল ব্যবহার করলাম। সব রান্নায় অনেক তেল লাগে এমন না৷ আবার তেল শুরুতে দিইনি বলে রান্নার শেষে দিয়ে দেব এই ভাবলে নারকেলের স্বাদ কিন্তু গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে যাবে৷ আর তখন মালাইকারী না বলে সরষের তেলের ঝোল বলব৷ হা হা হা।
আচ্ছা, আবার আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। ততক্ষণ আপনারা ভীষণ ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন। আজ এ পর্যন্তই...
টাটা

পোস্টের ধরণ | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি, ইনশট |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
এ তো আমার প্রিয় একটি পদ। চিংড়ি মাছ হলে আর অন্য কোন কিছুই পাতে লাগেনা। আর চিংড়ি মাছের মালাইকারি আমার অন্যতম প্রিয় একটি খাবার। আর সেই খাবারটিকে এত সুন্দর করে রেসিপি উপস্থাপন করলি যা দেখে খাওয়ার লোভ বেড়ে গেল। কিন্তু ছবি দেখেই নিজেকে থামিয়ে দেওয়া দস্তুর। রেসিপিটি সুন্দর করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছিস। তোর রান্না আমার বরাবরই পছন্দের।
তুমি তো খাঁটি বাঙালি৷ ইলিশ চিংড়ি ভেটকি মটন সব রাজকীয় জিনিস পছন্দের৷
এরপরবার যখন বাড়ি আসবে তখন খাওয়াবো চিংড়ির মালাইকারী।
https://x.com/neelamsama92551/status/1848213518702502220?t=1Zhk7ubRKzJCDpyr3K0Hjg&s=19
দিদি আপনার আজকের এই নাম মাত্র তেল দিয়ে রান্না করা রেসিপি কিন্তু আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। তবে আপনার রান্না করা আজকের এই রেসিপিটি কিন্তু খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। আপনি বেশ সুন্দর করে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর করে রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি আসলে রান্নাবান্না কম তেলেই করে থাকি। এটা আমার একটা স্বভাব। অযথা অনেক তেল দিলেই যে রান্নার স্বাদ দারুণ হবে তা বিশ্বাস করি না৷ কারণ তেল আমাদের শরীরে দরকার ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিই করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকলেন৷
চিংড়ি মাছকে পোকা বলে কোন লাভ নেই। এ মাছ খাওয়া ছাড়তে পারবো না। খুবই ভালো লাগে চিংড়ি মাছ খেতে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মাছ চাষের হয়। আপনার চিংড়ির মালাইকারি দেখেইতো খেতে ইচ্ছা করছে। এত কম তেলে এত লোভনীয় রেসিপি ভাবাই যায়না। পরিবেশনাও চমৎকার হয়েছে।
হা হা হা। পোকার কত মাহাত্ম্য তাই না? তবে মানুষ আরশোলা থেকে শুরু করে সব কিছুই খায়। পোকা মাকড় তো মনে হয় মানুষকে দেখে ভয় পায়, ভাবে এই বুঝি আমায় খেয়ে নেবে! হা হা হা।
ধন্যবাদ আপু।
কি যে বলেন না আপু। চিংড়ি মাছ যে স্বাদের, এমন মাছ পোকা হলেও ক্ষতি নেই। যাই হোক খুব সুন্দর করে আপনি চিংড়ি মাছের মালাইকারী করেছেন। আপনার করা চিংড়ি মাছের মালাইকারী দেখেই খেতে মন চাইছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হে হে হে। আমরা তো পোকাখোর তাই না?
একদিন বানিয়ে নিন আমার প্রসেসে। পোকার সেই স্বাদ লোভ তো হয়ই৷
চিংড়ি পোকা হলেও খেতে কিন্তু বেশ সুস্বাদু। চিংড়ি মাছটা আমার বেশ পছন্দ। আর মালাইকারি হলে তো আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পরিবেশনটা ও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সবাই খুব ভালোবাসে চিংড়ি খেতে, অথচ দুই দেশের মধ্যে ইলিশ চিংড়ির অদ্ভুত দ্বন্দ চলে। কিন্তু দুজনেই দুটোই হাপুসহুপুস করে খায়। হা হা হা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
চিংড়ি মাছের মালাইকারি রেসিপি দেখে বারবার মুখে জল চলে আসছে। আসলে এই চিংড়ি মাছের মালাইকারি আমার অন্যতম একটা প্রিয় খাবার। আর বাড়িতে যেদিন চিংড়ি মাছের মালাইকারি রান্না হয় সেদিন আর অন্য কিছু লাগেনা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই চিংড়ি মাছের মালাইকারি রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মালাইকারী আসলেই প্রচন্ড পপুলার ডিশ৷ বাঙালিদের কাছে তো বটেই। সেদিন আমিও অন্য কিছু রান্না করিনি। আসলে ডিসটাই সেই খেতে হয়।
চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি। চিংড়ি মাছের মালাইকারি রেসিপিটি দেখেই তো জিভে জল এসে গেল । এখন কি হবে? পার্সেল করে পাঠায় দেন বাংলাদেশে 😍।
যাইহোক দিদি রেসিপিটি কিন্তু অসাধারণ হয়েছে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কম তেল ব্যবহার করে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। কম তেলে সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
এখান থেকেই তুলে খেয়ে নিন। আপনাদেরই তো দিলাম৷
কম তেলে কিন্তু রান্নার স্বাদ ভালোই হয় শুধু একটু সময় নিয়ে রান্না করতে হয়৷
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করলেন৷
চিংড়ি মাছকে যতই পোকা বলা হোক না কেন, আমরা না খেয়ে থাকতে পারবো না। একমাত্র এলার্জি হলেই খাওয়া বাদ যাবে। তবে আপনি কিন্তু বেশ কম তেলেই মজার রেসিপিটি তৈরি করেছেন। বেশ লোভ লাগছে। ইচ্ছে করছে খেয়ে নেই।সাথে যেহেতু ভাতও আছে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার কিন্তু খুবই অ্যালার্জি৷ আমি খাইনা৷ এই রান্নাটা আমার বাড়ির সমস্ত লোকজন আত্মীয়রা খেয়েছিলেন৷ আমি তাকিয়ে দেখেছি মাত্র।
চিংড়ি মাছের মালাইকারি রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে আপু। দেখেইতো জিভে জল চলে এসেছে। আর এত সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন দেখে আরো বেশি লোভনীয় লাগছে। দারুন হয়েছে আপু।
ধন্যবাদ আপু। আপনার ভালো লাগল জেনে ভালো লাগল৷