বিমানের বিকল্প জ্বালানী
নমস্কার বন্ধুরা,
বিমানের তেলের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বর্তমানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও বৈজ্ঞানিকভাবে গৃহীত বিকল্প হচ্ছে জৈব জ্বালানি (Biofuel),বিশেষ করে Sustainable Aviation Fuel (SAF)।এই ধরনের জ্বালানি গাছের তেল, এলগি (শৈবাল), কৃষিজ বর্জ্য কিংবা ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকে তৈরি হয়।জৈব জ্বালানির মূল বৈজ্ঞানিক যুক্তি হল, এটি কার্বন-নিউট্রাল—অর্থাৎ এটি যতটুকু কার্বন নির্গত করে, উৎপাদনের সময় ততটুকু কার্বন প্রকৃতি থেকে শোষণ করে নেয়,ফলে এটি পরিবেশবান্ধব।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, SAF ব্যবহার করলে বিমানের কার্বন নির্গমন ৭০–৮০% পর্যন্ত কমানো সম্ভব, বিশেষ করে যদি এটি প্রচলিত ফসিল ফুয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহৃত হয়।
আরেকটি বিকল্প হচ্ছে Hydrogen Fuel—যা মৌলিকভাবে সবচেয়ে পরিষ্কার জ্বালানি,কারণ হাইড্রোজেন জ্বলে শুধুমাত্র পানি (H₂O) উৎপন্ন করে,কোন কার্বন নয়। তবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হল,একে নিরাপদভাবে উচ্চচাপে সংরক্ষণ করা এবং বিমানে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর করা।এই প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে,তবে ভবিষ্যতে এটি বাণিজ্যিক বিমানে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও ইলেকট্রিক প্রোপালশন নিয়ে গবেষণা চলছে,যেখানে বিমানে ব্যাটারি-চালিত মোটর ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে।যদিও বর্তমান প্রযুক্তিতে ব্যাটারির শক্তি ঘনত্ব (energy density) বিমানের জন্য যথেষ্ট নয়, তবে ছোট দূরত্বের ও হালকা ওজনের বিমান এই প্রযুক্তি দিয়ে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।
সবশেষে, সিনথেটিক ফুয়েল (e-fuel) নামেও এক ধরনের জ্বালানি রয়েছে যা কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং হাইড্রোজেন থেকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়।এটি প্রচলিত জ্বালানির মতোই ব্যবহৃত হতে পারে এবং বিদ্যমান বিমানের ইঞ্জিনে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সুতরাং, জৈব জ্বালানি, হাইড্রোজেন ফুয়েল, ব্যাটারি ও সিন্থেটিক ফুয়েল—এই চারটি বিকল্প প্রযুক্তি ভবিষ্যতের বিমান জ্বালানির সম্ভাব্য দিশা দেখাচ্ছে, যেখানে পরিবেশগত ভারসাম্য এবং জ্বালানি দক্ষতা প্রধান বিবেচ্য।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 8.555954841136584 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.