শারদীয়া কনটেস্ট ১৪৩২, দশমীর ফটোগ্রাফি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগে" প্রতিবারের মতো এবারও শারদীয় কনটেস্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। তাই এই কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আজ আমি জশমীর ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
★★মহা দশমী★★
থিমের নাম:"ডোকরা শিল্প"
এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে অভিযান সংঘ। অভিযান সংঘ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভিন্ন ধরনের প্যান্ডেল তৈরি করেছে। যেটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে"।
"এই প্যান্ডেলটিতে প্রবেশ করার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। কিন্তু আমি লাইনে দাঁড়ালাম না একটু চালাকি করে লাইনের সামনে ঢুকে পড়লাম। আমাকে কেউ কিছু বলল না আরামসে প্যান্ডেলে প্রবেশ করলাম"।
"এই প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে বাস ও শোলা দিয়ে। শিল্পী এত নিখুঁতভাবে তৈরি করেছে প্যান্ডেলের কাছে না গেলে একেবারে বোঝা যাবে না। আপনার চিত্রটি একটু খেয়াল করে দেখলে বুঝতে পারবেন"।
"প্যান্ডেলের ভেতরের সৌন্দর্য খুবই সুন্দর। রঙ্গিন ঝাড়বাতির আলোতে ভিতরের পরিবেশটা রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। বাইরে যেমন নকশা তৈরি করা হয়েছে ভিতরেও ঠিক একই রকম নকশা তৈরি করা হয়েছে"।
"প্যান্ডেলের সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের সৌন্দর্যটা ও কিন্তু চোখে পড়ার মত। মাকে রঙ্গিন শাড়িতে ও সোনালী গহনাতে মায়ের রূপটা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এ বছর অভিযান সংঘ প্যান্ডেলটি খুবই সুন্দর করে সবার মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। স্বল্প লাইটিং এ প্যান্ডেলটি এত সুন্দর সেজেছে সেটি দেখার মতন। যাই হোক, এরপর মাকে দুচোখ ভরে দেখে মায়ের চরণে প্রণাম করে প্যান্ডেল থেকে বের হলাম"।
* মহা দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:02/10/2025
লোকেশন
★★মহা দশমী★★
থিমের নাম:"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়"
"এই প্যান্ডেলটি মেইন রোড থেকে একটু ভিতরে অবস্থিত। এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে ১১ পল্লী যুব গোষ্ঠী। প্যান্ডেলটি ঢোকার আগে শিবলিঙ্গের একটি প্রতিচ্ছবি এখানে ফুটে ফেলা হয়েছে"।
"আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ছোট্ট একটি প্যান্ডেল ততটা সাজানো-গোছানো না ততটা ভালো হবে না দেখতে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনার বাইরে যা দেখছেন প্যান্ডেলের ভিতরে সম্পূর্ণ আলাদা"।
"আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্যান্ডেলটি কিন্তু সাজানো হয়েছে খাবারের থালা দিয়ে। অসংখ্য হাত খাবারের থালা ধরে রয়েছে। প্যান্ডেলের প্রবেশ করার আগের মুহূর্তে একটি ব্যানার দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যানারে একটি শিশু কে খাবার খেতে দেখা যাচ্ছে আর উপরে লেখা রয়েছে"অনাহার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়"। এই কথাটা কিন্তু একেবারে সত্যি কথা খাবারের অভাবে মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়"।
"প্যান্ডেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখের সামনে পড়বে একটি রাজ সিংহাসন। আমি চলে গেলাম সেই সিংহাসনের কাছে যে দেখতে পেলাম সিংহাসনে রাজা নেই কিন্তু রাজার মুকুট রয়েছে। আর রাজ মুকুটের চারিপাশে খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। শিল্পী এই চিত্রকলার মাধ্যমে আমাদের সভ্য সমাজকে বুঝিয়েছে আমরা যতটুকু খাই তার থেকে বেশি অপচয় করি"।
"এই চিত্রটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রুটি, বার্গার খাওয়া কিছু অংশ। আমরা বড় বড় রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার পর যখন আমাদের খেতে ইচ্ছা করে না তখন কিছু খাবার খেয়ে আমরা বাকিটা ফেলে দেই। সেই খাবারের কিছু অংশ এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে"।
"এই চিত্রটিতে আপনারা দেখতে পারছেন কিছু খাবার অগ্নি কুণ্ডর ভেতরে জ্বলছে। এই চিত্রটির মাধ্যমে এই ভদ্র সমাজের মানুষদের বোঝানো হয়েছে হাজার হাজার টাকা তোমরা খরচ করে ভালো ভালো খাবার খাচ্ছ আর সেই খাবার শেষ না করে ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছো। কিন্তু এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছে যারা দুমুঠো খাবার খেতে না পেয়ে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ছে"।
"মানুষ আজ খাবারের অভাবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেকেই আছি খাবার নষ্ট করি। কিন্তু এই খাবার নষ্ট না করে সেই খাবারটা আমরা যদি কোন দরিদ্র মানুষকে দেই তাহলে উনি হয়তো খাবারের অভাবে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়বে না"।
"এই চিত্রটিতে আপনারা দেখতে পারছেন কিছু হাত খাবারের থালা ধরে বসে রয়েছে আর উপরে রয়েছে খাবার কিন্তু একটি খাবারও তার খাবারে থালার উপর পড়ছে না। কারণ হলো আমরা খাবার নষ্ট করব ডাস্টবিনে ফেলে দিব কিন্তু আমরা এই খাবারটা কোন ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে দিব না। আমাদের ভদ্র সমাজের মানুষ খাবার নষ্ট করবে কিন্তু কাউকে সেই খাবার দিয়ে সাহায্য করতে পারবে না।কারণ এই ভদ্র সমাজের মানুষ সাহায্য করলে তার সম্মান নষ্ট হবে"।
"তাই আসুন খাবার নষ্ট না করে আমাদের আশেপাশে সেই সব ক্ষুধার্ত মানুষদের সাহায্য করি। একা ভালো থাকা এটা ভালো থাকা নয়, সবাইকে নিয়ে যখন আপনি ভালো থাকবেন তখনই আপনি ভালো থাকতে পারবেন। আমরাই পারি এই ক্ষুধার্ত মানুষদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে"।
"এই চিত্রটিতে আপনারা মা দুর্গাকে দেখতে পারছেন একটি সাধারণ মাকে। এখানে মা দুর্গা, কোন অসুরকে বধ করছে না তার দশটি হাতে কোন অস্ত্র কিন্তু নেই নাই। তার একটি হাতে রয়েছে খাবারের থালা। মা দুর্গা ও আমাদের কাছে বলছে তোমরা খাবার নষ্ট করো না যে খাবারটা তোমরা নষ্ট করছো সেই খাবারটা আমাকে দাও। দেখতে পাচ্ছেন মায়ের চারিপাশে তার সন্তানরা রয়েছে। তারা কিন্তু মায়ের কাছে খাবার চাচ্ছে কিন্তু মা দিতে পারছে না। মা আমাদের কাছে দুহাত পেতে খাবার যাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে এই প্যান্ডেলের ভিতর ঢুকে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম। আর এই দৃশ্যগুলো দেখে চোখে জল চলে এলো। ১১ পল্লী যুব সংঘ সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই প্যান্ডেলটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে"।
* মহা দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:02/10/2025
লোকেশন
★★মহা দশমী★★
থিমের নাম:"হানা বাড়ির কান্না"
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে তালতলা স্পোটিং ক্লাব। থিমের নাম শুনে বুঝতে পারছেন এটি একটি ভৌতিক প্যান্ডেল। প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশের আগের মুহূর্তে কিছু ভৌতিক চিত্র চোখে পড়বে। চিত্রগুলো দেখেই শরীর ছমছম করতে শুরু করবে। যার বাইরের দৃশ্য এতটা ভয়ংকর হতে পারে তাহলে ভেতরটা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে বুঝেই দেখুন"।
"প্যান্ডেলের ভিতর প্রবেশ করতেই আমি থমকে গেলাম। কারণ ভিতরে স্বল্প পরিমাণে আলো রয়েছে আর চারিদিক অন্ধকার পাশের মানুষটিকে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না এতটা অন্ধকার। আর এই অন্ধকারের ভিতর চিৎকার কান্না ভেসে ভেসে আসছে"।
"প্যান্ডেলের ভেতরে চারিপাশে মানুষের কঙ্কালের চিত্র চোখে পড়বে। ভেতরে খুব সাবধানে চলতে হবে তা না হলে যেকোনো সময় ভুতের আক্রমণের সম্মুখীন হতে পারেন। সত্যি কথা বলতে আমার ভয় লাগছিল ভাবছিলাম কখন জানি চোখের সামনে ভূত এসে পড়ে"।
" প্যান্ডেলের ভিতরে কিন্তু গাছপালা দিয়ে ভরা ছিল। আর এই গাছপালার ভিতরে দিয়ে যেতে হচ্ছে আর রয়েছে ভূতের সমাগম তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা ভয়ংকর। এই পথ বেয়ে চলতে চলতে আমার খেল পড়লো আমাকে কোন ব্যক্তি অনুসরণ করছে। আমি পিছন ফিরে তাকাতেই সে আমার উপর আক্রমণ শুরু করল। আমি তো চিৎকার করে উঠলাম এরপর ভূত আমাকে জড়িয়ে ধরল আমিও ভূতকে জড়িয়ে ধরলাম। আসলে এটি সত্যিকারের ভূত নয় এটি মানুষ ভূত 😄😄"।
"ভুতের অন্ধকার রাজ্য বেরিয়ে আলোর রাজ্যে প্রবেশ করলাম। এই আলোর রাজ্যে রয়েছে আমাদের মা দুর্গা। মায়ের মুখটা দর্শন করার পর মনের ভিতর সকল ভয় হারিয়ে গেল ফিরে পেলাম শক্তি। একটা জিনিস এখানে খেয়াল করলাম মায়ের চারপাশে কিন্তু ভূতগণ নৃত্য পরিবেশন করছে এটি কিন্তু একটি আলাদা চমক। যাইহোক, এরপর মাকে প্রণাম করে প্যান্ডেল থেকে বের হলাম।
* মহা দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:02/10/2025
লোকেশন
★★মহা দশমী★★
থিমের নাম:"হায়দ্রাবাদের কৃষ্ণ মন্দির"
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে প্রতাপগড় স্পোটিং ক্লাব। এই প্যান্ডেলে যেতে হলে মূল প্যান্ডেলের প্রায় ৫০০ মিটার আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর হবে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে আপনি কখনো বোরিং ফিল হবেন না কারণ রাস্তার দু'পাশে এত সুন্দর করে লাইটিং এর ব্যবস্থা হয়েছে সেগুলো দেখতে দেখতে আপনি যে কখন মূল মন্দিরে প্রবেশ করবেন আপনি বুঝতেই পারবেন না। রাস্তার দুপাশে লাইটিং এর চিত্র আপনারা দেখতে পারছেন"।
"এই চিত্রটি হল প্রতাপগড় স্পোটিং ক্লাবের মাঠের একটি টাওয়ার। এই টাওয়ারটি কিন্তু বিভিন্ন লাইটিং এ রঞ্জিত করা হয়েছে। দূর থেকে এই টাওয়ারটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে"।
"দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমি পৌঁছে গেলাম হায়দ্রাবাদের কৃষ্ণ মন্দির এর প্যান্ডেলের সামনে। এই প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুবই ক্ষুদ্র প্রাণী মনে হচ্ছিল। এই প্যান্ডেলটি উচ্চতা ভূমি থেকে প্রায় ১৭০ ফুট। এবার আপনারা ভাবুন যে এত বড় প্যান্ডেলের কাছে নিজেকে তো ক্ষুদ্র মনেই হবে। এই প্যান্ডেলে কিন্তু ভিআইপিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে এবং সাধারণ মানুষদের জন্য আলাদা একটি লাইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
"যেহেতু এটি কৃষ্ণ মন্দির সেতু রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ টা দর্শন করতে পারলাম না কারণ এটা অন্যপাশে ছিল। রাধাকৃষ্ণের মন্দিরের পাশ থেকেই গিয়েছিলাম মূল প্যান্ডেলের ভেতর। যেহেতু এই প্যান্ডেলটি দেখার জন্য অনেকের ভিড় হয়েছিল। ভিতরে যাতে ভিড় না হয় তার জন্য ২০ জন ২০ জন করে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছিল"।
"এখানে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করার পর ভেতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করতেই রঙ্গিন ঝাড়বাতিতে রঞ্জিত হয়ে উঠলাম। এই প্যান্ডেলটির ভেতরে অনেকগুলো রঙ্গিন ঝাড়বাতি ব্যবহার করা হয়েছে"।
"এটি প্যান্ডেলের ভেতর সবথেকে বড় ঝাড়বাতি। এটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল তাই একটি ছবি না তুলে পারলাম না"।
"এরপর চোখের সামনে দেখতে পেলাম মায়ের মুখ খানা। এখানে মাকে এত পরিমাণে অলংকার দিয়ে সাজানো হয়েছে সেটা কল্পনার বাইরে। অলংকারের ঝলকে মায়ের মুখ আলোকিত হয়ে উঠেছে। আর একটা কথা বলতেই হবে এই প্যান্ডেলটি সম্পূর্ণ কিন্তু শোলা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু দেখে একেবারেই বোঝার মত নয় মনে হচ্ছে অরজিনাল। এবছরের সেরা প্যান্ডেলের মধ্যে এই প্যান্ডেলটি রয়েছে"।
* মহা দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:02/10/2025
লোকেশন
★★মহা দশমী★★
থিমের নাম:" গুজরাটে স্বামী নারায়ন নীলকন্ঠ ধাম"
"এই প্যান্ডেলটা তৈরি করেছে এগিয়ে চলো সংঘ। প্রতি বছর এই এগিয়ে চলো সংঘ মানুষদের চমক দিয়ে চলেছে। বনগাঁর ভেতর নামকরা প্যান্ডেলের ভেতর এই প্যান্ডেলটি অন্যতম। যার কারণে এখানে লোকের ভিড় ও অনেক বেশি হয়ে থাকে"
" দূর থেকে প্যান্ডেলটি দেখলে মনে হবে সোনায় মোড়ানো সম্পূর্ণ গোল্ডেন কালার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আরে গোল্ডেন কালারের উপর যখন বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জার রোশনি এসে পড়ছে প্যান্ডেলের সৌন্দর্যটা আরো বেড়ে যাচ্ছে। এই প্যান্ডেলের বাইরে কিন্তু ঝর্ণার ব্যবস্থা রয়েছে"।
"প্যান্ডেলের ভিতর প্রবেশ করতেই প্রথমে চোখে পড়বে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণ ও অর্জুনের রথের চিত্র। এই প্যান্ডেলের ভিতরে চারিপাশটা কিন্তু বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে যেটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে"।
"যখন মাতা সতী অগ্নিতে নিজের দেহ ত্যাগ করে। তখন ভগবান শিব রুদ্ররূপে তাণ্ডব নিত্য করতে শুরু করে। তার একটি প্রতিচ্ছবি এখানে তুলে ধরা হয়েছে"।
"সমুদ্র মন্থনের সময় যে বিষ নির্গত হয়েছিল। যে বিষের প্রভাবে সমস্ত বিশ্ব ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। তখন ভগবান শিব এই বিশ্বকে বিষের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত বিষ নিজে পান করেছিল তার চিত্র এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে"।
"প্যানেল উপরে যে চিত্রটি ধারণ করা হয়েছে সেটি একটু অন্যরকম। আপনারা চিত্রটিতে একটু খেয়াল করে দেখলে দেখতে পারবেন ঝাড়বাতির চারিপাশে কিন্তু মহাদেবের মুখের আকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। যার জন্য এদিকে দেখতে আলাদা সুন্দর লাগছে"।
"এরপর মাকে দেখতে পেলাম যিনি লক্ষী, গণেশ, কার্তিক ,স্বরসতী সবাইকে নিয়ে এই ধামে এসেছেন আমাদের মাঝে।সবাই কিন্তু বিভিন্ন অলংকারে সেজেছেন যার জন্য সবাইকে আলাদা আলাদা সুন্দর লাগছে। এগিয়ে চলো সংঘ এবছর সুন্দর প্যান্ডেল তৈরি করেছে। এই প্যান্ডেলের আলোকসজ্জা আলাদা সুন্দর ছিল সত্যি বলছি খুব ভালো লেগেছে"।
* মহা দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:02/10/2025
লোকেশন
★★মহা দশমী★★
থিমের নাম:" থাইল্যান্ডের সাদা বৌদ্ধ মন্দির"
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে আয়রন গেট সংঘ। এটি কিন্তু এআই দ্বারা নির্মিত একটা ছবির অনুকরণে প্যান্ডেলের গঠন তুলে ধরা হয়েছে। এই প্যান্ডেলটির সামনে থেকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে"।
"এই প্যান্ডেলটির ভিতরে প্রবেশ করার আগে আপনাকে অবশ্যই ১০০ টির বেশি সিঁড়ি ধাপ পার করতে হবে। যেটি কিন্তু অন্য কোন প্যান্ডেলে এখনো পর্যন্ত হয়নি। যাইহোক,১০০ সিঁড়ির ধাপ পার করে ভেতরে প্রবেশ করলাম"।
"ভিতরে কিন্তু তেমন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা ছিল না শুধুমাত্র একটি রঙিন ঝাড়বাতি ছিল যার আলোতে প্যান্ডেলে ভিতরটা আলোকিত হয়েছে"।
"এখানে মা দুর্গাকে রুপোর গহনা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।মা দুর্গাকে রুপোর গহনা পড়ে দেখতে কিন্তু খুবই ভালো লাগছে।মায়ের দিকে তাকিয়ে আমার অবুঝ মনটা কেঁদে উঠলো কারণ মা আজ এই দিনটাতে মা আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিবে। মা যখন আমাদের মাঝে থাকেন তখন চারিদিক আনন্দে আনন্দিত হয়ে ওঠে রঙিন আলোতে চারিদিক সেজে ওঠে। যাই হোক,দুই হাত জোর করে মায়ের রাঙ্গা চরণে প্রণাম জানিয়ে বিদায় নিলাম মায়ের কাছ থেকে"।
* মহা দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:02/10/2025
লোকেশন