DCC CSE ডিপার্টমেন্টের ইফতার মাহফিল- ২০২২ ।। 10% for shy-fox
◾️ ১৬ এপ্রিল
▪️ শনিবার
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সকলে খুব ভালো ও সুস্থ আছেন। গত ১৫ এপ্রিল আমাদের ঢাকা সিটি কলেজের সি এস ই ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন এবং বর্তমান সকল স্টুডেন্টসদের নিয়ে ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়েছে। ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
প্রতি বছরই আমাদের ডিপারটমেন্টের ইফতার মাহফিল এর আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে সিনিয়র, জুনিয়রদের মাঝে দেখা সাক্ষাত হয়, অনেক আনন্দ বিরাজ করে সবার মাঝে। আমাদের ঢাকা সিটি কলেজের সি এস ই ডিপারটমেন্ট এ বর্তমান ২৩ তম ব্যাচ রানিং আছে। আমি ২০ তম ব্যাচে বর্তমানে অধ্যয়ন করছি। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারনে আমাদের ইফতার মাহফিল এর প্রোগ্রাম বন্ধ ছিল। এ বছর তাই সবার মাঝে অনেক এক্সাইট্মেন্ট কাজ করতেছিল। প্রোগাম এরেঞ্জ করার আগে একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতি বছর দুই ব্যাচকে প্রোগাম হোস্ট করার দায়িত্ব দেয়া হয়ে থাকে। এ বছর হোস্ট এর দায়িত্বে ছিল আমাদের ২০ ব্যাচ এবং ১৯ ব্যাচ।
প্রোগাম এরেঞ্জ এর আগে জিগাতলা নেসকেফেতে প্রতিবছর মিটিং করা হয়। এবারও তাই হয়েছিল। মিটিং এর মধ্যে ভেন্যু, খাবারের আইটেম, চাদা ইত্যাদি আরও যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। তো যাইহোক ঐ দিকে কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয় এ আলোকপাত করা যাক। ইফতার এর ডেট ঠিক করা হয়েছিল ১৫ এপ্রিল রোজ শুক্রবার। ভেন্যু নেয়া হয়েছিল জিগাতলাতে অবস্থিত ড্রীম ওয়াল্ড কনভেনশন সেন্টার। আমার বাসা ধানমন্ডিতে। সো আমার এইখান থেকে যেতে বড়জোর ১৫ মিনিট টাইম লাগবে। সেই হিসেবে শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকেই বের হয়ে পড়ি বাসা থেকে। একটু আগে যাওয়ার কারন হচ্ছে সবার সাথে আড্ডা দেয়া। আমরা কয়েজন বন্ধু একসাথেই থাকি। সবাই একসাথেই বের হয়ে পড়ি।
বাসার সামনে থেকেই রিকশা নিয়ে ধানমন্ডি জিগাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাই।
বাসার কাছে হওয়াতে ১৫ মিনিটেই পৌঁছে যাই ভেন্যু সপ্টে। ড্রীম ওয়াল্ড কনভেনশন সেন্টার এর লিফট এর ৪ তলায় আমাদের এবাবের ইফতার মাহফিল এর আয়োজন ছিল। নিচে দেরি না করে উপরে উঠে যাই। আমার অন্যান্য বন্ধুরা ইতিমধ্যেই চলে আসছিল প্রায় সবাই।
কনভেনশন সেন্টার টি বেশ বড় এবং সুন্দর। আমাদের সি এস ই ডিপার্টমেন্টের ১ম থেকে ২৩ তম ব্যাচের মোট ৩৫০+ এর মত সিনিয়র জুনিয়র ছিল এই ইফতার পার্টিতে। সেই সাথে আমাদের সম্মানিত শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। একটি স্টেজ ছিল হোস্ট করার জন্য।
আমরা যখন পৌঁছে ছিলাম তখন অন্যান্য ব্যাচের সিনিয়র ও জুনিয়ররা সবাই এসে পৌছইনি। এক এক ব্যাচের জন্য টেবিল সিলেক্ট করা ছিল আগে থেকেই।
আমার ক্লাসের সব ফ্রেন্ড মিলে এক টেবিলে বসতে পারিনি কারন এক টেবিলে অতটা জায়গা ছিল না। তাই ভাগ ভাগ করেই বসতে হয়েছিল। বসে পড়লাম একটা টেবিল নিয়ে।
সবাই যখন মোটামুটি এসে পড়েছে তখন দোয়া পড়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। স্টেজে বিভিন্ন ব্যাচের সিনিয়ররা
যারা ইতিমধ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভালো পর্যায়ে জব করছেন তারা স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সেই সাথে বর্তমান রানিং ব্যাচের যেসব স্টুডেন্টদের সি জি পি এ খুবই ভালো তাদের ক্রেস্ট উপহার দেন এবং ডিপার্টমেন্টের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যারা ভালো করেছে তাদের সম্মাননা উপহার দেন। এসময় আমাদের ডিপারটমেন্ট এর সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলীগণ স্টেজে উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারের টাইম হওয়ার আগে সবাই মিলে মোনাজাত করে কয়েক মিনিট সামনে খাবার নিয়ে সবাই অপেক্ষা করতে থাকে মাগরিব এর আযানের জন্য।
আমাদের খাবার মেন্যুর মধ্যে ছিল শরবত, খেজুর, আপেল, মালটা, জিলাপি, আলুর চপ, বেগুনী, শশা, ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড চিকেন, ভেজিটেবলস। আযান শুনে সবাই খেতে শুরু করি।
খাওয়া শেষ করে অনেকে নামায এর জন্য যায়। এই কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নেয়ার আরেকটি কারন হচ্ছে এখানে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা নামায এর ব্যবস্থা ছিল। নামায শেষ করে সবাই আবার একসাথে জড়ো হয়। সবার সাথে কথা বারতা, ছবি তোলা, স্যার ম্যাডাম, বড় ভাইদের সাথে ছবি তোলা, ব্যাচ ওয়াইচ ফটোশুট এই পর্ব গুলো হয়। সব শেষ করে রাত ৮ টার দিকে বাসায় ফিরি।
এই ছিল এবারে আমাদের ডিপার্টমেন্টের ইফতার মাহফিল। আগামী বছর ইনশাল্লাহ বেচে থাকলে আবারও জয়েন করবো। আপনাদের সাথে শেয়ার করে ভাল লাগছে। এতক্ষন ধরে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভালো থাকবেন।
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০ প্রো |
লোকেশন | what3words Location |
আমি রকিবুল শান্ত। বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স ৩য় বর্ষে লেখাপড়া করছি । আমি পজেটিভ চিন্তাধারার একজন মানুষ । সব সময় সিম্পল থাকার চেষ্টা করি। কোডিং করতে, মিউজিক করতে , বিভিন্ন বিষয় এর উপরে আর্টিকেল লিখতে বেশি পছন্দ করি। নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করি। ভালোবাসা পেলে ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করি না ।
শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto

ডিপার্টমেন্টের ইফতার মাহফিল মানে একটা অন্য রকম অনুভুতি ☺️
সব বন্ধুদের সাথে একসাথে বসে ইফতার করা 😍
এর থেকে আনন্দের কিছু আর হতেই পারে না।
নিশ্চয়ই ভীষণ উপভোগ করেছেন।
জি ভাই। ঠিক বলেছেন। অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য
আপনার ডিপার্টমেন্টের ইফতারির ছবি দেখে আমার মনে পরে গেলো আমার ভার্সিটি লাইফের কথা,এমন তো আমাদেরও হতো ডিপার্টমেন্টের ইফতার পার্টি। বেশ মজা হতো।ভালো লাগলো।কিছু কিছু ভুলবার নয়।ধন্যবাদ।
জি আপনাদের অনেকের হয়তো ভার্সিটি লাইফের কথা মনে পড়ে যাবে। এজন্যই পোস্ট করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে
বন্ধুদের সাথে একসাথে ইফতার করার মত মজাই অন্যরকম। আপনাদের ইফতার মাহফিল এর আয়োজন অনেক সুন্দর হয়েছিলো তা ছবি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু সবাই এসেছিল ইফতার মাহফিলে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আপনার ডিপার্টমেন্টের ইফতার মাহফিলের কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার মুহূর্তগুলো অনেক ভালোই কেটেছে, যেটা আপনার ছবি দেখে বোঝা যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রতিও ভালবাসা প্রকাশ করছি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
কনভেনশন সেন্টারটি আসলেই অনেক বড়, এবং খুব সুন্দর মনোরম পরিবেশ দেখে যা মনে হল। আর ডিপার্টমেন্টের সবার সাথে খুব ভালো একটা সময় পার করেছেন আপনি। আসলে মাঝে মধ্যে এরকম পার্টিতে যোগদান করাটা স্বাস্থ্য এবং মনের জন্য বেশ উপকারী হাহা,😍
জি। অনেক বড় প্লেস নেয়া হয়েছিল কারন লোকসংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে
খুব সুন্দর ভাবে আনন্দে আপনার ডিপার্মেন্টে এর সবাইকে নিয়ে ইফতার মাহফিল পালন করেছেন।কি আর বলবো ভাইয়া খাবারের ছবি দেখে আমি সব ভুলে গিয়েছি😇। ইচ্ছে করছে সব গুলো খাবার একাই খেয়ে ফেলি।কিভাবে খেলেন একা বলেনতো☺️।যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্ত টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হাহা। সুন্দর মন্তব্য শুনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার ডিপার্টমেন্টের ইফতার মাহফিল অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় অনেক সুন্দর এবং আনন্দের হয়। জীবন কে উপভোগ করতে হলে বন্ধুদের সাথে সময় দেওয়া দরকার। আমিও সময় পেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই। আর এই রমজানে তো ইফতার মাহফিল বাদ দেই না। অনেক সুন্দর ছিল আপনার ব্লগটি । শুভকামনা
জি পোগ্রাম সফল ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য পেশ করার জন্য
মূহুর্তগুলো স্মৃতি পাতায় রেখে দিলেন এখানে পোষ্ট করে। আয়োজন তো দেখছি বিরাট। খাবার গুলো চমৎকার ছিল। যাইহোক পার্টি তে সময় ভালই কাটিয়েছেন। সবাই একত্রে মিলে কিছু করলে সেটার মজাই আলাদা। সিনিয়র জুনিয়র মিলে মজা বেশী হয়। তাছাড়া এই ধরনের পার্টি গুলোতে কিন্তু রোমান্টিক কিছু বিষয় ও ঘটে যায় কোন কোন সময়। হা হা হা। যাই হোক ভাল ছিল । ধন্যবাদ।
জি ভাই। স্মৃতি হয়ে থাকুক পোস্ট টি। সামনের দিনগুলোতে যদি বেচে থাকি তবে এই আর্টিকেল টি পড়ে আবার ভাল লাগবে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
সত্যি বলতে ডিপার্টমেন্ট থেকে ইফতার মাহফিল অনেক বেশি ভালো লাগে সেই সাথে সকলের সঙ্গে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায়। প্রতিবার আমরাও আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে ইফতার মাহফিলের ব্যবস্থা করে থাকে কিন্তু এবার আর সেটা হচ্ছে না ভাবতেই খুব খারাপ লাগছে। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
সামনের বার ইনশাল্লাহ আবার ইফতারের আয়োজন করবেন। মন খারাপ করবেন না। ভালোবাসা রইল
প্রিয় বন্ধুদের সাথে ইফতারি করা একটা আনন্দময় মুহূর্ত। তাছাড়া ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনারা অনেক মজা করেছেন। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল সময় কেটেছে সবার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য