||গল্প:-বেল গাছটার নিচে||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে গল্প:-বেল গাছটার নিচে আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার। আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি করে গল্প পোস্ট শেয়ার করার।আসলে এমন অনেক গল্প রয়েছে যে গল্প গুলো পড়তে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে রোমান্টিক এবং ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভৌতিক গল্প শেয়ার করি।কারণ ছোট বেলায় থাকতে এই ধরনের গল্প গুলো আমি অনেক শুনতাম।তো হুট করেই গল্পটি আমার মনে পড়লো।আর গল্পটি তেমন খারাপ না,আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
এক গ্রামের শেষপ্রান্তে একটা পুরনো বেলগাছ ছিল।না, সে গাছ নিয়ে কেউ গল্প বলতো, না কেউ ঝাঁড় ফুঁকও করত।তবুও কেউই সন্ধ্যার পর ওইদিক দিয়ে যেত না।কারণ, যারা গিয়েছে তারা আর আগের মতো ফিরে আসেনি।ওই গ্রামের রাসেল নামের একজন ছেলে ছিলো।সে এগুলো বিশ্বাস করতো না। এসব সব গাঁগেঁয়ের গালগল্প বলে ভাবতো।তাই একদিন সাহস করে রাসেল ওই জায়গায় যাবে।,ঠিক সন্ধ্যার পরে,মোবাইলের টর্চ অন করে হাঁটা শুরু করলো বেলগাছের দিকে।
গাছটা দাঁড়িয়ে ছিল একা, নিঃশব্দে কিন্তু কেমন যেন একটা ভারী অনুভূতি চারপাশে,হাওয়াটাও যেন ঘাড়ের পেছনে নিঃশ্বাস ফেলছে।রাসেল মোবাইল বের করে ভিডিও করতে লাগলো। ভাবছিলো, কালকে বন্ধুরা দেখলে হাসবে।হঠাৎ পেছন থেকে কেউ ডেকে উঠল,এই যে এত রাতে কোথায় যাচ্ছো?কণ্ঠটা চেনা রাসেলের, কিন্তু ঠিক ধরতে পারলো না। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো, কেউ নেই।আবার সামনে তাকাতেই দেখে, বেলগাছের গোড়ায় একটা মেয়ে বসে।
সে মুখ নিচু করে রেখেছে, চুলে মুখ ঢাকা,আর কী অদ্ভুত কথা, তার পায়ের পাতা গুলো পেছনের দিকে মোড়া।রাসেরের গলা শুকিয়ে গেলেও সাহস করে বললো,কে তুমি?সে মুখ তুলল ধীরে,চোখ নেই, কেবল দুটো ফাঁকা গর্ত, আর ফাঁসির দড়ির দাগ গলায়।রাসেল পেছন ফিরে দৌড় দিতে চাইলো, কিন্তু পা নড়ল না!মনে হচ্ছিল, কেউ যেন তার পায়ের গোড়ালি শক্ত করে চেপে ধরেছে।ততক্ষণে মেয়েটা উঠে দাঁড়িয়েছে। তার গলার স্বর ভেঙে-ভাঙে বলে,তুইও আসবি আমার মতো,গাছের সাথে ঝুলে থাকবি চিরকাল।
রাসেল কিছু বলতে পারছিলো না, চিৎকারও করতে পারছিলো না।মোবাইল হাত থেকে পড়ে গেলো, টর্চ অফ!চারপাশ একদম অন্ধকার। সেই অন্ধকারের মধ্যেই রাসের তার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলো।রাসেরের একদম মুখের কাছে,রাসেল জ্ঞান হারায় ফেললো।পরের দিন সকালে রাসেল কে পাওয়া গেলো গাছের নিচে অজ্ঞান অবস্থায়।মোবাইলটা গাছ থেকে অনেক দূরে পড়ে ছিল।গ্রামের লোকজন রাসেলকে বললো , আমি নাকি সারা রাত গাছের নিচে বসে ছিলাম,তো তাদেরকে বলে,এইবার তুই আয়,তুইও থাকবি আমার পাশে।রাসেলের কিছুই মনে নেই।শুধু এখনো রাতে ঘুমোতে গেলে মনে হয়,চুলের আড়ালে একটা মুখ তার দিকে তাকিয়ে আছে তার গলা থেকে ঝুলছে দড়ি,আর সে ফিসফিস করে বলছে,তুইও আয়।গল্প টি এখানেই শেষ।আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আজকের ডেইলি টেস্ক প্রুফ।।
https://x.com/Polashislam681/status/1952388690183168439?t=K-TCkDJ9lTDzLw7aMsxfzw&s=19
https://x.com/Polashislam681/status/1952379279490388334?t=ELVhhJsk5Dqeh1FthmDBug&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.