'মায়াপুর জগন্নাথ মন্দিরে কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেষ পর্ব '

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ পর্ব উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



আমবাগান থেকে বিশ্রাম নেওয়ার পর যখন সূর্যের তাপ একটু কমে গেলে তখন আমরা আবারো ঘুরতে বের হলাম। মায়াপুর জগন্নাথ মন্দির অনেক কিছু দেখার রয়েছে কিন্তু অল্প সময়ে সেই সবগুলো জায়গা ঘুরে আসা সম্ভব নয়। মায়াপুর মন্দিরের ভিতরে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। যাইহোক, সূর্যের তাপ কম হতেই সবাই বেরিয়ে পড়েছে ঘুরতে। এত বড় জায়গা পায়ে হেঁটে ঘোরা সম্ভব নয় তাই এখানে যানবাহনের ব্যবস্থাও রয়েছে খুব অল্প টাকা খরচ করলে সম্পূর্ণ মন্দিরের আঙ্গিনা ঘুরে আসা সম্ভব। আমরা শেষ হবে ভেতর গেলাম না আমরা যতটুকু পারি পায়ে হেঁটে দেখার চেষ্টা করলাম। কারণ হেঁটে হেঁটে দেখার মজাটাই আলাদা। আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম মন্দিরের সুন্দর একটি স্থানে জায়গাটির নাম গোশালা। এখানে যে দেখতে পেলাম আমাদের গোমাতাদের। অনেক বড় জায়গা জুড়ে এই গোশালা। এখানে কিছুটা সময় কাটানোর পর পাশেই ছিল একটি খাবারের দোকান। এখানে যে আমরা একটু খাবার অর্ডার করলাম এখানে কিন্তু খাঁটি দুধের ঘি পাওয়া যায় মাখন পাওয়া যায়। এখানে ঘি এর যে স্বাদ পাওয়া যাবে বাইরে থেকে কিনলে তার স্বাদ ততটা পাওয়া যাবে না।


এখানে বসে খাবার খেতে খেতে সূর্যাস্ত হয়ে গেল। এদিকে আমাদের আবার বাড়িতে ফিরতে হবে তাই দেরি না করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। আমরা মন্দিরের কলোনি থেকে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিলাম পাশেই দেখতে পেলাম একটি খাবারের দোকান। খাবারের দোকান দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছিল। তাই দেরি না করে কিছু খাবারের অর্ডার করলাম। আমি খাবার অর্ডার করেছিলাম সবজি রোল, ভেজ মম, সিঙ্গারা এখানে আগে থেকে বলে রাখি এখানে কিন্তু সব খাবার ভেজ খাবার। খাবারগুলো এত সুন্দর লেগেছিল আমার কাছে যে আমি আবার পুনরায় একই খাবার অর্ডার করলাম। দাদা ও তার পছন্দমত খাবার অর্ডার করেছিলো। খাওয়া দাওয়া করতে করতে দাদা বলল আবার বাইরে যেয়ে বিরিয়ানি খেতে হবে আমি হাসতে হাসতে দাদাকে বললাম আমার পেটে আর জায়গা নেই। তাই দাদা বলল সামনে একটি দোকান রয়েছে সেখান বসে কোল ড্রিংস খেয়ে একটু হজম হলে বের হব।


এখানে বসে থাকতে থাকতে একটা জিনিস খেয়াল করলাম। যেহেতু সন্ধ্যা হয়েছে মন্দিরের সন্ধ্যা আরতির সময় তাই সবাই একটু দ্রুততার সঙ্গে মন্দিরে যাচ্ছে। চারিদিকে শঙ্খ ঘন্টার ধ্বনি আর ঈশ্বরের নাম বাতাসে ভেসে ভেসে আসছে। তখন পরিবেশটা এত সুন্দর লাগছিল মনটা আনন্দে নেচে নেচে উঠছিল। অনেককে দেখলাম তারা নাচতে নাচতে ঈশ্বরের নাম করতে করতে মন্দিরে প্রবেশ করছে। এ যেন এক আলাদা অনুভূতি যেটা বলে বোঝানো যায় না। যাইহোক, আমরা মন্দির থেকে বেরিয়ে সোজা চলে গেলাম বিরিয়ানি খেতে। ননভেজ বিরিয়ানি সবসময় খেয়েছি তার স্বাদ একরকম আর ভেজ বিরিয়ানি তার স্বাদ অন্যরকম। আমার কেন জানি ভেজ বিরিয়ানি বেশি ভালো লাগে। কারণ বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিরিয়ানি তাই এর সাধ অন্যরকম হয়ে থাকে। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করে।

IMG20250603123627.jpg

IMG20250603122311.jpg

IMG20250603144655.jpg

IMG20250603175812.jpg

IMG20250603190430.jpg

IMG20250603191256.jpg

ক্যামেরা পরিচিতিoppo
ক্যামেরা মডেলoppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য4.05mm
তারিখ০৩.০৬.২০২৫
সময়০৭.২৩মিনিট
স্থানমায়াপুর



খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা সাড়ে আটটার দিকে রওনা করলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। আজকের এই দিনটা ঘুরে আমার খুব ভালো লেগেছিল। মনের ভিতর আলাদা একটা শক্তি পেয়েছিলাম। আমি একটা কথা বলব যদি কোন সময় মন খারাপ থাকে, জীবনের কোন কিছু পাচ্ছেন না, জীবনটাকে একঘেয়েমি লাগছে, অশান্তিতে ভুগছেন তাহলে আমি বলব ঘুরে আসুন একবার তীর্থস্থান থেকে। দেখবেন আপনার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে মনে একটা আলাদা শান্তি অনুভব হবে। কারণ আমরা একটা কথা মানি আমরা যখন দিশেহারা হয়ে পড়ি আমাদের পাশে যখন কেউ থাকেনা তখন আমরা একজনকেই সব সময় পাশে পাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা। কারণ সবাই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে কোন সময় ছেড়ে যায় না।

যাইহোক, আজ এখানে শেষ করছি সবাই খুব ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  

Wow, @saikat890, what a fantastic glimpse into your trip to Mayapur! Your post really captures the essence of the journey, from the serene am বাগান to the vibrant atmosphere of the Jagannath temple. The photos are stunning, especially the ones of the গোশালা and the delicious-looking vegetarian food. It's wonderful how you highlight the spiritual feeling and the peace one can find in such a place. I especially loved your description of the evening prayers and the ভেজ বিরিয়ানি – it sounds absolutely divine! Your experience truly conveys the idea that a pilgrimage can rejuvenate the mind and soul. Thank you for sharing this beautiful travelogue. I'm sure many readers are now inspired to visit Mayapur themselves! What was your favorite part of the ভেজ বিরিয়ানি?