ভালোবাসার শেষ পরিণতি ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
ভালোবাসার শেষ পরিণতি ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছিএকটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লিখার চেষ্টা করি। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। আসলে বর্তমান ভালোবাসা অনেক প্রকার।দেখা যায় যে সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার এমন অনেক লোক আছে যারা ভালোবাসার জন্য জীবন দিতে পারেন। এমনি এক ভালোবাসার গল্প নিয়ে এসেছি।আমাদের বাড়ির কয়েক বাড়ির পরে রিনাদের বাড়ি।রিনা তার বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান। রিনার বাবার মোটামুটি ভালোই অবস্থা। তবে রিনা যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন তার এক জনের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়।
ছেলেটির নাম আকাশ। আকাশদের বাড়ি রিনার নানু বাড়ির গ্রামে।আকাশ তখন এইচ এসসি পরীক্ষা দেবে।এভাবে তাদের দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়। আকাশরা তিন ভাইবোন। এক বোন দুই ভাই আকাশ সবার বড়।বাবা বেশ বড়লোক। আকাশ ও পড়াশোনায় অনেক ভালো। তবে আকাশ রিনার সাথে সম্পর্ক করেছে তার চাচার ইচ্ছেই। আসলে আকাশের চাচা আবার রিনার মাকে অনেক ভালোবাসত। তবে রিনার মামারা আকাশের চাচার সাথে বিয়ে দেয়নি।তাই আকাশের চাচার অনেক রাগ রিনার মার ওপর। আসলে আকাশ রিনার মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।
কোন ভাবে যেহেতু পারেনি অবশেষে আকাশকে রিনার পিছনে লাগিয়ে দিয়েছে। অনেক চেষ্টার পরে রিনার আর আকাশের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটা আকাশের পরিবারের অনেকে জানলেও রিনার কেউ জানে না। শুধু এক বান্ধবী ছাড়া।দেখতে দেখতে রিনা এসএসসি পাস করে গেল।তারপর রিনা তার নানু বাড়িতে গিয়েছিল বেড়াতে। আসলে তার মেইন উদ্দেশ্য ছিল আকাশের সাথে সময় কাটানো।রিনার আকাশকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছে।কিন্তু আকাশ প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় আছে।
একদিন আকাশ রিনাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল পার্কে আর এটা রিনার মামা দেখেছে।তারপর রিনাকে তার মামা সব প্রশ্ন করল। কিন্তু রিনা বলেছে সে আকাশকে অনেক ভালোবাসে। আকাশকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। এ কথা শোনে রিনার মামা রিনাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিল। আর রিনার বাবাকে বলল তাকে যত তারাতাড়ি পারে বিয়ে দিয়ে দিতে।এভাবে কয়েক মাস চলে গেল।তবে কোন পাত্র আর রিনার পছন্দ হয় না।আর রিনার একই কথা সে আকাশকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। এদিকে আকাশ রিনাকে সব কিছু নিয়ে পালিয়ে আসতে বলল।কিন্তু রিনা আসতে সাহস পেল না।তারপর একদিন রিনার বিয়ে ঠিক করে ফেলল।তখন রিনা সিদ্ধান্ত নিল বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে যে করেই হোক।আকাশকে ফোন দিয়ে আসতে বলল আর রিনা সব কিছু নিয়ে তৈরি হতে লাগলো। [চলবে]
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1920119630443737321?t=jVFS5ttLGkJe8CSw7P9Tuw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1920057534552899713?t=BVJ6oeszw48RPpacy6ELVA&s=19
সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি। গল্পটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। তবে আকাশ প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে অথচ রিনা আকাশকে মন প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছে। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।