হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ইকো পার্কে ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোষ্ট লেখাটি শুরু করছি।
পার্কের ভিতর অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর একটি ফাঁকা সবুজ মাঠে বসে বিশ্রাম করলাম। পার্কের ভিতর অনেক চা বিক্রেতাকে পাওয়া যায়। আমাদের সামনে দিয়েই যাচ্ছিল এক চা বিক্রেতা। খোলা আকাশের নিচে সবুজ মাঠে বসে এক কাপ চা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। তাই তো দেরি না করে দুজনের জন্য দু কাপ লেবু চা নিয়ে নিলাম। চায়ের চুমুকের সঙ্গে পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।আমি আগেও বলেছি এই পার্কটি অনেক জায়গা জুড়ে অবস্থিত। পায়ে হেঁটে সম্পূর্ণ জায়গা একদিনে ঘুরে আসা সম্ভব নয়। আমি এই পার্কে আগে অনেকবার এসেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত পার্কের সব কয়টি জায়গা ঘুরে শেষ করতে পারেনি।
যাইহোক, চা খাওয়া শেষ হলে আমরা আবার হাঁটতে শুরু করলাম। হাঁটতে হাঁটতে আমরা একটি ফুলের রাজ্যে চলে এলাম। এখানে অনেক ফুল গাছ রয়েছে এবং বিভিন্ন ফুল ও ফুটেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানে যে ফুল গাছ রয়েছে ও সেই গাছ থেকে যে ফুল ফুটেছে তার বেশিরভাগ ফুলের নাম আমি জানি না। ফুলের রাজ্যে প্রবেশ করতেই মনটা একটু আনন্দে নেচে উঠলো। কারণ হলো ফুল এমন একটি বস্তু যে একে ভালোবাসে না এ পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কম আছে। যদি মন খারাপ থাকে কেউ যদি এসে তাকে ফুল দেয় তার মনটি ভালো হয়ে যায়। ফুলের মাধ্যমেই ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে আমাদের মাঝে। তাইতো ফুলের রাজ্যে প্রবেশ করতেই মনটা আনন্দে নেচে উঠলো। ইচ্ছা করছিল ফুলগুলো ছিঁড়তে কিন্তু আবার ভাবলাম ফুলকে হাতে নয় গাছেই সুন্দর লাগে। কিন্তু মনের ইচ্ছা তো পূরণ করতে হবে তাই কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করলাম। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমি নিচে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের এই ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে আপনাদের ও ভালো লাগবে।











ক্যামেরার মডেল | oppo A79 5G |
ফুলের রাজ্যে ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম চারিপাশটা লাল বর্ণ ধারণ করেছে তার মানে হল সূর্যাস্ত হতে চলেছে। আর সূর্যাস্তের সময় চারিপাশটা এত সুন্দর হয়ে ওঠে শুধু তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে। ফুলের রাজ্যে পাশেই ছিল তাজমহল আর পিরামিড প্রাচীনকালে রাজাদের কিছু স্মৃতি। পার্কের এই জায়গাটিতে সব থেকে বেশি মানুষ এসে থাকে। কারণ এই জায়গাটিতে প্রবেশ করলে মানুষ প্রাচীন কালে প্রবেশ করে। আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা করলাম আর এখানে যেতে গেলে আবারও টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে।
যাইহোক, এই জায়গাটিতে প্রবেশ করে যে মুহূর্তটা কাটিয়েছি সেটা না হয় অন্য একটি পর্বে আপনাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করব। সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।