লাইফস্টাইল পোস্ট // হঠাৎ নতুন চশমা কেনার অভিজ্ঞতা ।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে হঠাৎ নতুন চশমা কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

মানুষের জীবনে কিছু কিছু মুহূর্ত খুব সাধারণ হলেও সেগুলো নিজের ভেতরে এক বিশেষ আনন্দ জাগিয়ে তোলে। প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততার ভিড়ে অনেক ছোট ইচ্ছেই পূরণ করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে সুযোগ এসে গেলে সেই ছোট্ট ইচ্ছেটি পূর্ণ হয়ে যায়।আর সেটাই হয়ে ওঠে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিন ধরে আমারও ইচ্ছে ছিল একটি নতুন চশমা কেনার। কিন্তু সময়ের অভাবে সেই কাজটি বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। আজ হঠাৎ মার্কেটে এক কাজে ঢুকে পড়তেই মনে হলো । আজ আর দেরি করা যাবে না, এবার চশমাটি কিনেই ফেলি।চশমা কেনার অভিজ্ঞতা সবসময়ই আলাদা এক ধরনের অনুভূতি এনে দেয়। কেননা চশমা শুধু একটি প্রয়োজনীয় জিনিস নয়, বরং এটি ব্যক্তিত্বেরও বহিঃপ্রকাশ। এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে ব্যক্তিত্বের ছাপ এবং একটি ছোট্ট ইচ্ছার পূর্ণতা।

দোকানে প্রবেশ করতেই চোখে পড়লো অসংখ্য সুন্দরভাবে সাজানো চশমার সংগ্রহ। দোকানের ভেতরের সাজসজ্জা দেখে মনে হচ্ছিল প্রতিটি ফ্রেম যেন আলাদা একটি গল্প বলে দিচ্ছে। কারো জন্য এটি হতে পারে রোদ থেকে বাঁচার উপায়, আবার কারো কাছে এটি স্টাইলের অংশ। আমি দোকানের ভেতর তাকিয়ে দেখলাম, বিভিন্ন ধরনের ফ্রেম, রঙিন লেন্স, আধুনিক ডিজাইনের সানগ্লাস ,সব মিলিয়ে দোকানটি যেন এক রঙিন ভুবন।

আমার নজর দ্রুত কিছু চশমার দিকে গেলো, যেগুলো আলাদা করে সাজানো ছিলো। দোকানদার ভাইকে আমি কয়েকটি পছন্দের ফ্রেম দেখিয়ে দিলাম। তিনি একে একে সেগুলো আমার সামনে বের করে আনলেন। হাতে নিতেই প্রতিটি চশমার ভিন্ন ভিন্ন আকর্ষণ আমাকে টানতে লাগল। আমি এক এক করে সেগুলো চোখে দিয়ে দেখছিলাম।কোনটা আমার মুখে মানাবে, কোনটা একটু ভারী লাগছে, আর কোনটা আবার একেবারেই অন্যরকম স্টাইলের। প্রতিটি ফ্রেমের ভেতরে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে যাচ্ছিলাম, আর মনে হচ্ছিল এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেই বিশেষ ফ্রেমটি, যেটি আমাকে অন্যভাবে প্রকাশ করবে।

দোকানের কাঁচের কাউন্টারে সাজানো চশমাগুলো যেন আলাদা সৌন্দর্য ছড়াচ্ছিল। লাইটের প্রতিফলনে কাঁচে ভেসে উঠছিল রঙের খেলা। সেই দৃশ্য মনে করিয়ে দিলো কত মানুষই প্রতিদিন এখানে আসে, তাদের প্রয়োজন আর পছন্দের ভিন্নতায় প্রতিটি চশমা নতুন মালিক খুঁজে নেয়। দোকানের দেয়াল জুড়ে সাজানো সারি সারি সানগ্লাস ও ফ্রেম দেখে সত্যিই বিস্মিত হলাম। যেন একটি ছোট্ট প্রদর্শনী, যেখানে একসঙ্গে রাখা হয়েছে ফ্যাশন ও প্রয়োজনীয়তা।অবশেষে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পর একটি ফ্রেম আমার মন জয় করলো। এটি পড়তেই মনে হলো হ্যাঁ, এটাই সেই চশমা যা আমি খুঁজছিলাম। আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে দেখে মনে হলো এটি আমার মুখের সাথে বেশ মানানসই। তখন আর দ্বিধা করলাম না। দামাদামির পর সেই ফ্রেমটি কিনে নিলাম। একটি ছোট্ট সিদ্ধান্ত হলেও এর ভেতরে জমা ছিল আনন্দ, সন্তুষ্টি আর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পূর্ণতা।

চশমা কেনার এই অভিজ্ঞতা কেবল একটি জিনিস কেনা নয়, বরং এটি ছিল আমার একটি ছোট্ট ইচ্ছে পূরণের মুহূর্ত। দোকানের ভেতরে কাটানো সেই সময়, একে একে চশমা পরে দেখে নেওয়া, দোকানদারের আন্তরিকতা, আর অবশেষে নিজের জন্য মানানসই ফ্রেমটি নির্বাচন করা।সব মিলিয়ে এটি একটি সুন্দর স্মৃতি হয়ে গেল। বাসায় ফিরে এসে মনে হচ্ছিল, একটি ছোট্ট কেনাকাটাও কখনও কখনও কত বড় আনন্দ বয়ে আনতে পারে।আজকের কেনাকাটার এই অভিজ্ঞতা আমাকে আবারও শিখিয়ে দিল, সবচেয়ে সাধারণ কাজও কখনো কখনো বিশেষ আনন্দের উৎস হয়ে দাঁড়ায়। দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততার মাঝেও এমন মুহূর্তগুলো নিজের জন্য খানিকটা স্বস্তি এনে দেয়।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।