"কাঁঠাল চুরি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৩০ শে মে, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কিছুদিন আগে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। গ্রীষ্মকালকে গরমের জন্য দুর্নাম করা হলেও ফলের জন্য রয়েছে বেশ সুনাম। গ্রীষ্মকালের পুরো ঋতু জুড়ে বাংলাদেশের প্রচুর ফলের দেখা পাওয়া যায়। ফল পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে হয়তো। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশীয় ফলগুলো ভীষণ পছন্দ করি।
গ্রীষ্মকালে সব থেকে বেশি যে, ফলগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো আম, কাঁঠাল, তরমুজ, আনারস, লিচু ইত্যাদি। এখানকার প্রতিটি ফলই আমার কাছে ভীষণ প্রিয় তার ভেতরে কাঁঠাল অন্যতম। বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল পরিচিত। কাঁঠাল এমন একটি ফল যেটা আমরা সব ভাবেই খেতে পারি। কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় তরকারি করে খাওয়া যায় আবার পেকে গেলে ফল হিসাবে খাওয়া যায় আর কাটালের বিচি তরকারি অবস্থায় খাওয়া যায়। কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গ্রামের ছেলেপেলেরা মিলে একটি পাকা কাঁঠাল চুরি করে খেয়েছিলাম সেই অনুভূতি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত কাঁঠাল খেতে আমরা সবাই কম বেশি ভালোবাসি। বাড়িতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অবশ্যই এ বছরে কাঁঠাল খেয়েছিলাম না। আমার মামাদের পুকুরের চালায় একটি পুরনো কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এই কাঁঠাল গাছে প্রতিবছর অনেক কাঁঠাল আসতো। তবে বর্তমানে চারপাশে মেহগনি গাছ থাকাতে আগে তুলনায় কম-কাঁঠাল আসে এবং কাঁঠাল গুলো অনেক ছোট হয়।
কিন্তু এই কাঁঠালের স্বাদ অতুলনীয়। আমি আজ পর্যন্ত যত গাছের কাঁঠাল খেয়েছি তার ভেতরে এই গাছের কাঁঠালের স্বাদ অন্যতম। বাড়িতে গিয়ে দুপুরবেলায় ঘুম পারছিলাম। হঠাৎ করেই দুপুরের দিকে আমার দাদা এসে বললো যে, পুকুরের চালায় গাছে কাঁঠাল পেকেছে খেতে হবে। আমি তখন বললাম যে, দুপুরের এই গরমের ভেতর কাঁঠাল খাওয়া সম্ভব না।
আর এটাও বললাম যে, রাত হোক তারপরে খাবো। তারপর আমার দাদা বললো আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর আমার দাদা আমরা সমবয়সী যারা একসাথে ঘোরাফেরা খেলাধুলা করি তাদের কয়েকজনকে বললো যে, কাঁঠাল পেকেছে খেতে হবে। এ বছরে অবশ্য তখনও আমাদের ভেতরে কেউই কাঁঠাল খায়নি। কারণ তখনও আমাদের এলাকায় কোন গাছে কাঁঠাল পাকা আরম্ভ করেনি।
প্রতিবছর মামাদের পুকুর পাড়ের এই গাছের কাঁঠাল সবার প্রথমে পাকা আরম্ভ হয়। এ বছর অবশ্য মামারা নিজেরাও এখন পর্যন্ত এ গাছের পাকা কাঁঠাল পায়নি। কারণটা হলো কাঁঠাল গাছ থেকে মামাদের বাড়ির দূরত্বটা বেশ ভালই 😎 আর আমরা গরমের সময়ে সারাদিন পুকুর পাড়ের কাঁঠাল গাছের পাশেই সারাদিন ছেলেপেলেরা মিলে গল্প গুজব করি আড্ডা দেই।
আর তাই মামাদের আগেই প্রতিবছর কাঁঠাল পাকলে আমরা খেয়ে থাকি। এবারে দুপুরের দিকেই অবশ্য পাকা কাঁঠাল ঠিক আজ থেকে পেরে আমার দাদা সরিয়ে রেখেছিলো যাতে রাতে আমরা সবাই মিলে মজা করে খেতে পারি। তারপর সন্ধ্যার পরে পাড়ার ছেলেপেলেরা মিলিয়ে কয়েকজন চলে গেলাম পুকুরের চালায় কাঁঠাল খেতে।
এমন সুন্দর পাকা কাঁঠাল দেখে এই মন ভরে গেলো। এই বছরের প্রথম কাঁঠাল খাব তাও আবার চুরি করা কাঁঠাল আহ্ কি মজা 😍 যখন ছোট ছিলাম তখন এই গাছের কাঁঠাল পাকলে আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে প্রায় দিনও এই চুরি করে কাঁঠাল খেতাম সেই সব স্মৃতি এখন অনেক মনে পড়ে। মাঝেমধ্যে নিজেদের গাছের আমও চুরি করতাম বন্ধুরা মিলে।
আমরা পাঁচজন মিলে কাঁঠালটা বেশ মজা করেই খেলাম। এতটাই সুস্বাদু ছিলো যে, যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে চুরি করে খাওয়া জিনিসের আলাদা একটা মজা আছে। তবে সব জিনিস নয় সেটা ফল হতে হবে। যারা গ্রামে বড় হয়ে যায় তারাই এই বিষয়টা ভালো বুঝবে। গ্রামীন জীবন আসলেই অনেক সুন্দর হয়।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৩ ই মে ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


ভাইয়া আপনার কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার গল্পটি পড়ে বেশ মজা পেলাম। তবে গ্রামের বাড়িতে ফল চুরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার বাবার কাছে শুনেছি বাবারাও একসময় আপনাদের বয়সে অনেক ফলমূল চুরি করে খেত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এখনকার মানুষজন আসলে এসব কম করে আগেকার মানুষ এটা বেশি করতো। তবে সবাই মিলে এটা করলে বেশ আনন্দ পাওয়া যায় অনেক মজা লুকিয়ে থাকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই জাতীয় কাঁঠাল খাওয়ার মুহূর্ত গুলো জানলে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার এই কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। যেখানে মামাদের বাড়ি একটু দূরে থাকায় আপনারা সবার পূর্বে চেক করে নেন। বেশ ভালো পাকা কাঁঠাল খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকার।
হ্যাঁ আপু পাকা কাঁঠাল খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। মামাদের আগে আমরাই পাড়ার ছেলেপেলে চেকআপ করে দেখি কাঁঠাল কেমন টেস্ট। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কাঁঠাল আগে আমার খুবই পছন্দের ছিল। কিন্তু এখন আর খুব একটা খাওয়া হয় না এই ফলটা।। একটা কাঁঠাল অনেক মানুষ একসঙ্গে খেতে পারে এইজন্যই হয়তো কাঁঠাল কে বলা হয় জাতীয় ফল। আপনার দাদার কাঁঠাল সরিয়ে রাখার ব্যাপার টা বেশ ছিল। সবাই মিলে বেশ মজা করেই কাঁঠাল টা খেয়েছেন দেখছি। লাগছে বেশ দারুণ। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ভাই।
হ্যাঁ ভাই কাঁঠালটা আগে সরিয়ে রেখে রাতে বেশ মজা করে সবাই মিলে খেয়ে ছিলাম অনেক সুন্দর টেস্ট ছিলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে এতদিন আম চুরির গল্প অনেক পড়েছি, কিন্তু কাঁঠাল চুরির ঘটনা মনে হয় আজকে প্রথম পড়লাম। তবে কাঁঠাল কিন্তু আমার নিজেরও খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যদি সেটা নিজেদের গাছের হয় তাহলে তো আরো মজা লাগে। আপনারা সবাই মিলে দেখছি নিজেদের মামাদের গাছের কাঁঠাল চুরি করলেন। তবে পাঁচজনে মিলে দেখছি এক নিমিষে কাঁঠালটা শেষ করে দিলেন। গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালোই লেগেছে।
আপু আমিও আমার বাংলা ব্লগে আম চুরির গল্প অনেক পড়েছি কিন্তু কাঁঠাল চুরির গল্প হয়তো আমারটাই প্রথম। নিজের গাছের থেকে পরের গাছের কাঁঠাল খাইতে অনেক টেস্ট বেশি হয় আপু। সবাই মিলে কাঁঠালটা বেশ মজা করে খেয়েছিলাম অনেক সুস্বাদু ছিলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সেই মামার বাড়ির কাঁঠাল তো আসলেই বেশ আগেই পাকে দেখা যায়! গত ঈদে ম্নে প্রায় এক/দেড় মাস আগেই বছরের প্রথম পাকা কাঁঠাল খাওয়া হয়ে গিয়েছে আপনাদের! তাও আবার যাদের গাছ, তাদের ও খাওয়ার আগে 🤭🤭
আর যে বর্ণণা দিয়েছেন সেই কাঁঠালের স্বাদের, আর কিছু না বললাম!
দিদি কাঁঠালের স্বাদ বলতে পুরাই জোস ছিলো। সেই মামার বাড়ি বলতে কেন দিদি কোন রহস্য আছে নাকি! মামাদের গাছের কাঁঠাল আগে আগেই পাকে আর আমরা আগে আগেই খাই 🤠
কাঁঠাল চুরির কথা খুব একটা শোনা যায়না।কারণ এই ফলটি মানুষের তেমন পছন্দ না।আপনারা পাঁচজন মিলে নিজেদের মামার গাছ থেকে কাঁঠাল চুরি করে এক নিমিষেই শেষ করেছেন বেশ মজার ছিল পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কাঁঠাল ফলটি যে কতটা মজার যারা এই ফল ভালবাসে তারাই একমাত্র জানে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।