
Device-Wiko-T3
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার।
আমি সামশুন নাহার
@samhunnahar।আমি বাংলাদেশ থেকে আপনাদের সাথে ব্লগিং করি।আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করি।বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করি।আমি আমার বাংলা ব্লগে আমার মনের কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে বলতে পারি তাই অনেক বেশি আনন্দিত।আজ আমি আপনাদের সাথে ভিন্ন কিছু শেয়ার করবো।আজ আমি আপনাদের সাথে আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু না কিছু বিশেষ মুহূর্ত থাকে।সেই বিশেষ মুহূর্ত গুলো যদি অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে অথবা জানান দিতে পারা যায় তাহলে নিজেকে অনেক বেশি হালকা মনে হয়।অনেক বেশি ভালো লাগে।

লোকেশন
Device-Wiko-T3
আজ নভেম্বরের ১৭ তারিখ আমার জীবনের বিশেষ মুহূর্তের দিন।প্রথমত বলতে গেলে আমি একজন কারো সন্তান ছিলাম, আছি, কারো আদরের বোন ছিলাম।বড় হয়ে কারো স্ত্রী হয়ে গেলাম।এরপরে একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুভুতি হচ্ছে তার মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করা।আমার মনে হয় প্রত্যেকটা নারীর জীবনে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মুহূর্ত।বাবা হওয়ার অনুভূতিটা বাবারাই বুঝতে পারবে।ঠিক এই দিনেই ২০১৪ সালে আমি প্রথম বার মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করেছিলাম।আমার মেয়ে যখন প্রথম দিন আমাদের কোলে আসে মনে হয়েছিল পৃথিবীর সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম আমি।

লোকেশন
Device-Wiko-T3
এই কেমন অসাধারণ এক অদ্ভুত অনুভুতি।হঠাৎ সিজারিয়ান রুমে যখন কান্নার শব্দ আসে আমার কানে আমার আনন্দে কান্না পাচ্ছিলো।আমি কাত হয়ে তাকায় থাকি আর নার্স আমাকে আমার মেয়ের চেহারাটা দেখায়।বলেছিলো দেখেন আপনারা খুব সুন্দর একটা মেয়ে সন্তান পেয়েছেন।এরপর আস্তে আস্তে আমার মেয়ে বড় হতে থাকে।সেই ছোট পিচ্চি মেয়েটা আজ আট বছর পূর্ণ হয়ে গেল।কিভাবে জীবন থেকে আট বছর সময় চলে গেলো টেরও পেলাম না।

লোকেশন
Device-Wiko-T3

লোকেশন
আমার মেয়ে যখন দুনিয়াতে আসে আমি একটা মানত করেছিলাম।সেটা হচ্ছে যে আমাদের যতদিন সম্ভব হয়, আল্লাহ আমাদের যতদিন তাওফিক দান করেন প্রতিবছর জন্মদিনে আমরা এক খতম কোরআন শরীফ পড়াবো।ইনশাল্লাহ!আমরা আজ আট বছর হলো সেই মানত রাখতে পেরেছি।সেই ধারাবাহিকতায় আজও আমরা ১০ জন হুজুর দাওয়াত করে খতমে তেলাওয়াত এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করি।হুজুরদেরকে খাওয়া-দাওয়া করাইছি এবং কিছু সাধ্যমত বকশিস ও করেছি।এরপর যদি মন চায় আমি টুকটাক মেয়ের বন্ধুবান্ধবদের খাওয়া-দাওয়া করায়।সব সময় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করি না।সুযোগ বুঝে ব্যবস্থাটা করি।মেয়ের খুশির জন্য কেকটা কেটে আনন্দ দিই।

লোকেশন
Device-Wiko-T3

লোকেশন
এবারে আমি মেয়ের স্কুলের ক্লাসের সব বন্ধুদের সাথে সময় ভাগ করে নিতে চেয়েছি,মেয়েও আমাকে আবদার করেছিলো।কিন্তু কেক কেটে পার্টিটা করার জন্য মেয়ের টিচাররা অ্যালাও করেনাই।একটা বার্থডে পার্টি নিয়ে কিছুদিন আগে নাকি স্কুলের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছিল সেজন্য।আমি মিষ্টি এনে ক্লাসের সকল স্টুডেন্টদের কাছে মিষ্টি বিতরণ করি এবং সব শিক্ষকদের সাথে ভাগ করে নিই মুহূর্তটা।বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো কারণ আমার মেয়ে আবদার করেছিল সব বন্ধু-বান্ধবদের কিছু খাওয়ানোর।স্কুলে তো কেক কাটার জন্য অনুমতি দিলনা তাই নাস্তা আর মিষ্টি দিয়ে আবদার টা পূরণ করে দিলাম।বাকি টা পরে শেয়ার করবো।
আশা করি আমার আজকের অনুভূতিটি আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পরবর্তী পর্ব টা শেয়ার করতে আগ্রহী হবো।ধন্যবাদ আপনাদেরকে সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং আমার অনুমতি জানার জন্য।
ফটোগ্রাফির ক্যামেরার বিবরণ
সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar


আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।


ঠিক বলেছেন আপু মা হওয়ার অনূভুতি কাউকে বলে বুঝানো যায়না। আমি অনেক কষ্ট ভোগ করার পর মা হতে পেরেছি। যখন প্রথম বাবুকে আমার সামনে এনেছিলো আমিতো কান্না করে দিছিলাম। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মহূর্ত আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
আসলে মাতৃত্বের অনুভূতিটা এরকমই অনেক ভালো লাগে,অনেক খুশি লাগে কাউকে বোঝানো যায় না ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুভুতি হচ্ছে তার মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করা।মাতৃত্ব ছাড়া নারী জীবন পূর্ণ হয় না।যাইহোক আপনি আপনার মেয়ের জন্ম দিনে দারুণ একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আশাকরি এই ধারাবাহিকতা বর্জায় রেখে যেতে পারবেন।আপনার মেয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু মাতৃত্বের স্বাদ অনুভবের মাধ্যমেই নারীর সার্থকতা।
আপু অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে আবেগের কিছু কথা বললেন। আর আমরা পড়েও অনেক আনন্দ পেলাম। এটা জেনে খুশি হলাম যে আট বছর পর্যন্ত আপনি আপনার মান্নতটা পালন করে যাচ্ছেন। স্কুলে মিষ্টি বিতরনের মুহূর্তটা অনেক ভাল লাগলো। সর্বপরি আপনার মেয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়েছেন।সুন্দর একটি মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করেছেন এবং আমার মেয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মেয়ে কে আমার তরফ থেকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই দিদি। ও যেন জীবনে অনেক বড় হয়, মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠে। জীবনের সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে পারে।এটা একদমই ঠিক যে একটা শিশু যখন ভূমিষ্ঠ হয় সেদিনই নতুন করে তার বাবা মায়ের জন্ম হয়।তোমার বেবীর জন্মের সময়ে তোমার মনের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মতামতটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনি ১০ জন হুজুর দাওয়াত করে খতমে তেলাওয়াত এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। বিষয়টা আমার খুবই ভালো লেগেছে। দোয়া করি যেন প্রতি বছর এমন ভাবে পালন করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার এবং আপনার মেয়ের জন্য।
হ্যাঁ আপু আমাদের হায়াত এবং সামর্থ যতদিন থাকে ততদিন পর্যন্ত মানত টি পালন করার চেষ্টা করব। আপনি আমাদের জন্য দোয়া করবেন।