বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির- (পর্ব-২)।
সবাই কেমন আছেন??
সবাই কেমন আছেন??
আমি@samhunnahar।
পোস্ট করার একটি ধারাবাহিক নিয়ম হয়ে গেছে।সেই অনুযায়ী আমি আজও নতুন একটি ব্লগ লেখা শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।আজ প্রতিদিনের মতোই নতুন একটি বিষয় নিয়ে ব্লগিং করব আপনাদের সাথে।আজকের বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়াম নিয়ে লেখা।ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর দেখার প্রথম পর্বের অনুভূতি।আজ আমি শেয়ার করব আপনাদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব।বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়াম মানে হচ্ছে বাংলাদেশের সব কিছু খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভিতর আকাশ থেকে ভূগর্ভস্থ পর্যন্ত যত কিছু আছে সব কিছু এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে।বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘোরাফেরা করা অনেক ভালো হবে।কারণ বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন যাবতীয় কিছু দেখার সুযোগ হবে।প্রথমে যখন আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশের বন জঙ্গলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম সেখানে শেষ করেছিলাম।এরপর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন ধরনের ফলের ছবি।এখানে হরেক রকমের ফলের ছবি রাখা হয়েছে।কিছু ছিল ছবি আকারে আবার কিছু ছিল মাটির তৈরি।
নানান ধরনের ফলের ছবি দেখে বাচ্চারা অনেক লাফালাফি করছিল খুশিতে।এছাড়াও বিকেল ঘনিয়ে আসছিল তাই তাড়াহুড়া করছিলাম।আসলেই এত বড় মিউজিয়াম থেকে একটা একটা ফটোগ্রাফি নিলেও অনেক ফটোগ্রাফি হয়ে যায়।তাই দু একটা দু একটা করে ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।যা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
সাগর তলের রহস্য ও সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে।এই যে বললাম আমি বেশি ফটোগ্রাফি নিতে পারি নাই কারণ একদিকে তাড়াহুড়ো অন্যদিকে এত আইটেমের মধ্যে দুই একটা করে ছবি নিয়ে যাচ্ছিলাম সাথে বাচ্চারা অনেক বিরক্ত করছিল।একুরিয়াম আকারে অনেক সুন্দর করে সাজানো ছিল সাগরতলের রহস্য গুলো।বিভিন্ন ধরনের মাছ এবং সাগর তলের পোকা-মাকড় শামুক সবগুলো খুব সুন্দর করে রাখা ছিল।
এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রাখা ছিল।বাচ্চারা তো ময়ূর দেখে অনেক খুশি কারণ বাচ্চারা যেহেতু শহরে থাকে গ্রামের পশুপাখি তো তেমন দেখা হয় না।নানান ধরনের পাখি ছিল তা দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিল।এত সুন্দর ছিল পাখি সংরক্ষণ করার পদ্ধতি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।ময়ূর আমার অনেক ভালো লাগে ময়ূর যখন পাখনা গুলো খুলে দেই দেখতে দারুন হয়।সৃষ্টির প্রতিটি জিনিসের কিন্তু আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে।
আসলে মানুষের সাধ্যের বাইরে কিছু নেই বললেই চলে।শিল্পীর তৈরি করা বিভিন্ন অঙ্কন মাঝে মাঝে প্রকৃতির সৃষ্টির সাথে হুবহু মিলে যায় কোন তফাৎ থাকে না।এই সুন্দরবনের জঙ্গলের দৃশ্যটি দেখেই মনে হয়েছিল যে আমি বাস্তবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছি।এই বুঝি আমাকে বাঘে ধরবে।বিভিন্ন প্রজাতির পশু এখানে দেখা যাচ্ছিল।এমন সুন্দর দৃশ্যটি আসলে দৃষ্টি কাড়ানোর মত।কিছু কিছু ওয়ালমেট তৈরি করে রেখেছেন।কিছু মাটির তৈরি জিনিসের মধ্যে কালারিং করেছে। আবার অনেক জিনিস আছে যে গুলো ফটোগ্রাফি নিয়ে বড় করে সিনারি আকারে রাখা হয়েছে।
এত বড় মিউজিয়ামে ফুলের ফটোগ্রাফি কিংবা ফুলের স্মৃতি থাকবে না তা কি করে হয়।ফুলগুলো দেখে মনে হয়েছিল আসলে রিয়েল ফুল দেখছিলাম আমি।এই ফুল গুলো রিয়েল কোন ফুল ছিল না এগুলো ছিল আর্টিফিশিয়াল ফুল।অনেক গুলো আর্টিফিশিয়াল ফুলের দৃশ্য রাখা ছিল তার মধ্যে আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।ফুল গুলো অসাধারণ সুন্দর ছিল।তা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।আসলে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়াম সম্পর্কে এত সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে শেষ করা যাবে না।বিশাল ভবনের অগণিত জিনিসের মধ্যে আমি অল্প অল্প বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। আজ এখানেই শেষ করতেছি আবার তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হব।

🌺ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট সময় দিয়ে পড়ার জন্য।🌺।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | w3w |
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি করা আমার শখের।এছাড়া কবিতা লিখতে আমার অনেক ভাল লাগে।গান গাওয়া আমার স্বপ্ন।আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তাই আমি আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/6zt1yr
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির এবারের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে পেইন্টিং গুলো বেশি ভালো লেগেছে। আসলে শিল্পীর দক্ষতা দেখলেই হৃদয় জুড়িয়ে যায়। সত্যি দারুন ছিল। একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মিউজিয়ামের ভিতরে ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
এত বড় মিউজিয়ামে আসলেই এক দিনে ঘুরে শেষ করার মতো নয় আপু অনেক সুন্দর ছিল মিউজিয়াম ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও অসাধারণ অসাধারণ আমি প্রতিটি আলোকচিত্র মন দিয়ে দেখছিলাম ৷ যদিও প্রথম পর্ব টি দেখতে পারি নি ৷ তবে এই পোষ্ট টি বুঝতে পারছি ৷ যে আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন তা বোঝাই যাচ্ছে ৷ অনেক ভালো লাগলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির সাথে বিভিন্ন রকম আলোকচিত্র গুলো ৷ সর্বোপরি অনেক ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ৷
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য।