||লাইফস্টাইল:-হঠাৎ সন্ধ্যার পর খিচুড়ি খাওয়ার অনুভূতি||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"লাইফস্টাইল:-হঠাৎ করে সন্ধ্যার পর খিচুড়ি খাওয়ার অনুভূতি" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে লাইফস্টাইল:- হঠাৎ করে সন্ধ্যায় খিচুড়ি খাওয়ার অনুভূতি আমি সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার।আমার বাংলা ব্লগে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।আমার জীবনের যত কষ্ট বা অনুভূতি যা রয়েছে সবগুলো আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করার চেষ্টা করি।আসলে আমার বাংলা ব্লগকে আমার পরিবারের মতো ভালোবাসি।যাইহোক আজকে যে বিষয় নিয়ে পোস্ট করবো আপনারা হয়তো টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন।তাহলে দেরি না করে পোস্টটি শুরু করা যাক।

তো খিচুড়ি বলতে গেলে আমাদের অনেক মজাদার খাবার যা ঐতিহ্যের ভিতরেও পড়ে।আসলে বৃষ্টির সময় এবং শীতকালে খিচুড়ি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।আমি মনে করি খিচুড়ি কমবেশি অনেকেই পছন্দ করেন।খিচুড়ি এমন একটি খাবার যা সবার কাছেই ভালো লাগে।তবে এই খিচুড়িটি যদি স্পেশাল ভাবে রান্না করা হয় তাহলে তার স্বাদ দিগুণ ভালো লাগে।তো আমরা হচ্ছি ব্যাচেলার মানুষ সেভাবে আমরা রান্না করতে পারি না।এবং যেখানেই পাই সেখানেই কিন্তু খাবার ট্রাই করি।কারণ খিচুড়ি দেখলে আমরা অনেকেই লোভ সামলাতে পারি না।যাইহোক আমি হঠাৎ করেই এই খিচুড়িটি খাই।ঠিক এমন সময় খেয়েছি যা আমার অনুভূতি অন্যরকম ছিলো।

সন্ধ্যার পরে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং ঝিরঝির বৃষ্টি।বলতে গেলে আবহাওয়াটা অনেক দারুন ছিল এবং আমার অনুভূতিটা অনেক সুন্দর ছিল।তবে আমি এখানে একা নয়, আমার ফ্রেন্ড ছিল আমার সঙ্গে।আমরা দুজনেই কিন্তু বাইরে গেছিলাম এবং হুট করে কিন্তু এই সিদ্ধান্তটি আমাদের হয়ে থাকে।যাইহোক বাইরে কাজকর্ম শেষ করে যখন সন্ধ্যা হয়ে গেল,তখন ভাবলাম এই ঠান্ডা আবহাওয়া এবং ঝিরঝির বৃষ্টিতে কিছু একটা খেয়ে বাসায় যাই।কারণ আমি এই কথাটি তাকে বললাম, আমাকে অনেক ভালো লাগছিল সময় টি।তো তখন আমরা দুজনেই চিন্তা করলাম যে কি খাবো।ও বলতেছে বিরিয়ানি খাবো নাহলে অন্য কিছু খেয়ে বাসায় চলে যাবো।

কিন্তু আমার মনের ভেতরে একটা জিনিস ছটফট করতেছে যে, যেকোন একটা হোটেলেই খিচুড়ি খেয়ে বাসায় যাবো।তো তাকে আমি বললাম যে দেখ এদিকে ওইদিকে কিছু না খেয়ে আমরা কোন এক ভালো হোটেলে খিচুড়ি খেয়ে বাসায় যায়।তো এটাও তাকে বললাম যে এই ঠান্ডা আবহাওয়া এবং ঝিরঝির বৃষ্টি খিচুড়ি খেতে ভালোই লাগবে আমাদের।তখন সে আমার কথাটি ফেলতে পারল না।তখন বলল যে চলো তাহলে খিচুড়ি খেয়ে আসি।তো তার কথা অনুযায়ী এবং আমার মনের অনুভূতিটি দিয়ে আমরা এক হোটেলে পৌঁছে গেলাম খিচুড়ি খাওয়ার জন্য।

তো সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম খুব অল্প দামের ভেতরে খিচুড়ি এবং খিচুড়িটি দারুন ছিলো।এবং খিচুড়ির সঙ্গে মুরগির মাংস ছিল।তবে খিচুড়িটি যেমন ভালো হয়েছে ঠিক তেমনি খিচুড়ির সঙ্গে মাংস এবং তার আলুটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আমরা দুজনেই এক এক করে দুই প্লেট অর্ডার করলাম।কিন্তু এখানে মজার বিষয় হলো যে আমরা এক প্লেট খেয়ে আমরা আবারো এক প্লেট করে অর্ডার করলাম।বলতে গেলে খিচুড়ি টি অসাধারণ হয়েছে যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।যাইহোক খাওয়া শেষ করে আমরা খিচুড়ির বিল দিয়ে চলে আসলাম।তো বলতে গেলে আমি খুব সুন্দর একটি সময় অতিক্রম করছে এবং খুব সুন্দর হয়েছিল তাদের খিচুড়ি টি যা আমাকে মুগ্ধ করছে।আসলে কিছু কিছু ছোট হোটেল রয়েছে তাদের খাবারের মান অনেক উন্নত এবং খেতেও খুব ভালো লাগে।যাই হোক কিছু কিছু অনুভূতি আছে লিখে প্রকাশ করা যায় না। তবে আমি যতটুকু পারছি আমার অনুভূতিটি আপনাদের মাঝে আমি উপস্থাপন করছি।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

---

ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ

ডিভাইস	Tecno camon 20
ফটোগ্রাফার	@polash123
লোকেশন	দিনাজপুর

---

🌸আমার পরিচয়🌸

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

You can also vote for @bangla.witness witnesses

Vote for @bangla.witness