আত্মার টান || @shy-fox 10% beneficiary
কিভাবে শুরু করব সেটা আসলে ভেবে পাচ্ছিনা । তবে কিছুতো একটা লিখতেই হবে, যে মানুষ গুলোকে নিয়ে লিখব তারা আমার খুবই পরিচিত। ঠিক কতটা পরিচিত, তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না । তাদের সঙ্গে জীবনের কমপক্ষে দশ থেকে বারটি বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি । একই এলাকাতেই বড় হয়েছি, একসঙ্গেই খেলাধুলা, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা । তারপর কর্মব্যস্ততার কারণে, আজ যে যার মত যে যার অবস্থানে ।
কারো সঙ্গে তো বছরের-পর-বছর দেখা নেই । ঐযে এলাকা ছাড়া হয়ে গিয়েছিলাম তারপরে অনেকের সঙ্গে কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলাম না । অনেকের চেহারায় পরিবর্তন এসেছে । কারো সংসার জীবন হয়েছে, কারো আবার আরো জটিলতা সম্পন্ন ব্যবহারগুলো হয়েছে । সবমিলিয়ে সবাই একটা ব্যস্ততার ভিতরেই আছে । তারপরেও হঠাৎই স্কুল জীবনের মানুষগুলোর সঙ্গে একত্রে মিলিত হওয়া, সেটাই তো অনেক বড় কথা ।
এদের সঙ্গে অবশ্য আমার স্কুল জীবনে একই শ্রেণীতে পড়া হয়নি । তবে আমি যে এলাকায় থাকতাম, সেই এলাকাতে এরাও থাকত । অনেকটা বন্ধুর মতোই বলা যায় । একসঙ্গে একই শ্রেণীতে পড়লেই যে বন্ধু হবে, তার তো কোনো মানে নেই । বন্ধু অনেক ভাবেই হওয়া যায় । তবে বন্ধু হতে পারাটা, যোগ্যতার ব্যাপার । যেটা সবার ভিতরে থাকে না ।
এই উৎসবের মৌসুমে ব্যাচ ভিত্তিক খেলা হয়ে থাকে । এই স্কুলে যেহেতু আমার পড়ার সৌভাগ্য হয়নি , তাই আসলে এখানে তেমন আমার সহপাঠী নেই । তবে এলাকার যে সকল বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গেই একপ্রকার সখ্যতা গড়ে ওঠে । আমাকে বেশ কয়েকদিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ওরা বলছিল , ব্যাচ ভিত্তিক ফুটবল খেলায় ওরা এবার ফাইনালে উঠেছে, ওদের খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য । যাইহোক অবশেষে সময় করে গেলাম, সেই চিরচেনা স্কুল মাঠে ।
পুরো মাঠ যেন কানায় কানায় ভর্তি । কারণ প্রতিটি ব্যাচের ছেলেপেলেরা এসেছে । তাছাড়াও তো অন্যান্য দর্শনার্থীরা আছেই । আমি যখন স্কুলের পাশের মার্কেটের গলির ভেতর দিয়ে, মাঠে প্রবেশ করলাম তখন অনেকটাই বাঁশির শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছিল । যাইহোক এদের সবাইকে একত্রে দেখে বেশ ভালই লাগছিল । এদের সবাইকে আমি চিনি, মনে হচ্ছিল সবাইকে একবার করে বুকে জড়িয়ে ধরি । সেই কতটা বছর পরে দেখা, আহা । কতো আবেগ কতো স্মৃতি, ভাবতেই যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল।
শেষবার যখন ওদের খেলা দেখতে এসেছিলাম, তখন সেটা এখন থেকে ছয় বছর আগে । তখন হয়তো আমার কাছে এতো আধুনিক মুঠোফোন ছিল না। যার কারণে ওদের ছবি গুলো সংগ্রহ করতে পারিনি । তবে এবার যেহেতু আমার হাতে যুগোপযোগী মুঠোফোন আছে, তাই ভাবলাম মুহূর্তটাকে আমি রেখে দিতে চাই, আমার গ্যালারিতে । যেখানে আমি চাইলেই , বারবার দেখতে পারব ।
সবার সঙ্গে গল্প করছিলাম আর ফাঁকে ফাঁকে ছবি তুলছিলাম । চেষ্টা করছিলাম কমবেশি সবার ছবিই তোলার জন্য । ওরা যখন খেলতে নামছিল তখন ওদের খেলার মুহূর্তগুলো ধারণ করেছিলাম আমার মুঠোফোনে । দীর্ঘদিন পরে অন্যরকম একটা ভাললাগা বোধ কাজ করছে নিজের মাঝে ।এদের সঙ্গে আমার একটা আত্মার অন্যরকম টান আছে । সেই ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছি , কত রকম স্মৃতি জড়িয়ে আছে, ভাবলেই অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে যাই । দীর্ঘ ছয় বছরের অবসানের পরে, আজ তারা আবারো এই ব্যাচ ভিত্তিক ফুটবল খেলায় বিজয়ী হয়েছে এবং খাসি পেয়েছে ।
আমি নিজের থেকে উপভোগ করছিলাম ওদের জয়ের মুহূর্ত গুলো এবং আমারও বেশ উত্তেজনা কাজ করছিল , যখন ওরা মাঠে ফুটবল খেলছিল ঠিক তখন । মনে হচ্ছিল আমি যেন নিজেই ওদের সঙ্গে গিয়ে চেষ্টা করি ফুটবল খেলতে । তবে এখন আর শরীর সায় দেয় না সেইভাবে , তাই হয়তো দর্শক হয়ে আজ ওদের খেলা দেখলাম । বেশ উপভোগ করলাম সময়টা ।
আবারো কোনো এক মৌসুমে দেখা হবে এই চিরচেনা মুখগুলোর সঙ্গে । সেই অপেক্ষায় থাকলাম । এই সময়গুলো বার বার আসুক । আমি কৃতজ্ঞ সকলের কাছে , ভালো থাকুক সবাই নিজ নিজ অবস্থানে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আত্মার টান সবকিছুকেই হার মানায়। আর একই ক্লাসে পড়লে যে বন্ধু হতে হবে তারও কোনো কথা নেই। তার একটি প্রমাণ হল আজকের আপনার এই ছবিগুলোই।
এমনটাই তো ভাবি আমি ,আপু । বন্ধু হওয়া ব্যাপারটা আসলে অন্যরকম এটা আসলে বলে বোঝানো যায় না ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা হলে যে আনন্দ যে অনুভূতি আসলে প্রকাশ করার নয়। ছেলে বন্ধু হতে কখনো শ্রেণীতে পড়তে হবে সেটা বিষয় না বন্ধু যেকোনোভাবে হতে পারে বন্ধুত্ব সত্যিই যোগ্যতা লাগে আমাদের লাইফে যে কেউ বন্ধু হতে পারেনা ।যার যোগ্যতা আছে, যে বন্ধুত্বর মর্ম বোঝে, বন্ধুত্ব রক্ষা করতে পারে, তাকে আমি বন্ধু বানাতে চাই ।কারণ বন্ধু বিষয়টাতে অনেক তাৎপর্য আছে। আমরা যে কাউকে বন্ধু বানাতে পারি না। আমরা যখন বড় হয়ে যায় কর্মক্ষেত্রে ঢুকে যায় বিভিন্ন কর্মব্যস্ততার কারণে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ হয়ে ওঠে না কারণ স্কুল লাইফের কলেজ লাইফে যতটা সময় পার করেছি আমরা তার থেকে কর্মক্ষেত্রে ঢুকলে সংসারে ঢুকলে অধিক ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। তাই অনেকদিন পর দেখলে একটু আবেগ অনুভূতি টা বেশি লাগে। সত্যিকারের বন্ধুত্ব গুলো কখনো শেষ হয় না 10 বছর 15 বছর পর দেখা হল যেন সে আগের মতই লাগে। যাইহোক ফুটবল ম্যাচ উপলক্ষে আপনাদের একসাথে দেখা বিষয়টা ভালো লেগেছে। আপনি দারুন একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। সে অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই সময়টা বেশ ভালো ছিল আমাদের কাছে। আমি নিজের থেকেই খুব ভালো বোধ করেছি, সকলের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ।
ভাইয়া, একদম ঠিক কথা বলেছেন বন্ধুত্ব করা যোগ্যতার ব্যাপার সবার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে না।আর এই বন্ধুত্ব আজীবন গেঁথে থাকে যেমনটি আপনার বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘ ১০-১৪ বছর ধরে তাদের সাথে সম্পর্ক হয়তো কর্মব্যস্ততার কারণে কারো সাথে কারো দেখা হয় না। তবু মনের মধ্যে যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা রয়েছে সেই সম্পর্কটা এখনো জীবিত আছে শুধু মন থেকে বন্ধুত্ব হয়েছে বলে। ভাইয়া,দীর্ঘ ছয় পর খেলায় জয় হয়েছে শুনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। ভাইয়া, আমার পক্ষ থেকে দোয়া রইল আপনাদের এই বন্ধুত্বের সম্পর্কটা যেন সারাজীবন থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া? এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
এটা একদম ঠিক কথা যে , সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায় না । তবে আমি মনে করি ছেলেবেলার যারা বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গুলো আজীবন থেকে যায় ।
আমি আপনার আজকের পোষ্টটি দেখে আমার ভিতর কেন যেন আত্মার ক্রন্দন সৃষ্টি হয়েছে । আসলেই ছেলেবেলা কখনো ফিরে পাবার নয়। ছেলেবেলার সৌন্দর্য শুধু আমাদেরকে টানে সেই ছেলেবেলা যে কখন ফেলে এসেছি এখন খুব ইচ্ছে করে ছেলেবেলায় ফিরে যেতে। আপনিও আপনার বন্ধুদের সাথে অনেকদিন পর দেখা হয়ে অনেক ভাল লেগেছে সেটা আপনার কথায় বুঝতে পারলাম। ছেলেদের আনন্দটা আরো বেশি তারা ছোটবেলা থেকেই খেলার মাঠে ঘাটে খেলে অভ্যস্ত বন্ধুদের সাথে। যুগে যুগে সবার মাঝেই আত্মার বন্ধন টিকে থাকুক।
চাইলেই তো আর অতীত ফিরে পাওয়া যায় না । তবে দীর্ঘদিন পরে তাদের সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভালই সময় কেটেছে, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আমাদের জীবনে অনেক বন্ধু আসে এবং চলেও যায়। কিন্তু বাল্যকালের বা স্কুল জীবনের বন্ধুদের মতো কেউ হয়না। তাদের সাথে যে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয় তা কাউকে বলে বোঝানোর মত নয়। অনেক বছর পর দেখা হলেও তাদের প্রতি যে মায়া এবং ভালোবাসা থাকে তা একদম আগের মতোই থাকে। আসলে আপনার লেখাগুলো পড়ে বারবার নিজের স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ছিল। অনেক দিন সবার সাথে দেখা হয় না। হয়তো সময় ও সুযোগের অভাবে দেখা হয়ে ওঠেনা। সবাই যে যার মতো ব্যস্ত জীবন পার করছে। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনি আপনার পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করেছেন এবং অনেক আনন্দের সময় কাটিয়েছেন। আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💗💗
চলার পথে তো কত মানুষের সঙ্গেই দেখা হয় , পরিচয় হয় ।তবে বাল্যকালের পরিচিত মুখ গুলোর মত আসলে কোন মুখ চিরস্থায়ী হয়না ।
একদম ছোটবেলার বন্ধু কিংবা সমবয়সীদের সাথে এত বছর পরে দেখা হলে মুহূর্তটা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দের। আপনার এলাকার বন্ধুদের সাথে দেখা হয় এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করলেন খুবই ভালো লাগলো। তার সাথে ফুটবল ম্যাচের ব্যাপারটা বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের এদিকেও এইরকম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সবমিলিয়ে দারুন একটা পোস্ট তৈরী করেছেন।
একদিকে ফুটবল খেলা তার মধ্যে পরিচিত মুখ , সবমিলিয়ে সময়টা যেন আরও আনন্দঘন হয়ে উঠেছিল আমার কাছে । ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বোঝার জন্য ।
অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা অথবা এলাকাবাসীর সাথে দেখা এরকম একটি উৎসব মুখর পরিবেশ উপভোগ করার মজাটাই অন্যরকম। আসলে কখনোই বলে বোঝানো সম্ভব হয়না ।আপনার তোলা ফটো এবং লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ।আসলে এরকম সময় প্রতিদিন পাওয়া যায়না। হয়তো বছরে একবার অথবা দুবার ।এরকম সময় বারবার আপনার জীবনে ফিরে আসুক এই কামনা রইল।
আমিও চাই ভাই এমন সময় বারবার আসুক, এমন সময় আসলে মন্দ হয় না ।
এতোদিন পর দেখা হলে সত্যি ভাই আলাদা একটা আবেগ ভালোবাসা কাজ করে যা বলে বোঝানো যাবে না। ছোটবেলার বন্ধুবান্ধব রা বড় হলে সবাই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন সত্যি তাদের দেখা পাওয়া অনেক কঠিন। এই রকম অনুষ্ঠানে বা পুনর্মিলিনীতে যা দেখা হয়। আপনার আবেগটা আমি বুঝতে পারছি। অনেক দিন পর দারুণ সময় কাটিয়েছেন নিজের বন্ধুদের সাথে।।
এটা আসলে অনেকটা পূর্ণমিলনীর মতনই হয়েছিল । বিশেষ করে ম্যাচ জেতার পরে , যেদিন আমরা সকলে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম, সেই সময়টা আরো আনন্দঘন ছিল।
ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার একটা কথা খুবই ভালো লেগেছে, স্কুলে পড়লেই বন্ধু হবে এর কোন মানে নেই। স্কুলে একই শ্রেণিতে পড়া ছাড়াও আমাদের অনেক বন্ধু থাকে। বিশেষ করে ছোটবেলা যাদের সাথে কেটেছে খেলাধুলা করেছে তারাই প্রকৃত বন্ধু। আপনার এই পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে খুবই আনন্দময় সময় পার করেছেন। স্কুলে খেলাধুলার ব্যবস্থা এবং এই সুন্দর আয়োজন এর মধ্যে পুরোনো বন্ধুদের পাশে পেয়ে আপনার অনেক ভালো লাগছে। আসলে আপনার আনন্দময় মুহূর্ত দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
এমনটাই তো হয় ভাই আর এমনটাই তো আমি মাঝে মাঝে ভাবি । তবে আপনার ভালো লেগেছে জেনে, বিষয়টা আমার কাছেও বেশ ভালো লাগলো ।
বাহ! দারুন একটা মুহূর্ত। ঈদের সময় আসলে এই সুযোগগুলো আসে। ব্যক্তিজীবনে কর্মব্যস্ততার কারণে হয়তো একেক জন একেক দিকে ছড়িয়ে পড়ে তার পরেও ভালবাসার এক অদৃশ্য সুতা থেকে যায় সব সময়। সময়টা ভালোই উপভোগ করেছেন মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ
একদম সত্য কথা বলেছেন ভাই । তবে আপনাদের বন্ধুত্ব দেখলে আমার খুব হিংসে হয় । কারণ আপনারা প্রতিনিয়ত ঘোরাঘুরি করেন , আমি মিস করি সেই মুহূর্তগুলো ভীষণ ।কারণ আমি অনেকটা একাকী জীবন যাপন করি ।